এক রোনাল্ডো-শোয়েই জয়ের দরজা খুলল! সারা ম্যাচে খেলল মরক্কো, জিতল পর্তুগাল
মুরিনহোর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করে গেলেন তিনি। সেইসঙ্গে দলকে নকআউট পর্বের দিকে এগিয়ে দিলেন।
ফের রোনাল্ডো-শো। স্পেন ম্যাচ যেখানে শুরু করেছিলেন, সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন এদিন। বুধবার রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিন মিনিটেই গোল করলেন রিয়াল তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মুরিনহোর ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে এই বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ গোলটি করে গেলেন তিনি। সেইসঙ্গে দলকে নকআউট পর্বের দিকে এগিয়ে দিলেন।
গ্রুপ বি-র দ্বিতীয় ম্যাচ মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদ মুখোমুখি হয়েছিল মরক্কোর। সেই ম্যাচ দুটি দলের কাছেই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। দুটি দলই জেতার মানসিকতা নিয়ে খেলেছে। খেলার শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই রোনাল্ডোর গোলে পর্তুগাল এগিয়ে যাওয়ায় মরক্কো ব্যাকফুটে চলে যায়। তবু হাল ছাড়েনি তারা।
গোটা ম্যাচেই মরক্কো দারুন ফুটবল উপহার দিয়েছে। কিন্তু গোল করতে ব্যর্থ মরক্কোর আক্রমণভাগের ফুটবলাররা। পর্তুগালের থেকে কয়েকগুণ বেশি সুযোগ পেয়েও গোল শোধ করতে পারেনি মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ ২০ মিনিট মুহূর্মুহূ আক্রমণ করেও ফসল তুলতে পারেননি মরক্কোর ফুটবলাররা।
মরক্কো তাদের প্রথম খেলায় ইরানের কাছে সংযোজিত সময়ের ৯৫ মিনিটের আত্মঘাতী গোলে হেরেছে। সেই দুর্দশা এদিনও ঘুচল না। প্রায় ৯০ মিনিট প্রাধান্য বজায় রেখেও মরক্কো ব্যর্থ মনোরথ হয়ে ফিরল। কার্যত রোনাল্ডোর কাছেই হেরে গেল তারা। কেননা রোনাল্ডোর গোল ছাড়া গোটা ম্যাচে পর্তুগাল সেভাবে কিছুই করতে পারেনি। পর্তুগালের সৌভাগ্য যে ম্যাচের প্রথমেই গোল পেয়ে গিয়েছিল। এবং এই গোলই তাদের নক আউট পর্বে উন্নীত হতে এগিয়ে দিল।
পর্তুগাল ও মরক্কোর এর আগে একবারই মুখোমুখি হয়েছিল। ১৯৮৬ সালের সেই ম্যাচে পর্তুগালকে ৩-১ গোল হারিয়েছিল মরক্কো। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ে সেই ম্যাচ জয়ের পর আর কখনও দেখা হয়নি দুই দেশের। ২০ বছর পর রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট অর্জন করলেও সেই পর্তুগালের কাছে হেরে বিদায় নিতে হল রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে।