আইএসএল ২০১৮-১৯: প্রথম ২ ম্যাচে হার, কেমন খেললেন এটিকের প্রধান ৩ ভরসা
আইএসএল ২০১৮-১৯ মরসুমের প্রথম আন্তর্জাতিক বিরতি হল। দেখে নেওয়া যাক এখনও অবধি এটিকে-তে এই মরসুমে সই করা প্রধান ৩ ফুটবলার কেমন খেললেন।
নতুন মরসুম, নতুন কোচ, প্রায় নতুন দল। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটিকের কাহিনিতে কোনও বদল নেই। এই মরসুমে দুই ম্যাচের পর, দুইবারের আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা এখনও অবধি কোনও পয়েন্ট না তুলতে পেরে রয়েছে পয়েন্ট তালিকার একেবারে তলানিতে। এমনকী একটা গোলও করতে পারেনি কলকাতার দলটি।
গত মরসুমে এটিকে ডুবেছিল কোচ সমস্যায়। গোটা মরসুম ধরে চলেছিল তাদের কোচ নিয়ে নাটক। একেবারে শুরুতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্রিটিশ কোচ তথা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি টেডি শেরিংহ্যামকে। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ঝামেলায় মরসুমের মাঝপথে তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তাঁর সহকারি অ্যাশলে ওয়েস্টউড। কিন্তু তিনিও ফল দিতে না পারায় তাঁকেও সরতে হয়। শেষ পর্যন্ত গত মরসুমের মার্কি ফুটবলার রবি কিন কোচিং-এর দায়িত্ব সামলান।
এই মরসুমে গতবারের দুঃস্বপ্ন ভুলতে দলের খোল নলচে বদলে ফেলেন এটিকে কর্তারা। আইএসএল-এর অভিজ্ঞ ব্রিটিশ কোচ স্টিভ কপেল-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল দলের দায়িত্ব। সেই সঙ্গে দলে মানুয়েল লাঞ্জারোতে, আন্দে বাইকি, কালু উচে, জন জনসনদের মতো খেলোয়াড়দের নেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে একেবারেই প্রত্যাশিত ফল আসেনি।
সামনে অবশ্য এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। এটিকের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ট সময় আছে হাতে। কিন্তু কথায় বলে না দিনটা কেমন যাবে বোঝা যায় সকালবেলা দিয়ে। দুই ম্যাচের পর দেখে নেওয়া যাক এটিকের এই মরসুমের প্রধান ৩ আশা কেমন খেললেন।
দীপিকা পাডুকোন
রেস ২ হোক বা ককটেল কখনও বিকিনির জন্য অস্বস্তি বোধ করেননি দীপিকা পাডুকোন। সোনালি এই ডিজাইনার বিকিনিতে অনবদ্য দীপিকা।
কালু উচে
গত মরসুমে দিল্লি ডায়নামোসের হয়ে আইএসএল-এ অভিষেক হয়েছইল নাইজেরিয় ফুটবলারটির। অভিষেকেই দারুণ ছাপ রেখেছিলেন তিনি। তাঁকেই দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল। ১৫ ম্যাচে ১৩টি হোল করেছিলেন কালু। ততাঁর গোল করার দক্ষতা দেখে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজিরই চোখ চকচক করে উটেছিল। কিন্তু শেষ অবধি তাঁকে তুলে নিয়েছিল এটিকে।
কিন্তু
কোনও
এক
অদ্ভুত
কারণে
এই
মরসুমের
প্রথম
দুই
ম্যাচে
কিন্তু
কালুর
গতবারের
ঝলকের
ছিটেফোটাও
দেখা
যায়নি।
এর
জন্য
অবশ্য
কোচ
স্টিভ
কপেলের
স্ট্র্যাটেজিকেই
দায়ি
করছেন
ফুটবল
বিশেষজ্ঞরা।
কপেল
এটিকে
দলের
আক্রমণে
একা
লাঞ্জারোতেকে
খেলাচ্ছেন।
প্রথম
দলে
জায়গা
হচ্ছে
না
কালুর।
দুটি
ম্যাচেই
অবশ্য
বদলি
হিসেবে
নামেন
তিনি।
তবে
ম্য়াচে
প্রভাব
ফেলার
মতো
যতেষ্ট
সময়
তিনি
পাননি।
উচে কিন্তু গোল করার ক্ষমতার জন্যই খ্যাত। মাত্র কয়েকটি মুহূর্তের ব্যবধানে ম্য়াচের গতি পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আশা করা যায় পরের ম্য়াচগুলিতে প্রথম একাদশে দেখা যাবে কালুকে। অথবা কপেল অক্রমণে কালু ও লাঞ্জারোতে দুজনকেই খেলানোর রাস্তাতেও হাঁটতে পারেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
দোস্তানা ছবিতে সোনালি বিকিনিতে প্রিয়াঙ্কা।
জন জনসন
গত মরসুম পর্যন্ত বেঙ্গালুরু এফসির রক্ষণভাগের কেন্দ্রীয় ছরিত্র ছিলেন এই ব্রিটিশ ডিফেন্ডার। হুয়ানানের সঙ্গে জোট বেঁধে বেঙ্গালুরুকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন জনসন।
টানা ৫ মরসুম বেঙ্গালুরুর দলটির হয়ে খেলে এইবার এটিকেতে যোগ দিয়েছেন তিনি। প্রতম দুই ম্যাচের পর তাঁর ও গার্সন ভিয়েরার মধ্যে জুটি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিলেও তাঁদের বোঝাপড়া এখনও সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
কেরল ব্লাস্টার্স-এর বিরুদ্ধে জনসন মোটের উপর ভালই খেলেছিলেন। কিন্তু তার পরের নর্থইস্ট ইউনাইটেড ম্যাচে ১০ জন হয়ে যাওয়া এটিকের রক্ষণভাগে অসাধারণ খেলেন তিনি। বার্থালোমিউ ওগবেচেকে বারবার তিনি আটকে দিয়েছেন। অন্তত দুটি ক্ষেত্রে নিশ্চিত পতনের হাত থেকে দলকে তিনি বাঁচান। শুধু তাই নয়, দুটি ক্ষেত্রে তিনি কর্ণারের সময় প্রতিপক্ষ বক্সে গিয়ে হেড করেছেন। একটি ক্ষেত্রে প্রায় গোল পেয়েও গিয়েছিলেন। আন্দ্রে বাইকি মাঠে আসলে জনসনকে আরও বড় ভূমিকায় দেখা যাবে আশা করা যায়।
সানি লিওনি
কোনও একটা বা দুটো নয়, প্রায় সব ছবিতেই বিকিনি পড়ে দেখা যায় সানিকে। তবে হলুদ বিকিনিতে এই ছবিটি একটি ফটোশুটের জন্য।
মানুয়েল লাঞ্জারোতে
গত মরসুমে গোল করার লোকের অভাবে দারুণভাবে ভুগতে হয়েছিল এটিকে-কে। রবি কিন কোচ হয়ে যাওয়ার পর তো সেই অর্থে কোনও স্ট্রাইকারই ছিল না দলে।
এবার সেই অভাব পূরণ করতে কালু উচের সঙ্গে দলে নেওয়া হয়েছে মানুয়েল লাঞ্জারোতে-কেও। গত মরসুমে এফসি গোয়ার হয়ে দির্দান্ত ফর্মে ছিলেন তিনি। কোরোমিনাসের পাশে ১৩টি গোল করেছিলেন লাঞ্জারোতে। সেইসঙ্গে ৬টি অ্যাসিস্ট ছিল তাঁর নামের পাশে। কোরোমিনাসের সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়া গড়ে তুলেছিলেন এই স্প্যানিশ ফুটবলারটি।
এই মরসুমে ২টি ম্য়াচ হয়ে গেলেও কিন্তু এখনও গোলের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তাঁর ক্ষেত্রেও কোচের স্ট্র্যাটেজির গাফিলতি বড় কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে মনে করা হচ্ছে। লাঞ্জারোতে কিন্তু আদতে মাঝমাঠের খেলোয়াড়। গোল করার থেকে গোল করার সুযোগ তৈরিতে তিনি বেশি দক্ষ।
দুই ম্যাচেই কিন্তু তিনি ছিলেন একক স্ট্রাইকারের ভূমিকায়। নিচ থেকে সেভাবে বলের জোগান না পেলেও নর্থইস্ট ম্যাচে তিনি একক দক্ষতায় বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিলেন। বক্সের ঠিক মাথায় একটি ফ্রিকিকও আদায় করেন, যা থেকে গোল হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়েছিল।
আলিয়া ভট
নিজের প্রথম ছবি স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার-এ এই হলুদ বিকিনি ও সারঙ্গ -এ দেখা গিয়েছিল আলিয়াকে।
কঙ্গনা রানাউত
একটি ফটোশুটের জন্য রূপোলি রংয়ের বিকিনিতে কঙ্গনা।
অনুষ্কা শর্মা
লেডিজ ভার্সেস রিকি বেহল ছবিতে নিজের বিকিনি বডির প্রদর্শন করছেন অনুষ্কা শর্মা।
সোনম কাপুর
বেওয়াকুফিয়া ছবিতে গোলাপী বিকিনিতে সোনম কাপুর।
লিজা হেডেন
এই মডেল অভিনেত্রী এমনিতেই নিজের খোলামেলা পোশাকের জন্য পরিচিত। সউকিন হোক বা কুইন বারে বারেই সাহসী পোশাকে দেখা গিয়েছে লিজাকে। একটি ভিডিও অ্যালবামের শুটিকে ফিউশন বিকিনি অবতারে লিজা।
নার্গিস ফাকরি
একটি ফটোশুটের জন্য নার্গিসের বিকিনি অবতার।
অদিতি রাও হায়দারি
নিজের বিকিনি লুকে সবাইকে চমচে দিয়েছেন অদিতি রাও হায়দারি।
মুগ্ধা গডসে
ফ্যাশন ছবির দৃশ্যে মডেল অভিনেত্রী মুগ্ধা গডসে।
মিনিষা লাম্বা
বহুদিন বড়পর্দায় দেখা নেই এই মিষ্টিমুখী অভিনেত্রীর। কিন্তু সেই মিষ্টি ইমেজটাই ভাঙতে চাইছেন মিনিষা। আর সেই ইমেজ ভাঙতে মিনিষার এই বিকিনি লুক প্রচণ্ডভাবে সাহায্য করতে পারে।
সোনল চৌহান
সোনাল চৌহানের বিকিনি দৃশ্য আজও দর্শকের মনে রয়ে গিয়েছে।
অমিষা পটেল
আরও এক অভিনেত্রী যিনি বলিউড থেকে প্রায় উধাও হয়ে গিয়েছেন, তিনি আমিষা পটেল। কিন্তু থোরা প্যায়ার থোরা ম্যাজিক ছবির ক্রেজি লমহে গানে আমিষার হলুদ বিকিনিতে অনেকেই মন হারিয়েছিলেন।
অমৃতা আড়োরা
বলিউডের আর এক হট অভিনেত্রী অমৃতা। কিন্তু আপাতত তিনি বিদায় জানিয়েছেন বলিউডকে।
গহর খান
বিগ বস ৭ এর বিজয়ী গহর খান মডেলিং জগত থেকে আসায় নিজের শরীর নিয়ে বেশ খুঁতখঁতে তিনি। আর তার ছাপই তাঁর চেহারায় পাওয়া যায়।
এভলিন শর্মা
আজ ব্লু হ্যায় পানি পানি গানে এভলিন শর্মার হট বিকিনি লুক ভুলবে কার সাধ্যি।
বিপাশা বসু
ধুম ২ হোক বা রেস প্রতিবারই নিজের বিকিনি লুকে পুরুষ হৃদয়ে ঢেউ তুলেছেন বিপাশা।
করিনা কাপুর
কমবক্ত ইশক ছবিতে কালো এই ডিজাইনার সুইমস্যুটে অনবদ্য বেবো।
ক্যাটরিনা কাইফ
একটি ফটোশুটে বিকিনিতে ক্যাটরিনা কাইফ।
লাঞ্জারোতে নিজের পছন্দের জায়গায় ফিরিয়ে এনে কোচ কপেল যদি কালু উচেকে সামনে খেলান, তাহলে কিন্তু এফসি গোয়ায় যে লাঞ্জারোতে-কোরোমিনাস জাদু দেখা গিয়েছিল, তা এটিকে-তেও দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।