আইএসএল ২০১৮-১৯, জেনে নিন এই মরসুমে কেমন দল হল এফসি গোয়ার
জেনে নিন আইএসএল ২০১৮-১৯ মরসুমে, এফসি গোয়ার কোচ, নতুন সাইনিং, উল্লেখযোগ্য সাইনিং এবং শক্তি ও দুর্বলতা সঙ্গে সম্পূর্ণ স্কোয়াড সম্পর্কে।
ভারতে ফুটবলের পীঠস্থান বলতে যে কয়েকটি জায়গার নাম মনে আসে, তার একটি হল গোয়া। এখানকার ক্লাব ফুটবল অত্যন্ত শক্তিশালী। তারই পরিচয় পাওয়া গিয়েছে আইএসএল-এও। গোয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আইএসএল-এর চার বছরের মধ্যে তিন-তিনবার প্লেঅফ খেলেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় একবারও ট্রফি জিততে পারেনি।
এবার তাঁদের সমর্থকরা আশা করছেন কোট সের্গিও লোবেরার আক্রমণাত্বক খেলার স্টাইলে মাত করবে তাদের সাধের গাউর-রা (তাদের লোগো অনুযায়ী সমর্থকরা ভালবেসে দলকে এই নামেই ডাকে)। সোমবার উত্তরের পাহাড়ের কোলে নর্থইস্ট উইনাইটেডের বিপক্ষে তারা শুরু করছে এবারের আইপিএল অভিযান। তার আগে দেখে নেওয়া যাক তাদের দলের শক্তি ও দুর্বলতা।
|
কোচ
আইএসএল ২০১৭-১৮ মরসুমেই দেখা গিয়েছিল সের্গিও লোবেরার আক্রমণাত্মক খেলার ভঙ্গী। আর তাতেই তারা পৌঁছে গিয়েছিল প্লেঅফে। এবারও প্রতিপক্ষকে ছিন্নভিন্ন করা সেই আকর্ষণীয় ফুটবল খেলার দর্শনটা তিনি পাল্টাবেন না বলেই মনে হয়। তাদের দলে এই স্টাইলে খেলার মতো দক্ষ বিদেশী ফুটবলারেরও অভাব নেই।
|
নতুন সাইনিং
ভারতীয়: লালথুয়ানমাওয়িয়া রালতে, মহম্মদ নওয়াজ, নির্মল ছেত্রী, লেনি রড্রিগেজ, জ্যাকচন্দ্র সিং।
বিদেশী: কার্লোস পেনা, মৌর্তাদা ফল, মিগেল পালাঙ্কা।
|
উল্লেখযোগ্য সাইনিং
এই মরসুমে গোয়া কেরাল ব্লাস্টার্স থেকে জ্যাকিচাঁদ সিংকে তুলে নিয়েছে। লোবেরার হাতে আগেই মান্দার রাও দেসাই এবং ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজের মতো দুই ভারতীয় উইঙ্গার ছিল। জ্যাকিচাঁদ আসায় এই বিভাগে আরও অভিজ্ঞতা এবং মান যুক্ত হয়েছে। এছাড়া নির্মল ছেত্রী এবং লেনি রড্রিগেজের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দেরও নিয়েছে এফসি গোয়া।
এই ভারতীয়দের পাশাপাশি তারা তিনজন নতুন বিদেশি স্বাক্ষর করিয়েছে। ডিফেন্সে কার্লোস পেনা, মৌর্তাদা ফল, এবং মানুয়েল ল্যাঞ্জারোতের বদলি হিসেবে মিগেল পালাঙ্কা। তিনজনেরই ভারতীয় ফুটবল নিয়ে কোনও ধারণা নেই। তাই এই নতুন দেশে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন সেটাই দেখার।
|
শক্তি এবং দুর্বলতা
এই মরসুমেও আক্রমণ বিভাগই এফসি গোয়ার শক্তি। গতবারের গোল্ডেন বুট বিজয়ী স্টার স্ট্রাইকার ফেরান কোরোমিনাসকে তারা ধরে রেখেছে। অ্যাটাকিং থার্ডে সাহায্যের জন্য রয়েছেন ভারতের অনুর্ধ ২৩ জাতীয় দলের স্ট্রাইকার মানবীর সিং এবং মিগেল পালাঙ্কা। জ্যাকিচাঁদও দলের আক্রমণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন।
গত মরসুমে দলে ভাল মানের ডিফেন্ডারের অভাবে ভুগেছিলেন সের্গিও লোবেরা। এবছর সেই অভাব পূরণ করতেই দলে নেওয়া হয়েছে মৌর্তাদা ফল এবং কার্লোস পেনাকে। তবে এরপরেও সমস্যা আছে তাদের ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়ে। তারা ততটা শক্তিশালী নয়। সমস্যা আছে গোলরক্ষক বিভাগেও। লক্ষিকান্ত কত্তিমনি ভরসা দিতে পারেননি। তাঁর বিকল্প রালতের আবার অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।
|
সম্পূর্ণ স্কোয়াড
গোলরক্ষক: লালথুয়ানমাওয়িয়া রালতে, লক্ষ্মিকান্ত কাট্টিমনি, মহম্মদ নওয়াজ
ডিফেন্ডার: কার্লোস পেনা, চিংলেনসানা সিং, লালমাঙ্গাইসঙ্গা, মহম্মদ আলি, নির্মল ছেত্রী, সেভিয়ার গামা, মৌর্তাদা ফল, সেরিটন ফার্নান্দেজ
মিডফিল্ডার: মিগেল পালাঙ্কা, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজ, আহমেদ জাহোউহ, এডু বেদিয়া, হুগো বৌমাস, লেনি রড্রিগেজ, মান্দার রাও দেসাই, ইমরান খান, প্রিন্সটন রেবেলো, জ্যাকিচাঁদ সিং, প্রতেশ শিরোদকর
ফরোয়ার্ড: ফেরান কোরোমিনাস, মানবীর সিং ও লিস্টন কোলাকো