নিউ ইয়ারের আগে ফের আটক বাগান, দশজনের অ্যারোজকেও টপকাতে পারল না সবুজ মেরুন
অনেক উন্মাদনা ছিল, ঘরের মাঠে প্রথম আই লিগ ম্যাচ কিন্তু শেষটা যত মধুর হওয়ার ছিল ততটা হল না।
তরুণ অ্যারোজ ফুটবলাররাও বুঝিয়ে দিলেন ভালো নেই মোহনবাগান শিবির। ঘরের মাঠে আই লিগ ম্যাচ খেলার প্রথম দিনের আনন্দ থাকলেও মনটা ভালো নেই মোহন সমর্থকদেরও। অ্যারোজের আগে পরপর দুটি ঘরের মাঠের ম্যাচে ড্র করে চার পয়েন্ট হারিয়েছ তারা। অ্যারোজ ম্যাচে পুরো তিন পয়েন্ট পাবে তাদের পুরো দল এমনটা ভেবে মাঠে এসেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু এখানেও সেই দুই পয়েন্ট খুইয়ে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল মোহনবাগানকে। খেলা শেষ হল ১-১ গোলে।
এদিন সনি চোটগ্রস্ত থাকায় ক্রোমা- দিপান্ডা ডিকার ওপর ভরসা রেখেই দল সাজিয়েছিলেন মোহন কোচ সঞ্জয় সেন। ঘরের মাঠে প্রথম আই লিগের ম্যাচ দেখতে বর্ষশেষে শুক্রবার দুপুরেও মাঠ ভরিয়েছিলেন সমর্থকরা। আশিস রাইয়ের ফাউলের সুবাদে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। দিপান্ডা ডিকা পেনাল্টি থেকে গোল করেন, কিন্তু সেই শট বাতিল করে ফের পেনাল্টি কিক নেওয়ার নির্দেশ দেন রেফারি। পরের শটও বাঁচাতে পারেননি অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের গোল রক্ষক ধীরজ সিং। এক গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান।
কিন্তু এই লিডের আনন্দ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩৩ মিনিটেই সমতা ফেরান অ্যারোজের ফুটবলাররা। আর প্রবীণ গোল করেন। তাঁকে গোলে সহয়তা করেন বাংলারই রহমত আলি। এরপর অবশ্য প্রথমার্ধের শেষ দিকে সুযোগ তৈরি করেছিল মোহনবাগান। কিন্তু অ্যারোজ গোলের নিচে ধীরজ সিংয়ের পারফরম্যান্স এদিন কুর্নিশ যোগ্য।প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
এদিকে দ্বিতীয়ার্ধেও সমানে আক্রমণ শানায় বাগান শিবির। ক্রোমা, ডিপান্ডা ছাড়াও আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াতে মননদীপ সিংকে নামান সঞ্জয় সেন। কিন্তু অনেকটা যেন গোলকানা -র ভূমিকায় দেখা যায় সব বাগান ফরোয়ার্ডদের। গোলের সামনে বাড়ানো বলগুলিও জালের মধ্যে রাখতে পারেননি তারা।
৬৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখে অ্যারোজের ফুটবলার অমরজিৎ সিং কিয়াম। ডবল ইয়েলো দেখায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। কিন্তু তারপরেও গোলমুখ অধরাই রয়ে গেল বাগানের। অন্যদিকে লিগ টেবলের একদম শীর্ষে থাকা ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান রয়ে গেল তিন পয়েন্ট। ডার্বিতে জিতলেও বর্ষশেষটা মধুর হল না মোহন সমর্থকদের।