বিশ্বকাপের আকাশে দুই তারা খসে পড়ল একই দিনে, বিষাদের ছায়া ফুটবল দরদীদের মনে
একই দিনে একই আকাশ থেকে জোড়া নক্ষত্রপতন। কাঁদছে বিশ্বকাপ। মেসি নেই, রোনাল্ডো নেই। নেই তাঁদের দ্বৈরথ। বিশ্বকাপ এক দিনেই বর্ণহীন।
একই দিনে একই আকাশ থেকে জোড়া নক্ষত্রপতন। কাঁদছে বিশ্বকাপ। মেসি নেই, রোনাল্ডো নেই। নেই তাঁদের দ্বৈরথ। বিশ্বকাপ এক দিনেই বর্ণহীন। বিশ্ব-ফুটবলের দুই মহানায়কই বিদায় নিয়েছেন বিশ্বকাপের আসর থেকে। তাই জৌলুষ হারাল বিশ্বকাপ। নিছকই নিয়মরক্ষার খেলা হয়ে দাঁড়াল রাশিয়ার বিশ্ব ফুটবলের আসরে।
আর কার টানে খেলা দেখবে বিশ্ব। যে যাই খেলুন, যাই করুন, সব আকর্ষণ তো তাঁদের ঘিরেই। এমনকী নেইমারও এখনও সেই ক্রেজ তৈরি করতে পারেননি। সেই কারণে নক-আউট পর্বের প্রথমদিনেই মেসি-রোনাল্ডোর মতো মহাতারকার মহাপতনে বিশ্বকাপ বর্ণহীন হবেই। ফুটবলপ্রেমীরা হা-হুতাশ করবেই খেলা দেখতে দেখতে।
প্রি-কোয়ার্টর ফাইনালের লড়াইয়ে মেসির আর্জেন্তিনা বা রোনাল্ডোর পর্তুগাল- উভয়েরই কেউই ফেভারিট ছিল না। এদিনের যুদ্ধে উভয় দলই পিছিয়ে ছিল যথাক্রমে ফ্রান্স ও উরুগুয়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। তবু মন বলছিল মেসি-রোনাল্ডোদের ম্যাজিকে দল পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছে যাবে ঠিকই। কিন্তু তা হয়নি। দুই মহাতারকাকেই জবুথবু করে দিয়ে ড্যাংডেঙিয়ে জিতে গিয়েছে ফেভারিট দল। কিন্তু ম্যাচ শেষেও মেনে নিতে পারেননি সমর্থকরা, ফুটবলপ্রেমীরা।
মন বারবার খচখচ করে উঠছে, কেন এমনটা হল, কেন এমনটা হল না। তবু সারসত্য এই যে, দুই মহাতারকাই এবারের বিশ্বকাপে আর নেই। পরবর্তী বিশ্বকাপে আর তাঁদের দেখা যাবে কি না তাও স্পষ্ট নয়। আপাতত বিশ্বফুটবলে রাজ করলেও দুই মহানায়কই বিশ্বকাপের আসরে ট্রাজিক হিরো হয়ে রয়ে গেলেন। তাঁদের সর্বকালেলর সেরা তকমা দেওয়ার আগে তাই সবাই-ই দুবার ভাববে। ভাববে মারাদোনাদের অসম লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে আনার কথা। তবে সেই লড়াই চলতেই থাকবে, আর মনে বিষাদের ছায়া নিয়েই বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলি দেখতে বসতে হবে ফুবলপ্রেমীদের।