আই-লিগ ২০১৮-১৯: ম্যাড়মেড়ে লাল-হলুদ, দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিলেন উইলিয়াম ওপোকু
ইস্টবেঙ্গল বনাম মিনার্ভা পাঞ্জাব, আইলিগ ২০১৮-১৯ ম্যাচের প্রতিবেদন।
আইলিগে গভীর সঙ্কটে পড়ল ইস্টবেঙ্গল। লাল হলুদের দুর্দশা আরো বাড়িয়ে গেলেন মিনার্ভা পঞ্জাবের বিদেশী স্ট্রাইকার উইলিয়াম ওপোকু। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর), কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল বনাম মিনার্ভা পঞ্জাব ম্যাচে তাঁর একমাত্র গোলেই ৩ পয়েন্ট তুলে নিল আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা। এই নিয়ে পর পর ৩ ম্যাচে পরাজিত হল আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজের দল।
এদিন আইজলের বিরুদ্ধে খেলা দলের প্রখথম একাদশে ২টি পরিবর্তন করেন মেনেন্দেজ। মরসুমে প্রথমবার প্রথম একাদশে সুযোগ পান কাইশম আইদারা। আর লালদানমাওয়িয়া রালতের বদলে দলে আসেন ব্র্যান্ডন ভানলালরেমডিকা।
প্রথমার্ধে একেবাড়ে ঘুমপাড়ানি ফুটবল হয়। খেলা অধিকাংশ সময় সীমাবদ্ধ ছিল মাঝমাঠেই। দুটি দলের কেউই অ্যআটাকিং থার্ডে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেনি। ২৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল-মুখি শটটি এসেছিল মিনার্ভার ওপোকুর পা থেকেই। ইস্টবেঙ্গল প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েছিল এর ৩ মিনিট পরই এনরিকে এস্কেদাকে ঠিক বক্সের মাতায় ফাউল করেন ল্যান্সিন তুরে। চুলোভার ফ্রিকিক রক্ষণের দেওয়ালে প্রতিহত হয়।
এই ম্যাচে একের পর এক গোল মিস করার পর লঙভাকে তুলে বিরতির পর সামাদ আলি মল্লিককে নামিয়েছিলেন লাল-হলুদ কোচ। এতে কিছুটা হলেও খেলায় ফিরেছঠিল মশাল বাহিনী। ৬৩ মিনিটে মিনার্ভার বক্সের মাতা থেকে দূরপাল্লার শটে এস্কেদা প্রায় গোল করে ফেলেছিলেন। কিন্তু মিনার্ভা গোলরক্ষক আকাশদীপ ফিস্ট করে বল বাইরে বের করে দেন।
কিন্তু এরপর থেকেই মিনার্ভার লাগাতার আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ ভুল করা শুরু করে। সেই সময় মনেই হচ্ছিল লাল-হলুদের গোল খাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। হয়ও তাই। ম্য়াচের ৭৭ মিনিটে মইনুদ্দিন খানের পাস থেকে একপ্রকার ফাঁকায় গোল করে যান ওপোকু। বলের বাউন্স বুঝতে ভুল করে সেই সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন গোলরক উবেইদ ও রক্ষণের খেলোয়াড় মনোজ মহম্মদ।
এই হারের ফলে লিগ জেতার দৌড় থেকে আরও তলিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। ৫ ম্যাচে মাত্র ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন ১১ দলের লিগে ৮ নম্বরে আছে। আর এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়নরা পৌঁছে গেল দ্বিতীয় স্থানে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর আসছে কলকাতা ডার্বি। তার আগে ইস্টবেঙ্গল আগামী শনিবার (৮ ডিসেম্বর) ঘরের মাঠে মোকাবিলা করবে গোকুলাম এফসির। কিন্তু, দলের খেলা বড় ম্যাচের আগে মশাল বাহিনীর সমর্থকদের উৎকন্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে।