তিনি নামলেন, দেখলেন। তারপর আর খুঁজে পাওয়া গেল না লিওনেল মেসিকে। সারা ম্যাচে কখনও মার্কিংয়ে, কখনও নিজের স্কিল দেখাতে না পেরে অদৃশ্য রইলেন অর্জেন্তিনীয় সুপারস্টার। বিশ্বজয়ী দলকে বলা যায় প্রায় নাচিয়ে ৩-০ গোলে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসাবে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া।
আর এই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া এখন শুধু সমরে অপেক্ষা আর্জেন্তিনার কাছে। ২ টি ম্যাচে ১টি ড্র ও ১টি হার নিয়ে আর্জেন্তিনার পয়েন্ট মাত্র ১। গোল পার্থক্য মাইনাস ৩।
পরের ম্যাচ রয়েছে মঙ্গলবার নাইজেরিয়ার সঙ্গে। তার আগে আইসল্যান্ড ও নাইজেরিয়ার ম্যাচ রয়েছে শুক্রবার। সেই ম্যাচে নাইজেরিয়া হারলে ও পরের ম্যাচে আর্জেন্তিনা নাইজেরিয়াকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে তবেই শেষ ষোলোয় জায়গা করতে পারে। এক্ষেত্রে আইসল্যান্ড কেমন ফলাফল করে তার উপরে সবকিছু নির্ভর করবে।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার চেষ্টা শুরু করে। তা করতে গিয়ে বেশ হাত-পা ছুঁড়তে শুরু করেন দুই দলের খেলোয়াড়রাই। ফলে ফাউলের জেরে মাঝেমাঝেই রেফারির বাঁশি বেজে উঠছিল।
এভাবে চলতে চলতে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়। আর্জেন্তিনা বল পজেশনে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে একবারও গোলে শট নিতে পারেনি। মাঝমাঝে কোনও খেলাই তৈরি করতে পারেননি মেসি ও সতীর্থরা। আর সেই সুযোগে দ্বিতীয়ার্ধে জাঁকিয়ে বসে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচের ৫৩ মিনিটের মাথায় আর্জেন্তিনার মেরকাদোর ব্যাক পাস ভুল করে ক্রোয়েশিয়ার রেবিচের পায়ে তুলে দেন গোলকিপার কেবায়েরো। নিজেদের ভুলে মেসিরা পিছিয়ে পড়ে। এই গোলের পর যেন আরও খেলা থেকে হারিয়ে যায় আর্জেন্তিনা। এদিকে ক্রোয়েশিয়া ক্রমশ খেলা জাঁকিয়ে বসে।
এরপরে ম্যাচের ৭৯ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে অনবদ্য গোল করে এগিয়ে দেন অধিনায়ক লুকা মডরিচ। অনবদ্য শটে পরাস্ত করেন গোলকিপারকে। তখনও হার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আর্জেন্তিনার।
গোটা ম্যাচে মেসিকে দৃশ্যতই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ৮৪ মিনিটের মাথায় ফ্রি কিকে রাকিটিচের শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে। না হলে তখনই ৩-০ হয়ে যাচ্ছিল। তবে ৯১ মিনিটে আর্জেন্তিনার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে সেই স্বপ্নও পূরণ করে ফেলেন রাকিটিচ।
এদিন হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার একেবারে কাছে চলে এল আর্জেন্তিনা। হতাশ হয়েই সম্ভবত লিও মেসিকে শেষ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হবে।