ক্রুজ বা রিউজ যিনিই নায়ক হন, জার্মানরা বোঝালেন এভাবেও ফিরে আসা যায়
তর্ক থাকবেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নিয়ে। জার্মানির কামব্যাক ম্যাচের নায়ক কে? এই প্রশ্নের উত্তকে প্রথমেই নাম চলে আসবে টনি ক্রুজের। রিয়াল তারকার অসাধারণ গোলেই তো আশার প্রদীপ জ্বলল জার্মান শিবিরে।
তর্ক থাকবেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নিয়ে। জার্মানির কামব্যাক ম্যাচের নায়ক কে? এই প্রশ্নের উত্তকে প্রথমেই নাম চলে আসবে টনি ক্রুজের। রিয়াল তারকার অসাধারণ গোলেই তো আশার প্রদীপ জ্বলল জার্মান শিবিরে। তারপর অমন গোল। জাস্ট ভাবা যায় না। হয়তো সুইডেন গোলকিপারের ওয়াল তৈরি করাটা ভুল ছিল। তবু ক্রুজের ওই শটের তুলনা হয় না। একেবারে মোক্ষম সময়ে মোক্ষম অস্ত্র প্রয়োগ করে ম্যাচ নিজেদের অনুকুলে নিয়ে গেলেন তিনি।
তবু ম্যাচের সেরা তিনি হননি। সুইডেনের বিরুদ্ধে যে গোলে সমতা ফিরেছিল, সেই গোলদাতা রিউজকেই বেছে নেওয়া হয়েছে ম্যাচের নায়ক হিসেবে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ওই গোমেজের পাস থেকে যে গোল করে গেলেন রিউজ, তাতেই প্রাণ ফিরে এল জার্মানদের। তারপরই তো বাঁধন ছাড়া আক্রমণ। যে ঝড়ে শেষ পর্যন্ত খাঁড়া থাকতে পারলেন না সুইডিশরা একেবারে শেষমূহূর্তে জার্মান-ঝড়ে নুইয়ে পড়ল সুইডেন।
তখন আর কিছু করার ছিল না সুইডেনের পক্ষে। ম্যাচে ফিরে আসার সময় ছিল না। গোল হওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরেই শেষ বাঁশি বেজে গেল। খেলা শেষ। জার্মানি ভেন্টিলেশন থেকে ফিরে এলে ময়দানে। আর এই ফিরে আসার নায়ক কিন্তু ক্রুজ বা রিউজ কেউ-ই নন। জার্মান দলের হার না মানা মানসিকতাই এই জয়ের মূল কারিগর।
জার্মানরা বুঝিয়ে দিল, আমরা হারার আগে হারিনা। তাই তো মরণ-বাঁচন ম্যাচে আক্রমণের ঝড় তুলে, শেষ ১০ মিনিট ১০ জনে খেলেও শেষ হাসি হাসলেন জার্মানরা। একেবারের জন্যও বুঝতে দিলেন না তাঁরা ১০ জন হয়ে গিয়েছেন ম্যাচের ৮১ মিনিটে। তখনও প্রায় ১৫ মিনিটের মতো লড়াই বাকি। শেষ পর্যন্ত জয় হল সেই মানসিকতারই।