আইএসএল ২০১৮: ঘরের মাঠে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিল এটিকে
আইএসএল ২০১৮-এর এটিকে বনাম চেন্নাইন এফসি ম্য়াচে এটিকে ২-১ গোলে জিতল।
পাঁচ ম্যাচ কেটে গেলেও এখনও জয়ের মুখ দেখতে পেল না আইএসএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইন এফসি। কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এদিন লড়াইটা ছিল দুবার করে আইএসএল জয়ী এটিকে ও চেন্নাইনের মধ্যে। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়ে এক লাফে লিগ টেবিলের ৪ নম্বরে উঠে গেল স্টিভ কপেলের দল।
এইদিন ম্যাচের শুরুতেই কালু উচে (৩') ও জন জনসন (১৩')ঃএর গোলে ২-০ গোলে ইগেয় গিয়েছিল। পরে চেন্নাইনের হয়ে কার্লোস সালোম এক গোল শোধ করলেও তাতে এটিকের জয় আটকায়নি।
এদিন দলের প্রথম এগারোয় মাত্র একটি পরিবর্তন করেছিলেন স্টিভ কপেল। জামশষেদপুরের বিরুদ্ধে ম্য়াচের ঠিক আগে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ধরায় প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন কালু উচে। এদিন মামৌনির জায়গায় তিনি প্রথম দলে ফিরে আসেন।
অপরদিকে চেন্নাইনের এদিনের কোচ পাশা দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করা দলই অপরিবর্তিত রেখেছিলেন।
গোল করার সমস্যায় ভোগা এটিকে এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যায়। করণজিত সিংয়ের গোলকিক মাঝমাঠেই ধরে নেন গার্সন ভিয়েইরি। তাঁর হেড থেকে বল পেয়ে যান কালু। উচে গোল করে এটিকেকে এগিয়ে দিতে ভুল করেননি।
১১ মিনিটের মাথাতেই উচে তাঁর দ্বিতীয় গোল পেয়ে যেতে পারতেন। লাঞ্জারোতের বাঁক খাওয়ানো বল থেকে সরাসরি তিনি গোলে শট নেন। কিন্তু এই ক্ষেত্রে ভাল সেভ করেন করণজিৎ। কিন্তু এর দু'মিনিট পরই এটিকে তার জয়ের গোল পেয়ে যায়। এবারও গোলের পিছনে ছিলেন সেই লাঞ্জারোতে। তাঁর তোলা ফ্রিকিকেই মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যামন এটিকের দীর্ঘকায় ব্রিটিশ ডিফেন্ডার জন জনসন।
শুরুতেই দুই গোল খেলেও এরপরই ম্যাচে ফিরে এসেছিল চেন্নাইন। ১৭ মিনিটের মাথায় ডানপ্রান্তে ফ্রান্সিস ফার্নান্ডেজ রিকি লাল্লাওমাওয়ামাকে কাটিয়ে উঠে এসেছিলেন। সেখান থেকে একটি বাঁক খাওয়া ক্রস ভাসিয়েছিেলন বক্সের মধ্যে। প্যালেস্তাইনের জাতীয় দলের খেলোয়াড় কার্লোস সালোম হেডে হল জালে জড়িয়ে দেন।
বিরতিতেই এটিকে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে সেই ব্যবধান ঘোচানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সালোমই প্রথম সুযোগ পেয়েছিলেন। জন জনসন বক্সের মধ্যে একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সময়ের খানিক ভুলচুক করে ফেলেন। সালোম সেই বল কেড়ে নিয়ে গোলে শট নেন। কিন্তু দুরূহ কোন থেকে নেওয়া সেই শট তিন কাঠির মধ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
শেষ ১৫ মিনিটে পাশা জেজেকে তুলে গ্রেগরি নেলসনকে নামিয়েছিলেন। নেলসন কিন্তু যেটুকু সময় হাতে পেয়েছিলেন, গোল করার আপ্রাণ চেষঅটা করে গিয়েছেন। ৭৯ মিনিটের মাথায় থই সিংয়ের ক্রস থেকে হেডে প্রায় গোল করেও ফেলেছিলেন। কিন্তু এটিকের গোলের নিচে সজাগ ছিলেন অরিন্দম। তাই বিপদ হয়নি।
একেবারে শেষ মুহূর্তে এটিকের সামনে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল। দুই চেন্নাইন রক্ষণভাগের ফুটবলারকে টপকে জয়েশ রানে ডানপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন চেন্নাইন পেনাল্টি বক্সে। সেখান থেকে আড়াআড়ি পাস বাড়িয়েছিলেন কালু উচের জন্য। কালুর লব বার পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
ঘরের মাঠে জিততে চেয়েছিলেন স্টিভ কপেল। ঘরের সমর্থকদের সামনে তিন পয়েন্ট তুলতে চেয়েছিলেন। তা পূরণ হওয়ায় এই মুহূর্তে ৫ ম্য়াচ খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ৪ নম্বরে উঠে গেল। অবশ্য অন্যান্য সব দলই তাদের থেকে ১টি বা ২টি করে ম্যাচ কম খেলেছে। তবে এদিনের ম্য়াচ কিন্তু এটিকে সমর্থকদের সস্তি দেবে, কারণ শুক্রবারের ম্য়াচ বুঝিয়ে দিল আস্তে আস্তে ছন্দটা পেতে শুরু করেছে এটিকে।
অন্য়দিকে আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা কিন্তু এই মরশুমে ৫ ম্যাচে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে আরও ডুবে গেল। তাদের নিচে আছে একমাত্র পুনে সিটি। কিন্তু তারা চেন্নাইয়ের থেকে ২ ম্য়াচ কম খেলেছে।