আশ্চর্য সমাপতন, পার করা গেল না গোকুলাম গাঁট! এগিয়ে গিয়ে ফের বাগান ডুবল আত্নঘাতি গোলে
মোহনবাগান বনাম গোকুলাম এফসি আইলিগ ২০১৮-১৯-এর ম্যাচের প্রতিবেদন।
গোকুলাম এফসি গাঁট পার করতে পারল না মোহনবাগান। গত আই লিগে একটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল গোকুলাম, আরেকটি ছিল অমিমাংসিত। এই বারেও দুটি ম্যাচেই প্রথমে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত কেরলের দলটির বিরুদ্ধে ম্যাচ অমিমাংসিত রাখতে বাধ্য হল সবুজ-মেরুন। কাকতালীয়ভাবে আইলিগের প্রথম লেগের মতো দ্বিতীয় লেগের এই ম্যাচেও বাগান ডুবল কিমকিমার আত্মঘাতি গোলে।
কোঝিকোড়ে গত ২৭ অক্টোবর গোকুলামের বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়েই আই লিগ অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান। সেই ম্য়াচে প্রথমার্ধে হেনরি কিসেকার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মেরিনার্সরা। বুধবার (৩০ জানুয়ারি)-ও একই ভাবে সোনি নর্ডের তোলা কর্নার কিকে মাথা ছুইয়ে বাগানকে ১-০ গোলে এগিয়ে দিয়েছিলেন শিল্টন ডিসিলভা।
এদিন শুরুর কয়েক মিনিট আধিপত্য দেখিয়েছিল কেরলের দলটিই। কিন্তু, ধীরে ধীরে পায়ের তলায় জমি পায় মোহনবাগান। ১ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর গঙ্গাপাড়ের ক্লাবটি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই ছন্দটা কয়েক মিনিটের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়।
প্রথম লেগের ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে ৭১ মিনিটে অর্জুন জয়রাজের গোলমুখি শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের গোলে ঠেলেছিলেন কিমকিমা। এদিন প্রথমার্ধঝেই ২১ মিনিটে বিজেস বালানের একি ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে ফের একই ভুল করে বসেন তিনি। ফলে ম্যাচে সমতা ফিরে আসে।
ম্যাচের একেবারে প্রথম মিনিটেই গোল করতে পারতেন গোকুলামের নয়া স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফ। কিন্তু, অল্পের জন্য তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছিলেন। ম্যাচের সমতা ফিরে আসার ৩ মিনিটের মধ্যেই কিন্তু তিনি লিগে তাঁর তৃতীয় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এই গোলের ক্ষেত্রে অবশ্যই দোষ এজে কিংসলের। সুরেইর ভিপি পাস ধরে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন জোসেফ। কিংসলে সামান্য দেরীতে পৌঁছান। তার আগেই এগিয়ে আসা শিল্টনের মাথার উপর দিয়ে চিপ করে বল সবুজ মেরুন জালে দড়িয়ে দেন জোসেফ।
প্রথমার্ধেই ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ডিপান্ডা ডিকা। কিন্তু, ৬ গজের বক্সের ভেতরে সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় থেকেও হেডে বল জালে জড়াতে পারেননি তিনি। বিরতিতে স্কোর ছিল ১-২।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিল সবুজ-মেরুন। কিন্তু, ফাবিয়ানের মার্কিংয়ে ওমর বোতলবন্দী হয়ে যাওয়ায় আক্রমণে বিশেষ দাঁত ফোটাতে পারছিল না বাগান। অবশেষে ৬০ মিনিটে বহু গোল মিসের পর এটি বল তিনকাঠির ভিতর গলাতে সমর্থ হন ডিকা। গোলটি আসে ডিকা-কিসেকা জুটির বোঝারড়ায়। বক্সের প্রান্ত থেকে কিসেকার লবে মাথা ছুঁইয়ে বল গোলে পাঠান ডিকা।
এরপর মেহতাব হোসেন নামায়, সবুজ মেরুনের মাঝমাঠ অনেকটাই থিতু হয়, কিন্তু আক্রমণের ধারের অভাবে জয়ের গোল পায়নি খালিদ জামিলের দল।