'সেই ট্র্যাডিশান সমানে চলেছে'- মরগ্যান থেকে সঞ্জয়ের সরে যাওয়ার ময়দানি কাহিনি
বছর বছর ধরে পথ চলে ময়দান, কিন্তু কোনও বদল হয় না।
বছর বছর ধরে পথ চলে ময়দান। কিন্তু চরিত্রে কোনও বদল হয় না। টিকিট কাটা-র লাইন কাউন্টার থেকে অনলাইন হয়, ক্লাবগুলি নাকি পেশাদার হয়ে ওঠে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে যে চরিত্র রয়েছে তা তো আর বাইরের খোলস বদলে বদলায় না। সেটা বন্যতা।
[আরও পড়ুন:ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত একরোখা সঞ্জয় সেনের, দেখুন ভিডিও]
পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই প্রিয় দলের ব্যর্থতা মেনে নিতে পারেন না সমর্থকরা। জনরোষের শিকার হন কোচ থেকে ফুটবলার সকলেই। ভারতও বলা ভালো কলকাতাও তার ব্যতিক্রম নয়। ফুটবল মানচিত্রে বিশ্বের তাবড় শক্তির থেকে কতদূরে ফুটবল পড়ে আছে তো কী হয়েছে আবেগটা তো আর পিছনে পড়ে নেই। এত অবধিও বোধহয় ঠিক ছিল। কিন্তু যে পদ্ধতিতে তথাকথিত 'ব্যর্থ' কোচকে সরিয়ে দেওয়া হল তাতেই আপত্তি ওঠা উচিত। ২০১৪ -র শেষে ফুল দিয়ে যাঁকে বরণ করে নেওয়া হয়েছিল তাঁকে ২০১৮-র শুরুতে থুতু দিয়ে বার করে দেওয়া হল।
এর আগে ইস্টবেঙ্গলেও একই ছবি দেখেছিল ২০১৭ সালে। ২০১০-২০১৩ সাল অবধি দারুণ সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছিলেন লাল-হলুদের সাহেব কোচ। একমাত্র আই লিগ ছাড়া সবকিছুই তিনি দিয়েছিলেন লালহলুদকে। টানা তিনবার কলকাতা লিগ জয় করান, ফেডারেশন কাপ জেতান, দলকে এএফসি কাপে-র যোগ্যতা অর্জন পর্বেও পৌঁছে দেন। সাময়িক ব্যর্থতায় এই সাহেব কোচের গায়ে থুতু ফেলতেও এক ফোঁটাও বাঁধেনি লালহলুদ ফ্যানদের। এহেন কোচ দ্বিতীয় ইনিংসের জন্য কলকাতা ময়দানে ফিরিয়ে আনা হয়। ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল ফিরিয়ে আনা হয়েছিল মরগ্যানকে। কিন্তু আই লিগে পরপর চার ম্যাচের হারের ধাক্কায় টলমল হয়ে যায় তার আসন। এরমধ্যে ছিল সম্মানের ডার্বি ম্যাচেও হার।
ডার্বি ম্যাচের বৈতরণী পার করেছিলেন সঞ্জয় সেন। কিন্তু তাও শেষ রক্ষা হল না, তিনটি ড্র ও একটি হারেই কাঁচি হয়ে গেলেন কোচ। কাঁচি হয়ে যাওয়া নিয়ে অবশ্য কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু ময়দানি সংস্কৃতি নিয়ে বক্তব্য আছে। যাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় অনেক আশায় তাঁকে থুতু দিয়ে বিদায় জানানোর কালচারটা বদলালেই বোধহয় ভালো।