যুবভারতীতে রঙিন আলপনা, বিশ্বের সামনে বাংলার নতুন মুখ
বাঙালি স্পেশাল যুবভারতী। ফুটবলের মঞ্চ হিসেবে তারা মাতিয়ে দিয়েছে। ফিফার সামনে বাংলার শিল্প শৈলী তুলে ধরেছে।
রাত পোহালেই বাংলায় বিশ্বকাপের ফাইনাল। স্পেন ও ইংল্যান্ড ইউরোপীয় ফুটবলের জাত্যাভিমান প্রমাণ করতে নামবে । অন্যদিকে যুবভারতী বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে বাংলার মুখ।
বাংলার মুখ বিশ্বে
যুবভারতী স্টেডিয়াম বাজিমাত করে দিয়েছে। অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের মঞ্চে সফলতম ভ্যেনু কলকাতার এই মেগা স্টেডিয়ামই। প্রথম ম্যাচ থেকেই এই ভ্যেনু বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের ফাইনালের ভ্যেনু বেছে নিয়ে কোনও ভুল করেনি ফিফা।
মেগা ইভেন্ট, হেভিওয়েট গেস্ট
যুবভারতীতে অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে চাঁদের হাট। ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফানন্তিনো থেকে এএফসি প্রধান ডাটো উইন্ডসোর সকলেই হাজির থাকবেন স্পেন বনাম ইংল্যান্ড ফাইনাল।
আবার আলপনা
যুবভারতীর যে প্রধান গেট যেটা দিয়ে ভিআইপি অতিথিরা আসবেন সেখানে ৬০০ ফুট রাস্তায় আলপনা আঁকল প্রায় ২০০ ছাত্রছাত্রী।
সমাজসেবী থেকে যুবভারতী
এবারের দুর্গাপুজোর সময় সমাজসেবীর পুজোয় লেক রোডে আলপনা এঁকে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল শহর। সেই ছাপটাই এবার এল যুবভারতীতেও।
কারা করলেন
শনিবার ফাইনালের আগে এক অভিনব কীর্তি করে ফেললেন ২০০ ছাত্রছাত্রী। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ও চারটি কলেজের ছাত্রছাত্রী মিলে স্টেডিয়ামের ৬০০ ফুট রাস্তা জুড়ে আলপনা আঁকল।
এবারের আলপনা টিকে থাকবে
পুজোর সময় কলকাতার রাস্তা জুড়ে যে দীর্ঘ আলপনা দেওয়া হয়েছিল, তা খুব তাড়াতাড়ি উঠে গিয়েছিল। তাই সেই থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে আলপনায় যে মেটিরিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে তা একটু বেশিদিন থাকবে। প্রায় সপ্তাহ খানেক অবধি থাকবে এই আলপনা।
'যারা হাটকে '
আলপনায় উঠে এসেছে বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্ন। চিরন্তুন যে আলপনা দেওয়া হয় তার থেকে একটু অন্যরকম এই আলপনাগুলি। আসলে বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মিশেল হবে বিশ্ব দর্পণ।