রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে কষ্টার্জিত জয় উরুগুয়ের
হোসে গিমিনেজের একমাত্র গোলে মিশরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল উরুগুয়ে। গ্রুপ ‘এ’ –এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটা।
হোসে গিমিনেজের একমাত্র গোলে মিশরকে হারিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল উরুগুয়ে। গ্রুপ 'এ' -এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল এটা। উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি আরবকে আয়োজক দেশ রাশায়ি ৫-০ গোলে হারিয়ে দেওয়ায় এই ম্যাচের গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছিল।
ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচ জেতার লক্ষ্য এদিন শুরু থেকেই বিদ্ধংশী মেজাজে পাওয়া যায় মিশর এবং উরুগুয়ে দুই দলকেই। দু'টি দলই তুলে আনতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। বিশেষ করে মিশরের খেলা ছিল এদিন চোখে পড়ার মতো।
আফ্রিকার এই দেশটিকে হারতে হলেও গোটা ম্যাচে সুন্দর ফুটবলের নমুনা রাখে নীল নদরে পার্শ্ববর্তী দেশটি। একবারও দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের মঞ্চে সুযোগ পেয়েছে মিশর। বরং মাঠের মধ্যে তাদের লড়াই ছিল দেখার মতো।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। পেন্ডুলামের মতো মাঠের বল গড়ায় মাঠের দুই প্রান্তে। 'বক্সে টু বক্স' খেলায় দু'টি দলই চেষ্টা চালায় একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ফরওয়ার্ড লাইনের ব্যর্থতায় কোনও দলই গোল তুলতে পারেনি প্রথমার্ধে।
এদিনে ম্যাচে ঝুঁকি নিয়ে মহম্মদ সালাহকে নামায়নি মিশর। তবে, সালাহ না থাকলেও প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে দলে ছিলেন এই মুহূর্তে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম ভয়ঙ্কর দুই স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ এবং এডিনসন কাভানি। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করার চেষ্টা করেন কাভানি। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণ উঠে আসে মিশরের রক্ষণভাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলকে তিন কাঠিতে সফল ভাবে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। ৮৮ মিনিটে নেওয়া কাভানির ফ্রি কিক ফিরে আসে পোস্টে লেগে।
কাভানি চেষ্টা চালালেও মিশরের বিরুদ্ধে একেবারেই চেনা ছন্দের ধারে কাছে পাওয়া যায়নি লুইস সুয়ারেজকে। ম্যাচের প্রথম থেকেই মনে হচ্ছিল খেলা থেকে যেন হারিয়ে যাচ্ছে বার্সেলোনার এই স্ট্রাইকার। বেশ কয়েকটা সহজ পরিস্থিতিতেও বলের দখল হারান তিনি। সাধারণত সুয়ারেজের থেকে এই খেলা দেখা যায় না।
তবে, সব খারাপকে এদিন একাই ঢেকে দিয়ে গেলেন হোসে গিমিনেজ। ম্যাচের ৯০ মিনিটে স্যাঞ্চেজের ক্রস মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান গিমিনেজ। উরুগুয়ের পরবর্তি ম্যাচ ২০ জুন সৌদি আরবের বিপক্ষে।