ব্রাজিলকে আলোয় ফেরালেন নেইমার-কুটিনহো, সাম্বার ঝলকে শেষ পর্যন্ত মাত কোস্টারিকা
অবশেষ দরজা খুলল। ৯০ মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারল না কোস্টারিকা। অপ্রতিরোধ্য নাভাসকে হার মানিয়ে ব্রাজিলকে জয় এনে দিলেন বার্সা-তারকা কুটিনহো।
অবশেষ দরজা খুলল। ৯০ মিনিট দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারল না কোস্টারিকা। অপ্রতিরোধ্য নাভাসকে হার মানিয়ে ব্রাজিলকে জয় এনে দিলেন বার্সা-তারকা কুটিনহো। শেষ ছ'মিনিটের সাম্বা ঝড়ে শেষ কোস্টারিকার ৯০ মিনিট লড়াইয়ের গরিমা। ৯১ মিনিটের মাথায় কুটিনহো ও ৯৬ মিনিটে নেইমারের গোলে ব্রাজিল দু'গোলে হারাল কোস্টারিকাকে।
আক্রমণের ঝড় তুলেও গোল করতে ব্যর্থ ব্রাজিল। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিলেন নেইমার-কুটিনহোরা। কিন্তু প্রতিটি আক্রমণই কোস্টারিকা ফিরিয়ে দিয়েছে অদম্য চেষ্টায়। কখনও গোলরক্ষক নাভাস, কখনও কোস্টারিকার ডিফেন্ডাররা আটকে দিলেন ব্রাজিলিয়াম ম্যাজিশিয়ানদের। কখনও বারও বাধা হয়ে দাঁড়াল ব্রাজিলের সামনে।
টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিতে ব্যর্থ হয় ব্রাজিল। সেই কারণেই দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে প্রথম থেকেই মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালাচ্ছিল ব্রাজিল। কিন্তু আক্রমণের ঝড় তুলেও এদিন নির্ধারিত সময়ে গোলের দেখা পায়নি ব্রাজিল। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরতে হল না নেইমার-কুটিনহোদের। একের পর এক আক্রমণের ফল মিলল ৯১ মিনিটের মাথায়। নেইমারের বাড়ানো বল থেকে কুটিনহো গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেন। আর একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল নেইমারের।
প্রথম ম্যাচে ২১টি সুযোগ তৈরি করে কোনওরকমে ১টি গোল করেছিলেন কুটিনহো। আটকে যেতে হয়েছিল সুইজারল্যান্ডের কাছে। এদিনও ব্রাজিল যেমন আক্রমণের ঝড় তুলেছিল, কোস্টারিকা গোলের মালা পরতে পারত। কিন্তু কোস্টারিকা পরতে পরতে কড়া টক্কর দিয়ে গিয়েছে ব্রাজিলকে। বুঝিয়ে দিয়েছে তারাও তৈরি ব্রাজিলের মতো দলকে রুখে দিতে। কিন্তু যে লড়াই চালাল কোস্টারিকা তা মাঠে মারা গেল একেবারের শেষ লগ্নে।
এদিন দুই লাতিন আমারিকা দেশের লড়াই ছিল বেশ উপভোগ্য। আক্রমণাত্মক ব্রাজিল, আর রক্ষণ সামলে প্রতি আক্রমণ-নির্ভর ফুটবল খেলা কোস্টারিকার লড়াই জমে ওঠে প্রথম থেকেই। দ্বিতীয়ার্ধে তা চরম রূপ নেয়। এরই মধ্যে নাটক ঘটল ম্যাচের ৭৫ মিনিটে নেইমারকে বক্সে ফেলে দেওয়ার জন্য পেনাল্টি দিয়েও প্রত্যাহার করেন রেফারি। প্রতিবাদ করে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার।
আর্জিন্টানা ব্যর্থ বলেও ব্রাজিল ব্যর্থ হল না। সাম্বা-ঝড়েই জয় এল অবশেষে। নক আউট পর্বের দিকে পা বাড়িয়ে রাখলেন নেইমাররা। সাম্বা-ঝলক শুরু হল রাশিয়া বিশ্বকাপে। খুশি নেইমাররা, খুশি ব্রাজিলিয়ান সমর্থকরা। খুশি কলকাতা।