ড্র ম্যাচেও প্রাণবন্ত ফুটবলের সাক্ষী থাকল একাটেরিনবার্গ এরিনা
দুরন্ত খেলে সেনেগালকে আটকে দিল জাপান। দুই দলই দুরন্ত ফুটবল খেলে।
বিশ্বকাপ যখন শুরু হয়েছিল কেউই ভাবেননি সেনেগাল, জাপানের মতো দল বিশ্ব ফুটবলের মূল মঞ্চে নিজেদের দ্যূতির বিচ্ছুরণ ঘটাবে। কিন্তু যত বিশ্বকাপ গড়াচ্ছে ততই নিজেদের জাত চেনাচ্ছে জাপান এবং সেনেগাল।
রবিবার
একাটেরিনবার্গ
এরিনায়
যে
ফুটবলের
নিদর্শন
রাখল
সেনেগাল
এবং
জাপান
তা
দীর্ঘ
দিন
মনে
রাখবেন
ফুটবলপ্রেমীরা।
এদিন
ম্যাচের
শুরু
থেকেই
আক্রমণাত্মক
ফুটবল
খেলতে
থাকে
দুই
দল।
যদিও
সেনেগালের
শরীরী
ক্ষমতার
কাছে
এদিন
প্রথম
দিকে
কিছুটা
বেগ
পেতে
হয়
জাপানকে।
তবে,
নিজেদের
দক্ষতা
এবং
স্কিলের
সাহায্যে
সেই
প্রতিদ্বন্দ্বীতাকে
স্রেফ
উড়িয়ে
এগিয়ে
যায়
জাপান।
ম্যাচের
১১
মিনিটে
জাপানের
ডিফেন্সিভ
ব্যর্থতার
সুযোগ
নিয়ে
গোল
করে
যায়
সেনেগালের
সাদিও
মানে।
প্রথম
গোল
পেয়ে
যাওয়ার
পর
আক্রমণের
ঝাঁঝ
আরও
বাড়িয়ে
দেয়
সেনেগাল।
যদিও
লিড
বেশিক্ষণ
ধরে
রাখতে
পারেনি
সেনেগাল।
ম্যাচের
৩৪
মিনিটে
বিশ্বমানের
গোল
করে
জাপানকে
সমতায়
ফেরান
তাকাসি
ইনুই।
১-১
গোলে
শেষ
হয়
প্রথমার্ধের
খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধের
শুরু
থেকেই
ফের
জ্বলে
ওঠে
দুই
দল।
প্রথমার্ধের
মতো
দ্বিতীয়ার্ধেও
জাপানের
আধিপত্যই
ছিল
বেশি।
কিন্তু
খেলার
গতির
বিপরীতে
ম্যাচে
৭১
মিনিটে
গোল
করে
সেনেগালকে
এগিয়ে
দেন
মৌসা।
দেশের
জার্সিতে
প্রথম
গোল
করেন
১৯
বছরের
এই
ডিফেন্ডার।
রক্ষণভাগের
ফুটবলার
হলেও
গোলটা
ছিল
আকর্ণীয়।
এর পরেই ম্যাচে মাস্টারস্টোক দেন জাপানের কোচ। শিঞ্জি কাগাবার পরিবর্তে ৭২ মিনিটে মাঠে নামান কাইসুকে হোন্ডাকে। আর এই পরিবর্তনই ম্যাচে সমতায় ফিরিয়ে আনে জাপানকে। ইনুইয়ের পাস থেকে বাঁ পায়ে গোল করে জাপানকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন হোন্ডা।
ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে দেয় জাপান। যদিও কোনও দলই আর ম্যাচে গোল সংখ্যা বাড়াতে পারেনি। ২-২ গোলে শেষ হয় ম্যাচ। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সেনেগালের সাদিও মানে।