সুব্রতর মহামেডানকে উড়িয়ে ডুরান্ডে জয়যাত্রা শুরু মোহনবাগানের, জোড়া গোল চামারোর
মোহনবাগানের ‘ঘরের ছেলে’ সুব্রত ভট্টাচার্য মহামেডানের কোচ হয়েই হুঙ্কার ছেড়েছিলেন প্রিয় দলকে হারানোর। সেই চ্যালেঞ্জ অবশ্য ধোপে টিকল না। মহামেডানকে উড়িয়ে ডুরান্ড কাপে জয়যাত্রা শুরু করল মোহনবাগান।
মোহনবাগানের 'ঘরের ছেলে' সুব্রত ভট্টাচার্য মহামেডানের কোচ হয়েই হুঙ্কার ছেড়েছিলেন প্রিয় দলকে হারানোর। সেই চ্যালেঞ্জ অবশ্য ধোপে টিকল না। মহামেডানকে উড়িয়ে ডুরান্ড কাপে জয়যাত্রা শুরু করল মোহনবাগান। ম্যাচের ২২ মিনিটের মধ্যেই খেলা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। তারপর আর খেলায় ফিরতে পারেনি সাদা-কালো জার্সিধারীরা।
এদিন ডুরান্ড কাপে দলের প্রথম ম্যাচেই নায়ক হয়ে ওঠেন চামারো। বার্সেলোনার বি দলের এই স্ট্রাইকারে দিকে এদিন তাকিয়ে ছিল কলকাতা ফুটবল মহল। তিনি নিরাশ করেননি। জোড়া গোল করে দলকে জয়ের পথ দেখান তিনিই। মোহন-জার্সিতে প্রথম ম্যাচেই জোড়া গোলের নজির তেমন একটা নেই। এদিন তিনি হ্যাটট্রিকও করতে পারতেন।
শুক্রবার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল শুরু করে মোহনবাগান। আক্রমণে ঝড় তুলে ম্যাচের দু-মিনিটেই ফ্রিকিক থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন চামারো। মিডফিল্ডার বেইতিয়ার ফ্রিকিক থেকে দুরন্ত হেডে গোল করে যান তিনি। আর ২২ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত থেকে আশুতোষ মেহেতার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করে যান সেই চামারো।
মোহনবাগানের মুহুর্মুহু আক্রমণে প্রথমার্ধের মহামেডানের রক্ষণভাগ ছিল সদা ব্যস্ত। সে অর্থে কোনও সুযোগই তৈরি করতে পারেনি সাদা-কালো ব্রিগেড। প্রথমার্ধের একেবারে শেষে একটা সুযোগ এসে গিয়েছিল, কিন্তু শিলটনের দক্ষতায় তা গোলে পর্ষবসিত করতে পারেনি মহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় ফেরার চেষ্টা করেছিল কলকাতার তৃতীয় বড় দল। তবে গোলের দেখা পায়নি মহামেডান।