মেসির বিয়েতে চাঁদের হাট, কেমন হল অনুষ্ঠান, দেখুন ছবি
৩০ জুনের ডি ডে হয়ে গেল। কারা এলেন, কোথায় এলেন, কেমন দেখাচ্ছিল নতুন বর-বউকে।
ছোটবেলার প্রেম- দীর্ঘদিন পাশাপাশি পথ চলা। পূর্ণতা পেল বিয়েতে। লিওনেল মেসি ও আন্তোনেলা রোকুজ্জো ৩০ জুন সাত পাকে বাঁধা পড়লেন। কেমন ছিল সেই বিয়ের সবকিছু নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে। আসুন জেনে নিই।
ছোট্টবেলার প্রেম
একদম ছোটবেলায় রোজারিওতেই থাকত দুটি বাচ্ছা। লিও মেসি ও আন্তোনেলা রোকুজ্জো। আলাপ বন্ধুত্ব। তারপর তরতর করে নিজের পেশাদার জীবন এগিয়ে নিয়ে গেছেন মেসি। ছেড়েছেন রোজারিও। আস্তান গেড়েছেন বার্সিলোনায়। কিন্তু সেই প্রেম হালকা হয়নি। উল্টে সময়ের সঙ্গে চলতে চলতে তা আরও গাঢ় হয়েছে। দীর্ঘদিনের পার্টনার অ্যান্তোনেলার কোল আলো করে এসেছে থিয়াগো আর মাতেও। বাকি যেটুকু ছিল তা দেখল ২০১৭-র ৩০ জুন।
ব্যান্ড বাজা বরাত
আরে ভাই মেসির বিয়ে নিমন্ত্রত বার্সিলোনার সদস্যরা। নিজেদের পরিবারকে নিয়ে বিশেষ জেটে সকলে পৌঁছে গেলেন রোজারিওতে। প্রাক্তনরাও আছেন। কার্লোস পিওল, ইনিয়েস্তা শুরু থেকে ফটো মুডে। বিমান থেকেই নেমেই একটা গ্রুফি তো হতেই হবে।
হাজির ওয়াকা ওয়াকা গার্লও
মাঠে তাঁর সঙ্গে দুরন্ত যুগলবন্দী নেইমার, পিকে-র। হাজির তাঁরাও। নেইমার বান্ধবীর সঙ্গে না এলেও। পিকে-র সঙ্গী ওয়াকা ওয়াকা গার্ল শাকিরা।
সেজে উঠেছে রোজারিও
ঘরের ছেলে গালা ওয়েডিং বলে কথা। পুরো বিশ্বের নজর থাকবে। তা হাজারো দৈন্য গ্রাফিতি দিয়ে ঢেকে এদিন রঙিন রোজারিও। ঘরের ছেলের ভাল দিনে বিশ্বকে তো আর দৈন্য দেখানোর চল তো নেই।
ইয়ার কী শাদি হ্যায়
বন্ধুর বিয়েতে হাজির তাঁক ছোটবেলার সঙ্গীরাও। তাঁদের সঙ্গেও সময় কাটালেন এল এম টেন।
হাজির গর্জাস বান্ধবীরাও
বান্ধবীর মেগা বিয়ে তাঁরাও চলে এসেছেন। অ্যান্তোনেলার বান্ধবীরাও একবার ফটো সেশন সেরে নিলেন,বিয়ের অনুষ্ঠানের আগে। সুন্দরীদের উপস্থিতিতে ঝলমলে আবহ।
উপস্থিত নীল -সাদা ব্রিগেডের সদস্যরাও
আর্জেন্তিনা দলের সতীর্থরাও হাজির তাদের তারকা স্ট্রাইকারের বিয়েতে। চির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ দলের একজনই মাত্র ছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। তিনি অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। মেসি-র আর্জেন্তিনা দলের সতীর্থ হওয়ার সুবাদে সুযোগে আসতে পেরেছিলেন।
এক ঝলকে পরিবারের সদস্যরা
পরিবারের সদস্যরা সকলেই দারুণ খুশি। যদিও গুঞ্জন অ্যান্তোনেলার সঙ্গে নাকি সেরকম বনিবনা নেই মেসি-র পরিবারের সদস্যদের।
স্বাধীনতার শেষ মুহূর্ত!
হ্যাঁ সরকারি ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে নিজেদের স্বাধীনতার শেষ মুহূর্তে -র ছবিও তুলে রেখেছেন দম্পতি। কালো পোশাকে দুজনকেই দেখাচ্ছে ঝকঝকে।
রোজারিও-র সিটি সেন্টার
সিটি সেন্টারই হয়েছে মেসি -আন্তোনেলার বিবাহ বাসর। বিয়ের বাসর ঘিরে ছিল আঁটোসাটো নিরাপত্তা। অনুষ্ঠান হলের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের কারোর মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমিতও ছিল না। যাঁরা মেসির বিয়ের কভারেজের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তাঁরাই খালি ছবি তোলার হকদার।
শুরু মহাবিবাহ
নির্ধারিত সময়ে ভ্যেনুতে হাজির বর মেসি ও বউ আন্তোনেলা। দুজনেই একদম চিরাচরিত বিয়ের সাজে। দুজনের উপস্থিতিতে যেন বিবাহ বাসরে হাজার ওয়াটের আলো জ্বলে গেল।
আন্তোনেলা-র শরীরী ভাষায় মুগ্ধতা
নববধূর বেশে আন্তোনেলার রূপ যেন আরও খুলে গেছে। মুখে সলাজ হাসির অনায়াস আসা যাওয়া।
বর মেসি
সতীর্থদের সঙ্গে ঝকঝকে মেসি। দশ নম্বর জার্সি গায়ে যেমন তাঁর রূপ খোলে ঠিক তেমনিই বর বেশেও তাঁর রূপ এদিন সবার মন কেড়ে নিল।
চুম্বনের গভীরতা
চিরারচিত খ্রীষ্টান মতে বিয়ের পর নিয়ম মেনে এবার চুম্বনের পালা। মেসি -আন্তোনেলার বিবাহের সাত পাক ঘোরা সম্পন্ন।
পিকচার পারফেক্ট
এরপর সবার আব্দার মেনে একের পর এক ছবি তুললেন নব দম্পতি। এবার তাঁদের নতুন পথ চলা শুরু। যার সাক্ষী রইল গোটা বিশ্ব।
উপস্থিত গেস্টেদের একসঙ্গে ছবি
অতিথি অভ্যাগতরাও তো কেউ কম যাননা। তাঁদেরও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার আবেদন চিত্রগ্রাহকেদর। আর এমন আনন্দের দিনে কারোর আবদারই তো ফেলা যায়না। তাই না।
স্মৃতিটুকু থাক
জন্মদিনে রিটার্ন গিফ্ট তো পেয়ে অভ্যস্ত কিন্তু এত বড় বিয়েতে বড়দের জন্য ছিল রিটার্ন গিফ্ট। বিয়েতে কোনও গিফট নেন নি মেসি -আন্তোনেলা। বিশেষ আবেদন পত্রে সকলকে মেসির ফাউন্ডেশনের জন্য অর্থ অনুদানের আহ্বান জানিয়েছিলেন নব দম্পতি। আর বদলে তাঁরা পেলেন বিশেষ এক স্যুভেনির।
হ্যাপিলি ম্যারেড এভার আফটার
বহুদিন আগে যে পথচলার শুরু আগামী দিনে তা একইভাবে এগিয়ে যাক। নিজেদের পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবন যেন পূর্ণতায় ভরে ওঠে এমনটা প্রার্থনা সকলের।