বাংলা ডুবে অন্ধকারে, জাগুন মোহন-ইস্ট সমর্থকরা ,এগোন বাংলা ফুটবলকে
অন্ধকারে ডুবে গেল মোহনবাগান -ইস্টবেঙ্গল সমস্ত ঔজ্জ্বল্য নতুনদের। শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবদের ভাবতে হবে নতুন করে।
শতাব্দী প্রাচীন দুই ক্লাব। কারোর গায়ে জাতীয় ক্লাবের তকমা , কারোর নেই। কিন্তু দুজনেরই লক্ষ লক্ষ সমর্থক। নিজেদের প্রিয় ক্লাবের ভালো পারফরম্যান্সের মুখ চেয়ে রোদে-জলে মাঠে যান তাঁরা। কিন্তু বছর শেষে পাওনার ঘড়ায় গর্বিত তৃতীয়,চতুর্থ।
[আরও পড়ুন:লড়েও জ্বলল না মশাল, ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ড্র করে রানার্সের তকমা পেল নেরোকা ]
সোশ্যাল মাধ্যমে জোর লাঠালাঠি চলছে কে কাকে কত ছোট করতে পারে। ফ্যানদের মধ্যে দুই ক্লাবে-র দুটো প্রচলিত নাম আছে। আই লিগের শেষ ম্যাচে দুই দলই নিজেদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে হেরে তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছে। ১৮ ম্যাচ খেলে দুই তারকা ক্লাবেরই পয়েন্ট ৩১।
[আরও পড়ুন:বাগানের পাল উড়ল না , অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত থেকেও আই লিগ অধরা ]
এক ক্লাবে ১৪ বছর পেরিয়ে ১৫ বছরেও আই লিগ ঢুকলো না অন্যদিকে মোহনবাগানে এই বছরে ট্রফি কার্যত নেই। এক আমন্ত্রণী সিকিম গভর্নর্স গোল্ড কাপকে যদি ট্রফি ধরা হয় তাহলে ক্যাবিনেটে একটি আছে। কিন্তু দুটি দলের সমর্থকরা আর কতদিন এইভাবে একে অপরের লেগ পুল করেই আনন্দে থাকবে। দুই দলের লক্ষ লক্ষ সমর্থক যদি মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের থেকে জবাবদিহি চায় তাহলে কী হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা তখনই ভালো যখন সেটা থেকে একে অপরকে পারফরম্যান্স ভালো করে ছাপিয়ে যাওয়ার জায়গা থাকে। আর যদি সেটা না থাকে তাহলে কিসের জন্য সব কিছু , শুধু তোরা এটা পারিসনি বলে চোখে আঙুল দিয়ে খোঁচা দেওয়া কাজ।
ভারতীয় ফুটবলে কিন্তু পরিবর্তন আসছে। বেঙ্গালুরু এফসি আই লিগে নতুন দল হিসেবে যোগ দিয়ে সাফল্যের ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিল। তারপর আইজল নতুন দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবারের আই লিগে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স দল দুটিই নতুন দল। যারা এবারই প্রথম আই লিগ খেলল মিনার্ভা পাঞ্জাব ও নেরোকা এফসি। তাদের দলের যা বাজেট তা দেখেও শেখার। বিদেশি চয়ন থেকে দলগঠন সব কিছুতেই বাজিমাত। হয়ত ইস্ট-মোহন চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলে এত কথা উঠত না। কিন্তু যখন সেটা হয়নি তখন কথা শুনতেই হবে।
[আরও পড়ুন: ভারত সেরা পাঞ্জাব, বিতর্ক সঙ্গী করে আই লিগ ঘরে তুলল মিনার্ভা ]
মিনার্ভা এবারের আই লিগে ১১ টি ম্যাচ জিতেছে। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সেখানে মাত্র ৮ টি করে ম্যাচ জিতেছে। তাহলে একবার করে অন্তত ভাবা উচিত।