
কালু উচে
গত মরসুমে দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে আইএসএল-এ অভিষেক হয়েছইল নাইজেরিয় ফুটবলারটির। অভিষেকেই দারুণ ছাপ রেখেছিলেন তিনি। তাঁকেই দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ১৫ ম্যাচে ১৩টি হোল করেছিলেন কালু। ততাঁর গোল করার দক্ষতা দেখে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিরই চোখ চকচক করে উটেছিল। কিন্তু শেষ অবধি তাঁকে তুলে নিয়েছিল এটিকে।
কিন্তু কোনও এক অদ্ভুত কারণে এই মরসুমের প্রথম দুই ম্যাচে কিন্তু কালুর গতবারের ঝলকের ছিটেফোটাও দেখা যায়নি। এর জন্য অবশ্য
কোচ স্টিভ কপেলের স্ট্র্যাটেজিকেই দায়ি করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। কপেল এটিকে দলের আক্রমণে একা লাঞ্জারোতেকে খেলাচ্ছেন। প্রথম দলে জায়গা হচ্ছে না কালুর। দুটি ম্যাচেই অবশ্য বদলি হিসেবে নামেন তিনি। তবে ম্য়াচে প্রভাব ফেলার মতো যতেষ্ট সময় তিনি পাননি।
উচে কিন্তু গোল করার ক্ষমতার জন্যই খ্যাত। মাত্র কয়েকটি মুহূর্তের ব্যবধানে ম্য়াচের গতি পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আশা করা যায় পরের ম্য়াচগুলিতে প্রথম একাদশে দেখা যাবে কালুকে। অথবা কপেল অক্রমণে কালু ও লাঞ্জারোতে দুজনকেই খেলানোর রাস্তাতেও হাঁটতে পারেন।

জন জনসন
গত মরসুম পর্যন্ত বেঙ্গালুরু এফসির রক্ষণভাগের কেন্দ্রীয় ছরিত্র ছিলেন এই ব্রিটিশ ডিফেন্ডার। হুয়ানানের সঙ্গে জোট বেঁধে বেঙ্গালুরুকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন জনসন।
টানা ৫ মরসুম বেঙ্গালুরুর দলটির হয়ে খেলে এইবার এটিকেতে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতম দুই ম্যাচের পর তাঁর ও গার্সন ভিয়েরার মধ্যে জুটি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিলেও তাঁদের বোঝাপড়া এখনও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
কেরল ব্লাস্টার্স-এর বিরুদ্ধে জনসন মোটের উপর ভালই খেলেছিলেন। কিন্তু তার পরের নর্থইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচে ১০ জন হয়ে যাওয়া এটিকের রক্ষণভাগে অসাধারণ খেলেন তিনি। বার্থালোমিউ ওগবেচেকে বারবার তিনি আটকে দিয়েছেন। অন্তত দুটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে দলকে তিনি বাঁচান। শুধু তাই নয়, দুটি ক্ষেত্রে তিনি কর্ণারের সময় প্রতিপক্ষ বক্সে গিয়ে হেড করেছেন। একটি ক্ষেত্রে প্রায় গোল পেয়েও গিয়েছিলেন। আন্দ্রে বাইকি মাঠে আসলে জনসনকে আরও বড় ভূমিকায় দেখা যাবে আশা করা যায়।

মানুয়েল লাঞ্জারোতে
গত মরসুমে গোল করার লোকের অভাবে দারুণভাবে ভুগতে হয়েছিল এটিকে-কে। রবি কিন কোচ হয়ে যাওয়ার পর তো সেই অর্থে কোনও স্ট্রাইকারই ছিল না দলে।
এবার সেই অভাব পূরণ করতে কালু উচের সঙ্গে দলে নেওয়া হয়েছে মানুয়েল লাঞ্জারোতে-কেও। গত মরসুমে এফসি গোয়ার হয়ে দির্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। কোরোমিনাসের পাশে ১৩টি গোল করেছিলেন লাঞ্জারোতে। সেইসঙ্গে ৬টি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর নামের পাশে। কোরোমিনাসের সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়া গড়ে তুলেছিলেন এই স্প্যানিশ ফুটবলারটি।
এই মরসুমে ২টি ম্য়াচ হয়ে গেলেও কিন্তু এখনও গোলের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তাঁর ক্ষেত্রেও কোচের স্ট্র্যাটেজির গাফিলতি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মনে করা হচ্ছে। লাঞ্জারোতে কিন্তু আদতে মাঝমাঠের খেলোয়াড়। গোল করার থেকে গোল করার সুযোগ তৈরিতে তিনি বেশি দক্ষ।
দুই ম্যাচেই কিন্তু তিনি ছিলেন একক স্ট্রাইকারের ভূমিকায়। নিচ থেকে সেভাবে বলের জোগান না পেলেও নর্থইস্ট ম্যাচে তিনি একক দক্ষতায় বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন। বক্সের ঠিক মাথায় একটি ফ্রিকিকও আদায় করেন, যা থেকে গোল হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল।