আইএসএল ২০১৮-১৯, আজ নামছে চেন্নাইন এফসি, জেনে নিন এই মরসুমে কেমন দল হল তাদের
জেনে নিন আইএসএল ২০১৮-১৯ মরসুমে, চেন্নাইন এফসি-র কোচ, নতুন সাইনিং, উল্লেখযোগ্য সাইনিং এবং শক্তি ও দুর্বলতা সঙ্গে সম্পূর্ণ স্কোয়াড সম্পর্কে।
রবিবার বেঙ্গালুরুতে ট্রফি ধরে রাখার যাত্রা শুরু করছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফসি। কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে তাদের মুখোমুখি গতবারের রানার্সআপ বেঙ্গালুরু এফসি। এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এর সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে কোনও দলই পর পর দুই মরসুমে সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। চেন্নাইন এফসি এবার তাদের তৃতীয় আইএসএল ট্রফি জিততে পারে কিনা সেটাই দেখার ।
তার আগে এই মরসুমে অভিষেক বচ্চনের দলের শক্তি ও দুর্বলতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।
কোচ
গত মরসুমে চেন্নাইনকে তাদের তৃতীয় ট্রফিটি দিয়েছিলেন ব্রিটিশ কোচ জন গ্রেগরি। ইংরেজ কোচ হিসেবে প্রথম আইএসএল ট্রফি জেতা কোচই এবারও রয়েছেন দলের দায়িত্বে।
তাঁর অধীনে, গত মরসুমে 'মেরিনা মাচান'দের ডিফেন্স ছিল অত্যন্ত দৃঢ়। তার সামনে ছিল শক্তিশালী মিডফিল্ড। ভারতীয় খেলোয়াড়দের খুব সুন্দরভাবে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। চেন্নাই সমরর্থকদের আশা গ্রেগরির জাদু এবারও অব্যাহত থাকবে।
নতুন সাইনিং
ভারতীয়: সঞ্জীবন ঘোষ, নিখিল বার্নার্ড, লালডিনলিয়ানা রেনথলেই, জোহমিংলিয়ানা রালতে, তোন্দোনবা সিং, সিনিভাসান পান্ডিয়ান, আইজাক ভ্যানমালসাওয়ামা
বিদেশী: এলি সাবিয়া, আন্দ্রেয়া ওরলান্দি, কার্লোস সালোম।
উল্লেখযোগ্য সাইনিং
চেন্নাইন এই মরসুমে স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আন্দ্রেয়া ওরল্যান্দিকে সই করিয়েছে। ফলে তাদের মিডফিল্ড আরও জোরদার হয়েছে। ওরলান্দি একসময় সোয়ানসি সিটির হয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন এবং কেরিয়ারের শুরুতে একটি ম্যাচে এফসি বার্সেলোনার হয়েও নেমেছিলেন। গত বছরের অধিনায়ক হেনরিক সেরেনোর জায়গায় দদলে নেওয়া হয়েছে ব্রাজিলের ডিফেন্ডার এলি সাবিয়া-কে। এছাড়া এসেছেন প্যালস্তাইনের জাতীয় দলের স্ট্রাইকার কার্লোস সালোম।
এই বছর ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগদানকারী ভারতীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বেঙ্গলুরু এফসি থেকে আসা জোহমিংলিয়ানা রালতে এবং গত মরসুমে আইলিগের দল চেন্নাই সিটি এফসি-তে খেলা সিনিভাসান পান্ডিয়ান।
শক্তি এবং দুর্বলতা
গত মরসুমের দলের কোর গ্রুপটিকে ধরে রেখেছে থেকে চেন্নাইন এফসি। অনিরুধ থাপা, গেরমানপ্রীত সিং, জেরি লালরিনজুয়ালার মতো তরুণ খেলোয়াড়রা গতবার ট্রপি জেতার দৌড়ে দারুন প্রভাবিত করেছইলেন। সিনিভাসান পান্ডিয়ান যোগ দেওয়ায় দলের ভারতীয় ব্রিগেড আরও শক্তিশালী হয়েছে।
চেন্নাইনে এই বছরও একঝাঁক প্রতিভাবান মিডফিল্ডার রয়েছেন। কিন্তু লিগ শুরুর মুখেই ধনপাল গণেশ চোট পাওয়ায় অবশ্যই গ্রেগরির পরিকল্পনা কিছুটা হলেও ব্যহত হবে। আইএসএল-এর প্রথমার্ধে গণেশের অনুপস্থিতি কোচকে দলের গঠন পরিবর্তনে বাধ্য করবে।
তবে এবারও চেন্নাইনের আক্রমণভাগ দুর্বল। জেজের পাশে মহম্মদ রফি বা বাওরিংদাও বোড়ো কেউই মানানসই নন। রফিকে সাধারণত সাবস্টিটিউট স্ট্রাইকার হিসেবেই রাখা হয়। আর তরুণ খেলোয়াড় বাওরিংদাও বোড়ো অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। তবে তারা এবার প্যালস্তাইনের জাতীয় দলের স্ট্রাইকার কার্লোস সালোমকে সই করিয়েছে। তাঁর উপরই আস্থা রাখছেন টিম ম্যানেজমেন্ট।
সম্পূর্ণ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: করণজিত সিং, সঞ্জীবন ঘোষ ও নিখিল বার্নার্ড
ডিফেন্ডার: এলি সাবিয়া, হেন্ড্রি আন্তোলায়, ইনিগো কলডেরন, জেরি লালরিনজুয়ালা, লালডিনলিয়ানা রেনথলেই, মেইলসন আলভেস, তোন্দোনবা সিং এবং জোহমিংলিয়ানা রালতে
মিডফিল্ডার: সিনিভাসান পান্ডিয়ান, অনিরুধ থাপা, রাফায়েল অগোস্তো, আন্দ্রেয়া ওরলান্দি, ফ্রান্সিস ফার্নান্দেজ, থই সিং, আইজাক ভ্যানমালসাওয়ামা, গ্রেগরি নেলসন, গেরমানপ্রীত সিং, জোনুনমাওয়িয়া, বেদেশ্বর সিং
স্ট্রাইকার: কার্লোস সালোম, জেজে লালপেখ্লুয়া, বাওরিংদাও বোড়ো ও মহম্মদ রফি