শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, নাম কা ওয়াস্তে ভোটে মোহনবাগানের নিয়ন্ত্রণ রইল টুটু গোষ্ঠীর হাতেই
মোহনবাগানের নির্বাচনে তৃতীয় রাউন্ডের পর টুটু বসুর প্যানেল অঞ্জন মিত্রর অনুগামীদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে।
শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, তারপর তৃতীয় রাউন্ডের গণনা শেষ হতে না হতেই ইঙ্গিত মিলল মোহনবাগানের নিয়ন্ত্রণ থাকছে টুটু বসু গোষ্ঠীর হাতেই।
নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে যে বাগানে যে উত্তাপ ছড়িয়েছিল তা কিন্তু ভোটের আগেই স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। তবু ভোটের দিন আবার নতুন করে অশান্তি ছড়ায় কিন্তু, তাই নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন সংশ্লিষ্ট সবাই।
জিতল টুটু-গোষ্ঠী
মোহনবাগানের নির্বাচনে বিরাট ব্যবধানে জয় পেল টুটু বসু গোষ্ঠীই। শেষ পর্যন্ত কত ভোটে জিতলেন তাঁরা এখনও জানা যায়নি। তবে তিন রাউন্ডের গণনার শেষে ১৭০০ ভোটের মধ্যে তাঁদের প্যানেল পেয়েছিল ১৭০০ ভোটের মধ্যে ১৪৪০ টি ভোট। আর অঞ্জন মিত্র অনুগামীদের ঝুলিতে গিয়েছিল মাত্র ২৬০টি ভোট।
নাম কা ওয়াস্তে ভোট
অবশ্য ফল যে এরকমই হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল ভোটের আগেই। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন বন্ধুত্বকে সম্মান জানিয়ে সচিব পদ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন অঞ্জন মিত্র। ফলে কার্যত রবিবারের ভোটটা ছিল নাম-কা-ওয়াস্তে। ওইদিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল টুটু বসু গোষ্ঠীর হাতেই থাকছে বাগানের নিয়ন্ত্রণ।
শান্তিপূর্ণ ভোট
নির্বাচন পর্যবেক্ষক অসীম কুমার রায় ভোট গ্রহণের পর জানান এদিন মোট ৮৫৫৪ বৈধ ভোটার ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে ভোট দেন ৪৯৫৩ জন। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। তারপর সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় গণনা। তবে নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর যেরকম উত্যপ্ত আবহাওয়া ছিল, ভোটের দিন কিন্তু তার লেশমাত্র দেখা যায়নি। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
হেভিওয়েট প্রার্থী
মোহন বাগান ক্লাবের ১০টি প্রশাসনিক পদ ও ১১ জনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের জন্য হচ্ছে এই নির্বাচন। এই ২১টি আসনের জন্য নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন ৫০ জন প্রার্থী। তাদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বড় নাম। আছেন মুখ্যন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাদা, ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের ভাগনেও বাগানের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।
হেভিওয়েট ভোটার
ভোটারদের মধ্যেও অনেক হেভিওয়েট ব্যক্তিরা ছিলেন। এদিন ভোট দিতে আসেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল, কৃষী বিপনন মন্ত্রী অরুপ রায় প্রমুখ। তবে বাগানের দুই ঘরের ছেলে চুণী গোস্বামী ও সুব্রত ভট্টাচার্য এদিন ভোটদানে বিরত থাকেন।