আই লিগে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা, ডার্বি জিতে মোহনবাগান এক লাফে দ্বিতীয় স্থানে
নতুন বছরের শুরুতেই ফের ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবকে ধরাশায়ী করল গঙ্গাপারের ক্লাব। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলকে ০-১ গোলে পরাস্ত করে আই লিগে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
নতুন বছরের শুরুতেই চমক। ফের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিল মোহনবাগান। নতুন বছরের শুরুতেই ফের ডার্বিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবকে ধরাশায়ী করল গঙ্গাপারের ক্লাব। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলকে ০-১ গোলে পরাস্ত করে আই লিগে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। মঙ্গলবার বারাসত স্টেডিয়ামে ৯০ মিনিট ম্যাচের রাশে নিজেদের হাতে রেখে মোহনবাগানশেষ হাসি হাসে।
এদিন জুনিয়র আই লিগে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। তারপর বছরের প্রথম ডার্বি বলে কথা। মোহনবাগানের সামনে জয় ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তাই কোচ জো পল আনচেরি যে কোনও মূল্যে জিততে চেয়েছিলেন। সেইমতোই নির্দেশ দিয়েছিলেন ছেলেদের। কোচের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
মোহনবাগানের হয়ে একমাত্র গোলদাতা শুভ ঘোষ। প্রথম ডার্বি গোল করে উচ্ছ্বসিত শুভর মন্তব্য, 'সব থেকে ভালো লাগছে জিততে পেরে।' তবে নিজে গোল করেছে বলে নয়, সবুজ-মেরুন জার্সিতে নেমে চির-প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে পেরেই খুশি শুভ। জয়ের পুরো কৃতিত্ব শুভ দিয়েছে দলকে। দলগত সাফল্যেই এই জয় বলে তার ব্যাখ্যা।
আনচেরি বলেন, 'এই ম্যাচে জয় ছাড়া আমাদের কোনও পথ খোলা ছিল না। ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারলেই একমাত্র তাঁদের সামনে সুযোগ ছিল। আর পয়েন্ট নষ্ট মানেই লড়াই থেকে ছিটকে যাওয়া। ছেলেরা যেমনটা বলেছি, একেবারে সেইমতো খেলেছে। তাই গোটা দলকেই অল দ্য বেস্ট। শুভকে আলাদা করে অল দ্য বেস্ট।'
এই জয়ের ফলে অনুর্ধ্ব ১৮ আই লিগে মোহনবাগান দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল। প্রথম লেগে মোহনবাগানকে ৯ জন খেলে আটকে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেবার পুরো পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল আনচেরির ছেলেরা। এবার তারা কোনও ভুল করেনি। প্রথমার্ধে গোল করে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। সেই গোল ধরে রাখতে সমর্থ হয় মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও দলই গোল পায়নি।
ছোটদের এই ডার্বি জয় মোহনবাগানকে বড়দের ডার্বির আগে তাতিয়ে দিল। আগামী ২১ জানুয়ারি মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল নামছে ফিরতি ডার্বিতে। জুনিয়রদের মতো সিনিয়রদের ডার্বিও মোহনবাগানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই ডার্বি জিতলে ফের মোহনবাগান চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে ফিরতে পারবে। তাই জুনিয়রদের এই জয় থেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছে বাগান শিবির।