কলম্বিয়া ঝড়ে বিধ্বস্ত পোল্যান্ড! ফালকাওরা পারলেও, পারলেন না লিউয়েনডস্কি
আক্রমণই হল বেস্ট ডিফেন্স। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রথম মিনিট থেকেই কলম্বিয়া আক্রমণে ঝড় তুলেছিল পোল্যান্ডের বক্সে। তারই ফলও পেল হাতেনাতে।
আক্রমণই হল বেস্ট ডিফেন্স। সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রথম মিনিট থেকেই কলম্বিয়া আক্রমণে ঝড় তুলেছিল পোল্যান্ডের বক্সে। তারই ফলও পেল হাতেনাতে। গ্রুপ এইচের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পোল্যান্ডকে পরিষ্কার ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদেরকে সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে গেল ফালকাও-রডরিগেজকা। সেইসঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল পোল্যান্ডের বিদায়।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে গোল করে কলম্বিয়াকে এগিয়ে দিয়েলেন মিনা। হামেশ রডরিগেজের পাস থেকে হেডে অসাধারণ গোল করেন তিনি। তাঁর গোলেই কলম্বিয়া প্রাণশক্তি ফিরে পায়। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ ও ৭৫ মিনিটের ফালকাও ও কুয়াড্র্যাডোর গোল পোল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরেক পুতে দেয়। এদিনের ম্যাচে খেলায় ফিরে আসার মতো কোনও পরিস্থিতিই তৈরি করত পারেনি পোল্যান্ড।
প্রথম ম্যাচেই জাপানের কাছে হেরে বিশ্বকাপে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল কলম্বিয়া। পোল্যান্ডও হার মানে গ্রুপের অপর দল সেনেগালের কাছে। ফলে দুই শক্তিধর প্রতিপক্ষ অপেক্ষায় কম শক্তিধরদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে পয়েন্ট না পাওয়ার অর্থ বিশ্বকাপ থেকে এবারের মতো ছিটকে যাওয়া।
সেইকারণেই যে করে হোক এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলে নিয়ে নিজেদেরকে সেফ জোনে রাখতে বদ্ধপরিকর হয়ে মাঠে নামে দুপক্ষই। তবে হামেস রডরিগেজদেরই প্রথম মিনিট থেকে চোখে পড়ছিল। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়ছিল পোল্যান্ডের বক্সে। তুলনায় প্রতি আক্রমণেই ভরসা রেখেছিলেন লিউয়ানডস্কিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে আশা জাগিয়ে শুরু করলেও ফের কলম্বিয়ার দখলে পুরো মাঠ। ফালকাও-হামেশরা সারা মাঠজুড়ে খেলতে থাকেন। এরই মধ্যে ফালকাও ৭০ মিনিটে গোল করে দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন। আর তার পাঁচ মিনিট পরেই ফের গোল। এবার কুয়াড্র্যাডোর গোল। সোলো রানে দুই ডিফেন্ডারকে গায়ে নিয়ে পরাস্ত করেন গোলকিপারকে।
৩ গোলে পোল্যান্ড ম্যাচ জিতে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে চলে গেল কলম্বিয়া। আর সেই সঙ্গে এবারের মতো লিউয়েনডস্কিদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে সেনেগালের কাছে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে সেই হারের হ্যাং-ওভার কাটিয়ে উঠে না পেরে গোহারা কলম্বিয়ার কাছে।