আইএসএলের শিকে সামনের মরশুমেও কি ছিঁড়বে মোহন-ইস্টের শিকেয়, শাঁখের করাতে এআইএফএফে
সামনের মরশুমেও মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে খেলা ঘিরে ঘোর অনিশ্চয়তা। নিজেদের বাঁচাতে কী মধ্যপন্থা পেল এআইএফএফ।
আর যা হই ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন যেন না হই। এমনটাই অবস্থা ভারতীয় ফুটবল ফেডারশেনের। আসলে নিজের জায়গায় শক্ত হয়ে থাকার ক্ষমতা না থাকলে যা হয় আর কী। কখনও ভারতীয় ফুটবলের আই লিগ হেভিওয়েট ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান কর্মকর্তাদের কথায় সায় দিচ্ছেন। কখনও আবার আইএমজি আর আইএসএল ফ্রাঞ্জাইজিদের কথায় উঠছেন বসছেন। ফল যা হওয়ার তাই। অবশেষে নিজেদের বাঁচতে সাপও মরবে লাঠিও ভাঙবে না এরকম একটা সমাধানসূত্র বার করেছেন এআইএফএফ কর্তারা। এএফসি নির্দেশ দিয়েছিল দ্রুত ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে সামনের মরশুমেও ভারতীয় ফুটবলে বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। নিজেদের শাঁখের করাত অবস্থা কাটাতে সামনের মরশুমেও আই লিগ ও আইএসএল দুটোই চালাতে চায় ফেডারেশন।
মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের চলতি বছরে আইএসএলে খেলার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে আগেই। দিল্লির ফুটবল হাউস থেকে যে খবর মিলছে তা কার্যকর হলে, আগামী বছরেও অর্থাৎ ২০১৮-১৯ মরসুমেও হয়তো এক হচ্ছে না আইএসএল ও আই লিগ। ফলে আই লিগেই খেলতে হবে কলকাতার দুই প্রধানকে। দিন কয়েক আগেই ফেডারেশন সচিব কুশল দাস ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ১৮টি দলকে নিয়ে ভারতীয় ফুটবলে একটি লিগ আয়োজন করার চিন্তাভাবনা চলছে। তবে ১৮ দলকে নিয়ে গোটা ভারতে একটাই লিগ হতে পারে আরও এক বছর পরে অর্থাৎ ২০১৯-২০ মরসুম থেকে। কারণ, ওই মরসুম থেকে এক শহর এক দল-এর বাধ্যবাধকতা থাকবে না। সে ক্ষেত্রে আইএসএলের দশটি টিমের সঙ্গে আই লিগের আটটি দল স্থান পেতে পারে প্রস্তাবিত ওই নতুন লিগে। ফলে কলকাতা থেকে এটিকে-র পাশাপাশি থাকবে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলও। তাতে এটিকেকেও কলকাতা ছাড়তে হবে না, ছাড়তে হবে ইস্ট-মোহনকেও।
প্রস্তাবিত ওই লিগে আইএসএল-এর দলগুলোর অবনমন না থাকলেও আই লিগের দলগুলোর অবনমন থাকবে। তবে ওই সম্মিলিত লিগে আই লিগের আটটি টিমকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হবে কি না সে ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আসলে আইএসএলের দলগুলি যেমন নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়, ঠিক সেরকমই অনড় ইস্ট-মোহনও। তাই বিভিন্ন আলোচনার পরও কোনও রফা সূত্র বেরোয়নি। তাই এ মরশুমে তো বটেই তার পরের মরশুমেও আইএসএলে খেলা হবে না মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গলের।
সূত্রের
খবর,
ভারতীয়
ফুটবল
নিয়ে
সঠিক
রূপরেখা
ঠিক
করতে
গিয়ে
বহু
প্রস্তাবের
মধ্যে
এই
প্রস্তাবই
অগ্রাধিকার
পাচ্ছে
এএফসি-র
কাছে।
যা
কানে
এসেছে
সর্বভারতীয়
ফুটবল
ফেডারেশন
কর্তাদেরও।
তবে
এই
প্রস্তাবে
এখনও
সিলমোহর
পড়েনি।
আলাপ-আলোচনা
চলছে।
চলতি
বছরের
শেষ
দিকে
এ
ব্যাপারে
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
হবে
বলে
খবর।
ফেডারেশন
সচিবের
মতে,
প্রতিটি
ক্লাব
ও
ফ্র্যাঞ্চাইজির
সমর্থক,
ফুটবল
বিপণন-কৌশল,
ফুটবল
প্রসারে
ভূমিকা
নিয়েও
বিশ্লেষণ
করবেন
এএফসি
কর্তারা।
সবার
সঙ্গে
আলোচনার
পরে
নভেম্বর-ডিসেম্বর
নাগাদ
আগামী
দিনে
ভারতীয়
ফুটবলের
রূপরেখা
কী
হবে,
সে
সম্পর্কে
চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত
জানাবে
এএফসি।