আইএসএল ২০১৮-১৯, দুটি লালকার্ড! সুনিলের হেডে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে জয় পেল বেঙ্গালুরু
বেঙ্গালুরু এফসি বনাম এফসি গোয়া আইএসএল ২০১৮-১৯ ম্য়াচের প্রতিবেদন।
আইএসএল ২০১৮-১৯-এ বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) মুকোমুখি হয়েছিল লিগের শীর্ষে থাকা দুটি দল। ফলস্বরূপ, একটি চরম উত্তেজনায় ভরা ম্যাচের সাক্ষি রইল ফতোরদার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম। দু-দুটি লালকার্ডের দৌলে ম্যাচের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময় মাঠে থাকলেন ২০ জন খেলোয়াড়।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথাতেই গোল করে বেঙ্গালুরুকে ১-০'য় এগিয়ে গিয়েছিলেন রাহুল ভেকে। এরপর ৪৭ ও ৫৯ মিনিটে লালকার্ড দেখলেন যথাক্রমে গোয়ার মহম্মদ আলি ও বেঙ্গালুরুর দিমাস দেলগাদো। ৭২ মিনিটে ব্র্যান্ডনের গোলে সমতা ফিরিয়েছিল গোয়া। কিন্তু ২ মিনিট বাদেই হেডে গোল করেন সুনিল। শেষ পর্যন্ত ১-২ গোলে জিতে ২ ম্যাচ কম খেলেই শীর্ষে থাকা গোয়ার পয়েন্ট ছুঁয়ে ফেলল বেঙ্গালুরু।
বুধবারই জামশেদপুর এফসির অপরাজিত দৌড় থামিয়ে দিয়ে মরসুমেরপ্হরথম জয় তুলে নিয়েছিল এফসি পুনে সিটি। তারপর শুধু গোয়া ও বেঙ্গালুরুই লিগে অপরাজিত ছিল। কিন্তু এদিন গোয়া হারায় এখন আইএসএল-এ একমাত্র অপরাজিত থাকল বেঙ্গালুরু এফসিই।
এদিন ম্যাচে প্রথম থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লডা়ই শুরু হয়েছিল। বেঙ্গালুরুর পক্ষে ডান প্রান্তে চমৎকার বোঝাপড়া দেখা যাচ্ছিল চেঞ্চো ও উদান্তের মধ্যে। আবার বেঙ্গালুরু বক্সে দারুণভাবে হানা দিচ্ছিলেন কার্লোস পেনা , বউমউসরা। শেষ পর্যন্ত ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরুই। দেলগাদোর কর্ণার কিক থেকে বক্সের মাথায় বল পেয়েছিলেন সিসকো, তাঁর শট পোস্টের বাইরে যাওয়ার মুখে চমৎকার ফ্লিকে তা গোয়ার জালে জড়িয়ে দেন রাহুল। বিরির আগে আরও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর শচট পারপোস্টের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
বিরতির পরই গোয়ার ফুলব্যাক মহম্মদ আলি ইচ্ছাকৃত হ্যান্ডবল করে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। ফলে ঘরের মাঠে গোয়া ১০ জনে নেমে আসে। বেঙ্গালুরুও অবশ্য বেশিক্ষণ একজন বেশি থাকার সুবিধা নিতে পারেনি। হুগো বউমউসকে 'হাইফুটেড ট্যাকল' করার অপরাধে রেফারি দিমাস দেলগাদোকেও লালকার্ড দেখান।
এখান থেকে খেলা মাঝমাঠেই সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে এর মাঝেও সুনিল ছেত্রির মাপা পাস ধরে গোল করার সুয়োগ পেয়েছিলেন মিশু কুমার। কিন্তু জর্ডনের বিরুদ্ধে গোল করা দাতীয় দলের স্ট্রাইকার মহম্মদ নওয়াজকে টপকাতে পারেননি।
গোয়া তাদের সমতা ফেরনোর গোলটি পায় ম্যাচের ৭০ মিনিটে। এই গোলের পিছনেো তাদের গোলমেশিন কোরোমিনাসের পা-ই বেশি। বেঙ্গালিুরুর বক্সে ডিফেন্জারের পায়ের জঙ্গলের মধ্যেও তিনি ফাঁক খুঁজে বল বাড়িয়েছিলেন ব্রান্ডন ফার্নান্ডেজের জন্য। তাঁর শট বেঙ্গালুরু রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে জোলে ঢুকে যায়।
এদিনই চোট সারিয়ে মাঠে নেমেছিলেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনিল ছেত্রী। ফিরেই গোল করলেন। আর তাঁর গোলটা এল গোয়া সমতা ফেরানোর দুই মিনিটের মধ্যেই। হাওকিপের বল ঘধরে ডানপ্রান্তে ফাঁকা জায়গা ব্যবহার করে অনেকটা উঠে এসেছিলেন উদান্ত সিং। তারপর দ্বিতীয় পোস্টে সুনিলের জন্য একেবারে মাপা ক্রস বাড়িয়েছিলেন। সুনিলও তাঁর মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে সেই বলে মাথা ছুঁইয়ে গোল করতে ভুল করেননি।