ম্যাচ না জিতলেও প্রাপ্তির ভাঁড়ার খালি নয়, পাশে আছি ধীরজ-কোমলরা
গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচের তিনটিতেই হার। ৯ গোল খেল তিনটি ম্যাচে, ভারতীয় কিশোররা স্বপ্নের উড়ানের শেষ। তবে পাশে দাঁড়াচ্ছে দেশ। মনে করছে শুরুটা তো হল , এবার শুরু হবে এগিয়ে চলার পথ।
খেতাব রক্ষার লড়াইতে এবারের বিশ্বকাপে এসেছে প্রতিপক্ষ ঘানা। গ্রুপ পর্বে ভারতীয় দল শেষ ম্যাচে ম্যাজিক করবে এমনটা বোধহয় মনের কোণে আশা করেছিলেন প্রতিটা ভারতীয় সমর্থক। আশা করেছিলেন ধীরজ - অমরজিৎ-স্ট্যালিন-কোমলরা। তাই ঘানার কাছে ৪-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর একরাশ হতাশা নিয়ে ওঁরা বসেছিলেন মাঠে, গোলরক্ষক ধীরজ ভেঙে পড়েছিলেন কান্নায়।
তবে দর্শক সমর্থকরা তখনও গলা ফাটাচ্ছিলেন ভারতের হয়ে। রাজধানী দিল্লির গ্যালারি তখনও মুখর ইন্ডিয়া-ইন্ডিয়া ধ্বনিতে। আসলে ওঁরা এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন আমারা সঙ্গে আছি। বিশ্বকাপে প্রথমবার খেলল কোনও ভারতীয় দল। এটাই একটা ল্যান্ডমার্ক। হ্যাঁ প্রত্যাশা তো থাকবেই , ছিলও। কিন্তু দিনের শেষে তোমাদের সমর্থকদের হতাশা নেই।
এটা শুধু গ্যালারির দর্শকরা জানাচ্ছে না। জানিয়েছেন নেটিজেনরাও। তাঁরাও খুশি বলেছেন কোথাও থেকে পথ চলাটা শুরু হওয়ার দরকার ছিল। সেটা শুরু হয়ে গেল। সামনে তো কঠিন পথ, বাধা সব থাকবেই। ধীরে ধীরে এগিয়ে চলতে হবে।
সব মিলিয়ে একটা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছে দেশের ১২৫ কোটি। এই একটা মঞ্চই শুধু নয় এবার থেকে সব আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের পতাকা উড়বে , বাজবে জাতীয় সঙ্গীত। এটাই চাইছে গোটা দেশ, জিকসনরা , বরিসরা যে স্বপ্ন দেখিয়েছে সেই স্বপ্ন যেন একবার উড়ান ভরেই শেষ না হয়ে যায়। এআইএফএফ আশ্বস্ত করেছে তাদের লম্বা রোডম্যাপ তৈরি। এবার শুধু তোমাদের মনের জোর ঠিক রেখে এগিয়ে যাওয়ার পালা। একদিন আসবেই যখন বিশ্বমঞ্চে ফুটবলেও মেন ইন ব্লু-র গলা থেকে বেরোবে 'চাখ দে ইন্ডিয়া ।'
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Ffifau17worldcup%2Fvideos%2F1436505513111212%2F&show_text=1&width=560" width="560" height="432" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>