নজির গড়ে অবিস্মরণীয় সিদ্ধান্ত মেহতাবের
কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে এসেও ভারতীয় ফুটবলের একটি স্তম্ভ তিনি। যত দিন জাতীয় দলে খেলেছেন, তত দিন সুনামের সঙ্গে সার্ভিস দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়াকে। তিনি মেহতাব হোসেন।
কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে এসেও ভারতীয় ফুটবলের একটি স্তম্ভ তিনি। যত দিন জাতীয় দলে খেলেছেন, তত দিন সুনামের সঙ্গে সার্ভিস দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়াকে। তিনি মেহতাব হোসেন।
জাতীয় দলকে বিদায় জানানোর পরও ফুটবলকে বিদায় জানাননি ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানে চুটিয়ে খেলা এই মিডফিল্ডার।গত মরসুমে জামশেদপুর এফসির হয়ে সই করেন মেহতাব।
কিন্তু এই বছর ফের কলকাতায় ফিরতে আগ্রহী তিনি। কারণ কলকাতার কোনও ক্লাবে খেলেই পেশাদার ফুটবলকে বিদায় জানাতে চান মেহতাব।
খবরটা বাইরে আসা মাত্রই মেহতাবকে পেতে ঝাঁপায় এই মুহূর্তে মোহনবাগানের ফুটবল সচিবের দায়িত্ব সামলানো স্বপন ব্যানার্জী। ৮০ লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু মেহতাব স্পষ্টই জানিয়েদেন তিনি ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে খেলেই ফুটবলকে বিদায় জানাতে চান।
পাশপাশি এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি এ-ও বলেন বিনা পারিশ্রমিকেই তিনি লাল-হলুদ জার্সি গায়ে চাপাতে তৈরি। ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর সমস্যাকে মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান মেহতাব।
এই বিষয়ে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব রজত গুহ বলেন, 'মেহতাবের এটা এক দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত। অনেক তারকা ফুটবলারই নিজের সেরা সময়ে থাকতে থাকতে ফুটবলকে বিদায় জানাতে পারেন না। ফলে তারকা হলেও তাঁদের বিদায় স্মরণীয় হয়ে থাকে না। বহু ফুটবলারের ক্ষেত্রেই এই জিনিস ঘটেছে। তবে, মেহতাব জানে একটা সময় সরে দাঁড়াতেই হবে, এবং সেক্ষেত্রে সম্মানের সঙ্গে ফুটবলকে বিদায় জানানোই লক্ষ্য থাকে যে কোনও তারকা প্লেয়ারের।'
তবে মেহতাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয়ে কিছুটা ধোঁয়াশাই রেখে দেন তিনি। মেহতাব বলেন, 'মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমার কথা হয়েছে। তবে, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।'
তবে, মেহতাবের ঘনিষ্ঠ মহলে খবর, ফের এক বার লাল-হলুদ জার্সিই গায়ে চাপাতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে এবং তা বিনা পারিশ্রমিকেই।