আইএসএল-এর সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা! 'ষোড়শ বর্ষীয়' জামশেদপুর এফসির ফুটবলারের বয়স নিয়ে রহস্য
আইএসএল কর্তৃপক্ষের দাবি, জামশেদপুর এফসির গৌরব মুখি-র বয়স মাত্র ১৬। কিন্তু সেই ষোড়শ বর্ষীয় গৌরব মুখির প্রকৃত বয়স নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
রবিবার বেঙ্গালুরুর মাঠে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেকে সুপার সাব হিসেবে প্রমাণ করেছেন গৌরব মুখি। জামশেদপুর এফসির হয়ে প্রথমবার খেলতে নেমেই গোল করে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন তিনি। তারপর থেকে আইএসএল-এর সোশ্যাল মিডিয়া অ্য়াকাউন্টে মাত্র ১৬ বছর বয়সে আইএসএল-এ তিনি গোল করেছেন বলে প্রচার হয়।
তাঁকে বলা হয় আইএসএল-এর ইতিহাসের কনিষ্ঠতম গোলদাতা। কিন্তু সত্যিই কী তাই? গৌরব মুখির মুখের পাকানো পুরুষ্টু গোঁফ দেখে তা বিশ্বাস হয় না। গোঁফ দিয়ে যদি চেনা নাও যায়, তাহলেও কিন্তু গৌরবের ফুবল জীবনের যে ইতিহাস পাওয়া যাচ্ছে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে কোনও ভাবেই তিনি ষোড়শ বর্ষীয় নন।
আজ থেকে তিন বছর আগে কিন্তু এআইএফএফ-এর এক টুর্নামেন্টে খেলে গিয়ে বয়স ভাঁড়িয়ে খেলার অভিযোগে ধরা পড়েছিলেন। সেটা ছিল ২০১৫ সালের জাতীয় সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। অনুর্ধ ১৫-দের সেই টুর্নামেন্টে গোয়াকে ৮-৩ গোলে হারিয়েছিল ঝাড়খণ্ড।
তারপরই ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু ফুটবলারের বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়িয়ে খেলার অভিযোগ ওঠে। তদন্তে দেখা গিয়েছিল ৫ ফুটবলারের ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন। ঝাড়খণ্ডের জেতা ট্রফি ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেই ৫ ফুটবলার ছিলেন, সৈয়দ বিন আব্দুল কবির, আশিষ মুখি, লক্ষ্মণ সর্দার, বিকাশ বালমুচু ও গৌরব মুখি।
২০১৫-তে যাঁর বয়স ১৫-এর বেশি ছিল, তিনি ২০১৮-তে নিশ্চিতভাবে ১৬ বছর বয়সী হতে পারেন না। এছাড়া গত মাসে আইএসএল শুরু আগে এক সর্বভারতীয় পত্রিকায় তাঁকে নিয়ে একটি লেখাতেও বলা হয়েছিল তাঁর বয়স ২৮ বছর। এই ঘটনায় অনেকেরই মনে পড়ে গিয়েছে হলিউডি চলচ্চিত্র 'কিউরিয়াস কেস অব বেঞ্জামিন বাটন'-এর কথা।
কীভাবে এই কাণ্ড হল কারোর জানা নেই। হতে পারে আইএসএল-এর সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মী বয়স তুলতে ভুল করেছেন। অথবা কেউ মজা করেও থাকতে পারেন। যাই হোক আইএসএল-এর ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা ষোড়শ বর্ষীয় গৌরব মুখির আসল বয়স কত সেটা কিন্তু ধাঁধাই রয়ে গিয়েছে।