খুব কাছাকাছি, তাও অনেকটা দূরে - এবারেও অপরিবর্তিত লাল-হলুদ চিত্রনাট্য! এই নিয়ে চারবার
কাপ আর ঠোঁট, এদের মধ্যে দূরত্বটা সামান্যই। কিন্তু তাও ঠোঁটে ঠেকল না কাপ। খুব কাছাকাছি, তাও অনেকটা দূরে - এবারের আইলিগেও ইস্টবেঙ্গলের স্ক্রিপ্টটা বদলাল না।
কাপ আর ঠোঁট, এদের মধ্যে দূরত্বটা সামান্যই। কিন্তু তাও ঠোঁটে ঠেকল না কাপ। খুব কাছাকাছি, তাও অনেকটা দূরে - এবারের আইলিগেও ইস্টবেঙ্গলের স্ক্রিপ্টটা বদলাল না। ১৫ বছর থেকে প্রতীক্ষা গড়াল ১৬ বছরে। পরের বছর আইলিগের ভবিষ্যত কি হবে কারোর জানা নেই। কাজেই ভারতীয় ফুটবলে হয়ত আই লিগ ট্রফিটা অধরাই থেকে যাবে মশাল-বাহিনীর।
জাতীয় লিগ থাকার সময় ইস্টবেঙ্গল এই সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতা জিতেছিল তিনবার। কিন্তু চেহারা বদলে আই-লিগ হওয়ার পর থেকে আর একবারও ট্রফি আসেনি লাল-হলুদ তাঁবুতে। অথচ এই নিয়ে চারবার আই-লিগে তারা দ্বিতীয় হল। এই রেকর্ড আর কারোর নেই। এ মধ্যে এই বছরই তারা ট্রফি জেতার সবচেয়ে কাছে ছিল। মাত্র ১ পয়েন্টের ব্যবধানে হাতছাড়া হল আই লিগ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হতাশার ৪ বছর -
২০১০-১১
এই মরসুমের মাঝে ফিলিপ ডি রাইডারকে সরিয়ে জেমস মর্গানকে কোচ করে এনেছিল লাল-হলুদ। সেই সঙ্গে আক্রমণে টোলগে ওজবে, মাঝমাঠে পেন ওরজি ও রক্ষণে উগা ওপারাকে সই করিয়েয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মর্গান ২২ ম্যাচ পর লাল-হলুদকে লিগ শীর্ষে তুলে এনেছিলেন। সালগাঁওকার ১ পয়েন্ট পিছনে ছিল। কিন্তু শেষ ৩ ম্যাচের ২ ম্য়াচ হেরে ২৬ ম্য়াচে ৫১ পয়েন্টে শেষ করে ইস্টবেঙ্গল। ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্য়াম্পিয়ন হয় সালগাঁওকার।
২০১১-১২
পরের মরসুমেও মর্গানকেই দায়িত্বে রাখা হয়। দলও ছিল প্রায় একই। শেষ দিকে খেতাবের লড়াইটা ছিল ইস্টবেঙ্গল ও ডেম্পোর মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ডেম্পোর ৬ পয়েন্ট পিছনে শেষ করে লাল-হলুদ। ২৬ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ডেম্পো।
২০১৩-১৪
ব্রাজিলিয়ান মার্কাস ফালোপার অধীনে লিগ শুরু করেও প্রথম ৫ ম্যাচের পর তাঁকে বিদায় জানিয়ে আর্মান্দো কোলাসোকে কোচ করে এনেছিল দল। রক্ষণে রয়ে গিয়েছিলেন ওপারা। আক্রমণে আনা হয় চিডি এডে ও জোমস মোগাকে। মাঝমাঠে সই করানো হয় রুইজি সুয়োকাকে। কোলাসোর কোচিং-এ লিগ জয়ের আশা জেগেছিল লাল-হলুদের। কিন্তু প্রথমবার খেলতে আসা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল বেঙ্গালুরু এফসি শে, রাউন্ডে লাল-হলুদকে ৪ পয়েন্টে টেক্কা দেয়। ২৪ ম্য়াচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় বেঙ্গালুরু।
২০১৮-১৯
তবে ইস্টবেঙ্গল লিগ জেতার সবচেয়ে কাছাকাছি এসেছিল সদ্য় সমাপ্ত মরসুমেই। স্প্য়ানিশ কোচ আলেহান্দ্রো মেনেন্দেজের অধীনে প্রথম ২ অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় দিয়ে শুরু করলেও এরপর পরপর ৩ ম্যাচে হেরে ধুকছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তারপর থেকে যত দিন গিয়েছে তাদের খেলার মান ক্রমে বেড়েছে। লিগের শেষ দিকে চেন্নাই সিটি পয়েন্ট নষ্ট করায় তাদের সামনে বাল সুযোগ এসেছিল। কিন্তু শেষ দিকে ঘরের মাঠে পর পর ২ ম্যাচে ড্র তাদের ফের পিছনে ঠেলে দেয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ম্যাচে চেন্নাই সিটি এফসির পয়েন্ট হল ৪৩, ইস্টবেঙ্গলের ৪২।