চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জমজমাট, সহজ জয় সিটি-র, ড্র করে চমক টটেনহ্যামের
টটেনহ্যাম হস্পার বুঝিয়ে দিল আর ইউরোপীয় ফুটবলে তারা মিনোস নয়,এদিকে বাসেলকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল ম্যানচেস্টার সিটি।
ভারতীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে দারুণ ফুটবল যুদ্ধের স্বাক্ষী থাকল দুনিয়া। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর লড়াইতে মুখোমুখি হয়েছিল জুভেন্তাস ও টটেনহ্যাম হস্পার, অন্য ম্যাচে লড়াই ছিল বাসেলের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি-র।
এদিন খেলার দু মিনিটের মধ্যেই গঞ্জালো হিগুয়েন দুরন্ত গোল করে জুভেন্তাসকে এগিয়ে দেন। সিরি-এ -র এক নম্বর দলের শুরুটা দেখে মনে হয়েছিল হাসতে হাসতে ম্যাচ জিতে যাবে ইতালিয়ান হেভিওয়েটরা। ৯ মিনিটের মাথায় স্কোরলাইন ২-০ করে দেন হিগুয়েনই। তবে এবারের গোলটা পেনাল্টি থেকে।
এদিকে দু গোলে পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে স্পারস। কিন্তু গোল দুর্গের নিচে জিয়ানলুগি বুঁফোর দুর্ভেদ্য প্রাচীরকে টপকানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। কিন্তু ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে ডেডলক ভাঙেন তাদের তারা হ্যারি কেন। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান কমান তিনি। ২-১ -এ শেষ হয় প্রথমার্ধ। এদিকে দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের দাপট বজায় রাখে তারা। ৭১ মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান এরিকসেন।
এদিকে অ্যাওয়ে ম্যাচে দুটি গোল দেওয়া থাকায় ৭ মার্চের হোম ম্যাচের আগে খানিকটা হলেও অ্যাডভানটেজ থাকল স্পারস। এদিন হ্যারি কেন গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে একজন ইংলিশ ফুটবলারের হয়ে সবচেয়ে গোল করার নজির গড়ে ফেললেন তিনি।
এদিকে টটেনহ্য়াম হস্পার লড়ল। অনেক সহজে জিতে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। বাসেলের বিরুদ্ধে তাদের স্কোরলাইন ৪-০। এদিন ১৪ মিনিটে সিটির হয়ে প্রথম গোল গুন্দোগানের। ১৮ মিনিটে গোল করেন বার্নাডো সিলভা। ২৩ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে দেন অ্যাগুয়েরো। প্রথমার্ধ শেষ হয় ৩-০ গোলে। এদিকে ৫৩ মিনিটে গুন্দোগানের দ্বিতীয় গোলে বাসেলের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতা হয়ে যায়।