নর্থইস্টের ঘরের মাঠে পরাজিত বেঙ্গালুরু! হারলেও সুনীলরা পেলেন গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল
গুয়াহাটিতে আইএসএল ২০১৮-১৯'এর প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসি-কে হারিয়ে দিল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। তবে বেঙ্গালুরু একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ে গোল পেল।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) গুয়াহাটিতে আইএসএল ২০১৮-১৯'এর প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসিকে ২-১ গোলের ব্য়বধানে পরাজিত করল নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি। পরাজিত হলেও বাইরের মাঠে ১ গোল করে রাখায় কিছুটা সুবিধায় বেঙ্গালুরু। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতলেই ফাইনালে উঠবে তারা।
এদিন ম্যাচে প্রাধান্য ছিল নর্থইস্টেরই। প্রথমবার দল সেমিফাইনালে ওঠায় গ্যালারি ভর্তি করে দর্শক এসেছিলেন। ঘরের সমর্থনে উজ্জীবিত নর্থইস্ট প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যেই ৩ বার আক্রমণ শানায়। এই মুহূর্মুহূ আক্রমণের ফলে ২০ মিনিটের মাথাতেই তারা প্রথম গোল পায়। ডানপ্রান্তে রিদিম লাং-কে বল বাড়িয়েছিলেন ওগবেচে। গতিতে নিশু কুমারকে হারিয়ে বক্সের মধ্যে ঢুকে গোল করে যান তিনি।
বিরতির সময় পর পর দুটি ধাক্কা খায় নর্থইস্ট। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ওগবেচে ও রোলিন বোর্গেস। তা সত্ত্বেও ৮২ মিনিট পর্যন্ত প্রাধান্য ধরে রাখে তারা। কিন্তু ৬০ মিনিটের মাথায় পরিবর্ত হিসেবে নামা সিসকো হার্নান্দেজ ম্যাচে সমতা ফেরান। তার আগে তিনি সুনীল অবশ্য বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন।
মিকুর সঙ্গে ওয়ান-টু পাস খেলে অনেকটা উপরে উঠে গিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। সেখান থেকে বক্সে ফাঁকায় বল বাড়ান হার্নান্দেজকে। রক্ষণের মুহূর্তের ভুলে একটি গোল হজম করতে হয় নর্থ ইস্ট-কে।
তবে ম্যাচে ঘটনার এখনও অনেকটাই বাকি ছিল। ১-১ ফলে শেষ হচ্ছে যখন এমনটাই ধরে নেওয়া হয়েছে, ঠিক সেই সময় একেবারে শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পায় নর্থইস্ট। ইনজুরি টাইমে প্রায় কর্ণারের কাছ থেকে ফ্রিকিক পেয়েছিল নর্থইস্ট। বলা যেতে পারে ম্যাচের একেবারে শেষ মুভ ছিল। সেই শট নেওয়ার সময় ওগবেচের বদলে মাঠে নামা মাসিয়াকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেন খাবরা।
পেনাল্টি থেকে গোল করে ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে খুশির মহল এনে দেন মাসিয়াই। অবশ্য ম্যাচে ৭০ মিনিটের মাথাতেও পেনাল্টি পাওয়া উচিত ছিল নর্থইস্ট ইউনাইটেডের। মাসিয়াকেই ফাউল করেছিলেন নিশু কুমার। কিন্তু তা রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়।
দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে নামবে ঠিকই কিন্তু তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারি পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যে দল তেল খাওয়া মেশিনের মতো চলছিল, লিগের শেষ ভাগে এসে তাদেরই দেখে মনে হচ্ছে দম ফুরিয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দ্বিতীয় লেগেও পারফরম্যান্সের উন্নতি না হলে গতবারের মতো এই বারেও প্রথম থেকে এগিয়ে থেকে, ট্রফি হাতছাড়াই হবে তাদের।