সংকটে আই লিগ! এআইএফএফ-এর বিরুদ্ধে জোট বাঁধল ৬ ক্লাব, আদালত-ফিফায় যাওয়ার হুমকি
সম্প্রচার বিতর্ক নিয়ে এআইএফএফের বিরুদ্ধে ৬টি আই-লিগ ক্লাবের সংগঠন আদালতের এমনকী ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিল।
সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-এর বিরুদ্ধে জোট বাঁধল আই লিগের ৬টি ক্লাব। আই লিগের সম্প্রচার সংক্রান্ত বিতর্কের দ্রুত অবসান না ঘটলে এআইএফএফ-এর বিরুদ্ধে তারা আদালতের, এমনকী প্রয়োজনে ফিফার দ্বারস্থ হওয়ার হুমকি দিয়েছে। সংগঠনের পক্ষে মিনার্ভা পাঞ্জাবের মালিক রঞ্জিত বাজাজ এইআইএফএফ প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল প্য়াটেলকে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন।
সম্প্রতি এআইএফএফ-এর সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা, স্টার নেটওয়ার্ক জানায় ২০১৯ সালে আই লিগ ২০১৮-১৯ মরসুমের বাকি ৬০টি ম্যাচের মধ্য়ে মাত্র ৩০টি ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এই নিয়ে এআইএফএফ এখনও কোনও আপত্তি প্রকাশ করেনি, কোনও বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই জোট বেঁধেছে মিনার্ভা পঞ্জাব, চেন্নাই সিটি, নেরোকা, আইজল, গোকুলাম কেরল ও শিলং লাজং।
জানা গিয়েছে কলকাতার দুই বড় ক্লাবকেও এই সংগঠনে যোগ দেওয়ার প্রস্থাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনও উৎসাহ দেখায়নি। মনে করা হচ্ছে পরের বছর তারা আইএসএল-এ য়োগ দেবে বলেই এই 'বিদ্রোহে' অংশ নিতে চায়নি। তবে এতে দমে যায়নি এই ৬ আই লিগ ক্লাব। প্রফুল্ল প্যাটেলকে লেখা চিঠিতে তারা দাবি করেছে আই লিগের সম্প্রচার, আইএসএল-এর সমমানের করতে হবে।
আগামী ৫ জানুয়ারি (২০১৯)-র মধ্যে বিষয়টির কোনও মিমাংসা না হলে, তাঁরা আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। রঞ্জিত বাজাজ জানিয়েছেন এর পরেও এ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না হলে তাঁরা আদালতে যাবেন। এমনকী ফিফা ও কোর্ট অব আর্বিট্রেশন ফর স্পোর্টস-এও যেতে পারেন।
তাঁদের দাবি আইএসএল-এর থেকে আই লিগে টিভি রেটিং উন্নত। তাই প্রয়োজনে আইএসএল সম্প্রচার কমিয়ে আই লিগকে প্রাধান্য দিতে হবে। আই লিগের ক্লাবগুলি মনে করছে এআইএফএফ ও তাদের বানিজ্যিক অংশীদার ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড (এফএসডিএল) মিলিতভাবে চক্রান্ করে হত্যা করতে চাইছে আই লিগকে।
আইএসএল-এর পিছনে আছে এফএসডিএল। আইলিগ ক্লাবগুলির দাবি, তাঁরাই ভারতীয় ফুটবলে নতুন ফুটবলার তুলে আনেন। এই লিগে প্রতিযোগিতার মানও বেশি। সব মিলিয়ে আই লিগের জনপ্রিয়তাকে ভয় পাচ্ছে এফএসডিএল। তাই আই লিগকে অসত-পথে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁরা আরও জানান, ফিফার আর্টিকল ১৯.১ ও ১৯.২ অনুযায়ী, এআইএফএফ-এর মতো জাতীয় ফুটবল সংগঠনের ক্ষেত্রে, এফএসডিএল-এর মতো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ অবৈধ।
মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের তাঁদের পাশে না আসার কারণ হিসেবে রঞ্জিত বাজাজ বলেছেন, এইআইএফএফ কলকাতার দুই প্রধানের সামনে আইএসএল খেলার গাজর ঝুলিয়ে রেখেছে। তাঁরা ফের একবার এই দুই ক্লাবের সমর্থন প্রার্থনা করেছন। কারণ তাঁদের মতে এই দুই ক্লাবই ভারতীয় ফুটবলের মশাল বাহক। এঁরা পাশে না থাকলে তাদের পিপড়ের মতো দেখায় বলেও মন্তব্য করেছেন বাজাজ। এই বিতর্কের জল এবার কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।