পোল্যান্ড বধের নায়ক খুশি দল জেতায়
অনবদ্য পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিয়াং।
সেনেগালের জার্সিতে যখন মাঠে নেমেছিলেন তখনও হয়তো ভাবেননি ম্যাচ শেষে নায়কের সম্মান নিয়ে মাঠ ছাড়বেন। কিন্তু অখ্যাত এক ফুটবলার রাতারাতিই নায়ক হয়ে গেলেন। এটাই তো বিশ্বকাপ! এটাই তো বিশ্বকাপের বৈশিষ্ট! ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে এমবাই হামাদি নিয়াংয়ের। ২৩ বছর বয়সী এই তারকা বিশ্বকাপের মূলপর্বে নিজের অভিষেকেই জাত চিনিয়ে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া।
প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলের সুবাদে এগিয়ে গেলেও, যেকোনও দলই চায় বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের ফুটবলাররা গোল করুক। আত্মঘাতী নয়, নিজের দেশের ফুটবলারের নামের পাশে গোল লেখা থাকুক। সেই কাজটাই করে দেখালেন নিয়াং। বলা যেতেই পারে গোলটা যদি নিয়াং না পেতেন তাহলে এই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হত সেনেগালকে। কারণ দ্বিতীয়ার্ধের অন্তিমলগ্নে গোল করে একটি গোল ফিরিয়ে দেয় পোল্যান্ড। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, দল জেতায় আমি খুশি।
শুধু গোল করাই নয়, গোটা ম্যাচে সেনেগালের হয়ে অনেকটা ওয়ার্ক লোড নিতে দেখা যায় নিয়াংকে। বলা ভাল নিয়াংয়ের কারণেই এদিন অধিকাংশ সময়ে ব্যাস্ত থাকতে হয় পোল্যান্ডের ডিফেন্সকে। এখন দেখার এই ফর্ম পরবর্তী ম্যাচগুলিতেও বজায় রাখতে পারেন কি না নিয়াং।