জমজমাট ম্যানচেস্টার ডার্বি, মরিনহোকে দুয়ো দিলেন গুয়ারদিওলা
গত রবিবার হয়েছে কলকাতা ডার্বি, আর এই রবিবার ম্যানচেস্টার ডার্বির স্বাদ নিলেন ফুটবলপ্রেমীরা।
জমজমাট ম্যানচেস্টার ডার্বি। ক্রিসমাসের আগে জবরদস্ত ফুটবল যুদ্ধ দেখল দু'দলের সমর্থক।তবে এদিন তো শুধু দু'দলের লড়াই ছিল না। লড়াই ছিল দুই মগজাস্ত্রের। হোসে মরিনহো বনাম পেপ গুয়ারদিওলার লড়াই দেখল ফুটবল দুনিয়া। ২-১ ম্যান ইউকে হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিল ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিন শুরু থেকেই আক্রমণের ছকেই গিয়েছিলেন দুই হেভিওয়েট কোচ। আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে খেলা জমে ওঠে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। তবে অ্যাওয়ে ম্যাচে বল দখল থেকে প্রথম গোল পাওয়া সবকিছুতেই এগিয়ে রইল ম্যানচেস্টার সিটি। ৪৩ মিনিটে ডেভিড সিলভা গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড রক্ষণকে ধোঁকা দিয়ে গোল করে যান সিটি-র ফুটবলার।
তবে এই আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে গোল করে সমতা ফেরান ম্যান ইউয়ের র্যাশফোর্ড। তাঁর গোলটিও অবশ্য সিটি- রক্ষণকে ধোঁকা দিয়ে গোল করে যান রেড ডেভিলসের তরুণ তুর্কি। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ফের এগিয়ে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। এবার সিটি-র হয়ে গোল করেন ওটামেন্ডি।
এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে লিংগার্ডকে তুলে নিয়ে জাল্টন ইব্রাহিমোভিচকে নামান মউ। ৩৬ বছরের ইব্রা নামার পর মাঝমাঠে ম্যানইউয়ের গতি অনেকটাই বাড়ে। তবে মধ্যে একটি পেনাল্টি-র দাবিতে দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে রেফারির হস্তক্ষেপে তা বিশেষ বাড়তে পারেনি। এদিকে ম্যাচের বয়স যখন প্রায় ৮৪ মিনিটে তখন একটা দারুণ সুযোগ নষ্ট করে ম্যান ইউ।
এদিকে লিগ টেবলের এক নম্বরে থাকা ম্যান সিটি এদিনের জয়ের ফলে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে জায়গা আরও মজবুত করে ফেলল। অন্যদিকে দু'নম্বরে থাকা ম্যান ইউ ৩৫ পয়েন্ট নিয়েই থাকল। দুটি দলের মধ্যে পয়েন্টের পার্থক্য ১১।