জমজমাট লিগ টেবলের সাপ -সিঁড়ির খেলা , খেতাব জয়ের লক্ষ্যে দৌড় জারি
এবারের আই লিগে জমে উঠেছে লড়াই। ইস্টবেঙ্গল সহ তিনটি দল লিগের প্রধান দাবিদার
এবারের আই লিগে জমে উঠেছে লড়াই। একটা সময় মিনার্ভা পাঞ্জাব যারা লম্বা সময় ধরে আই লিগ টেবলের শীর্ষে বসেছিল তারা এই মুহূর্তে লিগ টেবলের দু নম্বরে। লিগে শেষ হওয়ার চার-পাঁচ ম্যাচ আগেই চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণ হয়ে যাবে এমনটা যখন মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই লিগ জমে গেছে।
[আরও পড়ুন:দুই নর্ডি ভাই, দুই পৃথিবী, ট্রায়ালে জ্যাক, সনি নর্ডি -র লেটেস্ট ভিডিও আপডেট ]
মিনার্ভা পাঞ্জাবকে হারিয়ে খেতাবি রেসে থাকার অক্সিজেন পেয়ে গেছে ইস্টবেঙ্গল। তবে এবারের আই লিগ এমন কারোর ঘরে যাবে যারা আগে কখনও আই লিগ পায়নি। চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান আই লিগ জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের এখনও আই লিগ অধরা। এই মুহূর্তে লিগ টেবলের এক নম্বরে থাকা নেরোক ও মিনার্ভা পাঞ্জাবের এটা প্রথম আই লিগ আত্মপ্রকাশ।
এই মুহূর্তে লিগ টেবলের এক নম্বরে থাকা নেরোকা এফসি-র ১৬ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট। দু নম্বরে থাকা মিনার্ভা পাঞ্জাবের ১৪ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট, ও কলকাতার হেভিওয়েট লিগ টেবলের তিন নম্বর ইস্টবেঙ্গল। তাদের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২৬।
লাল হলুদ প্রেমীদের আশা এবার কী দীর্ঘদিনের অধরা আই লিগ ঘরে আসবে। বাকি আর চারটে ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত করতে চারটের চারটে ম্যাচ জেতা সহজ অঙ্ক ইস্টবেঙ্গলের। তবে যদি পা ফস্কায় তখন ইস্টবেঙ্গলকে মিনার্ভা পাঞ্জাবের হারার আশায় বসে থাকতে হবে। ইস্টবেঙ্গলের শেষ চারটে ম্যাচে প্রতিপক্ষ গোকুলাম এফসি, চেন্নাই সিটি এফসি , নেরোকা ও লাজং। তাপ মধ্যে গোকুলাম ও লাজং দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ। অন্যদিকে লিগ টেবল শীর্ষে থাকা নেরোকার বিরুদ্ধে হোম ম্যাচ হলেও তারা কিন্তু যথেষ্ট বেগ দেবে লালহলুদকে। কারণ খেতাব জয়ের হাতছানি থাকছ নেরোকার সামনেও।
নেরোকার সামনে আই লিগ জয়ের সম্ভবনা রয়েছে। তারা বেশি সংখ্যায় ম্যাচ খেলে ফেলেছে ফলে আর দুটি মাত্র ম্যাচ তাদের হাতে। এই দুটি ম্যাচে যেমন তাদের জিততেই হবে তেমনিই মিনার্ভা ও ইস্টবেঙ্গলকে সবকটি ম্যাচে পয়েন্ট খোয়াতে হবে। তবে মণিপুরের ক্লাবে-র সামনে দুটি হেভিওয়েট কলকাতার চ্যালেঞ্জার। মোহনবাগানের সঙ্গে খেলা ১৮ ফেব্রুয়ারি ও লালহলুদের সঙ্গে খেলা ২৭ তারিখ।
তবে লালহলুদের কাছে হারলেও এখনও অবধি আই লিগ জয়ে অঙ্কের হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গায় মিনার্ভা পাঞ্জাবই। ম্যাচ ফিক্সিং বিতর্ক, এক নম্বর থেকে সরে যাওয়া হলেও, তাদের হাতে রয়েছে চারটি ম্যাচ। পাঞ্জাবের সবচেয়ে বড় অ্যাডভানটেজ এর মধ্যে তিনটি ম্যাচই হোম ম্যাচ। প্রতিপক্ষও লিগ টেবলের পিছনে থাকা দলগুলি। গোকুলাম, আইজল, চেন্নাই, চার্চিল রয়েছে লিগ টেবলের ৯ , ৬,১০ ও ৮ নম্বরে। সব মিলিয়ে ম্যাচ জিতে সরাসরি তিন পয়েন্ট পেয়ে গেলে বাকি দলগুলি নিজেদের সব ম্যাচ জিতলেও খেতাব ঘরে তুলতে পারবে না।
এদিকে এত কিছুর মধ্যে মোহনবাগান একের পর এক ম্যাচ ড্রয়ের খেসারত দিয়ে কোনও দৌড়েই নেই। আইএফএ-র লক্ষ্য এ মরশুমেই সুপার কাপ করা। সেক্ষেত্রে তারাও আই লিগের ছটি দলকে না চারটি দলকে সরাসরি ছাড়পত্র দেবে তা এখনও নির্ধারিত হয় নি। তবুও নিশ্চিন্ত থাকতে নিজেদেরকে চারের মধ্যেই ধরে রাখতে চাওয়াটা হবে শংকরলাল চক্রবর্তীর ছেলেদের মোটিভেশন।
[আরও পড়ুন: রোনাল্ডোর ঝাঁঝে পুড়ে গেল নেইমারের প্যারিস,দেখুন ভিডিও]