এশিয়ার হৃদয় ভেঙে বিদায় তাকাশিদের, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা জাপানে
ফের একবার এশিয়ার হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল জাপান। তবে হারলেও বীরের মতো খেলেছে জাপানিরা।
ফের একবার এশিয়ার হৃদয় ভেঙে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিল জাপান। তবে হারলেও বীরের মতো খেলেছে জাপানিরা। এই দলটি ১৯৯৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের আসরে খেলতে আসে। তারপর থেকে একটানা ছয় বার জাপানিরা বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলেছে। নিয়মিত বিশ্বকাপ খেললেও ২০০২ ও ২০১০ সালের পর এবার ২০১৮ সালে শেষ ১৬-য় পৌঁছয় হন্ডা, তাকাশিদের দল।
জাপান গ্রুপ লিগে ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়ে পরের রাউন্ডে ওঠে। এইজি কাওয়াশিমা, মাকাতো হাসিবে, ইওয়োতো নাগামোতো, শিনজি ওকাজাকি দেশের হয়ে বিশ্বকাপে ১১তম ম্যাচ খেলতে নামেন বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। জাপানের হয়ে যা জাতীয় রেকর্ড।
এদিন প্রথমার্ধ কাটিয়ে দেওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই অন্য জাপানকে দেখা যায়। বেলজিয়াম মাঝমাঠের দখল নেওয়ার আগেই ৪৭ মিনিটে জাপানকে গোল করে এগিয়ে দেন ৮ নম্বর জার্সিধারী হারাগুচি। তার পাঁচ মিনিট পরে ৫২ মিনিটে তাকাশি ইনুই বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে ২-০ করে ফেলেন।
মনে হচ্ছিল, এশিয়ার দেশ হিসাবে ইতিহাস তৈরি করে ফেলবে জাপান। কারণ বেলজিয়াম তিন গোল পরপর করে ফেলবে তা কেউ ভাবতেও পারেননি। কিছুটা আত্মতুষ্ট জাপান ডিফেন্স মজবুত না করে আরও আক্রমণ হানতে যায় বেলজিয়াম বক্সে।
যার ফল হাতে-নাতে পেয়েছে স্যামুরাই ব্লু-রা। ৬৯ মিনিটে হেড করে গোল করে বেলজিয়াম। ৭৪ মিনিটে ২-২ সমতা ফেরায়। আর ম্যাচ শেষে ১৭ সেকেন্ড আগে প্রতি আক্রমণ থেকে তৃতীয় গোল পেয়ে জাপানের স্বপ্ন ফের একবার ধূলিস্যাৎ করে দিয়ে যায় বেলজিয়াম।
ম্যাচ শেষে জাপানি খেলোয়াড়দের মধ্যে ছিল স্বপ্নভঙ্গের হতাশা। এত কাছে এসে শেষ আটের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে তা ভাবতে পারেননি তাকাশি, কাওয়াশিমারা। তবে শেষ অবধি ফের একবার শেষ আটে স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই জাপানকে ফিরে আসতে হচ্ছে বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে।