বাগানে দুই কর্তার পদত্যাগ, সুপার কাপের আগে নয়া সমীকরণ বাগানে
পদ থেকে ইস্তফা দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুর। বাগানে নতুন অসুবিধা।
ডামাডোল চলছিল ইস্টবেঙ্গলে। পদত্যাগ করলেন মোহনবাগান কর্মকর্তারা। মরশুমের মাঝখান থেকেই ইস্টবেঙ্গলে -র বর্তমান কর্মকর্তাদের নিয়ে খুশি ছিল না সমর্থকদের একটা অংশ। আর তাদের পদত্যাগ দাবি করছিল। অথচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবেও যে ছবিটা তলে তলে একই সেটা বোঝা গেল এদিন।
মরশুমের মধ্যেই সচিবের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন স্বপনসাধন বসু বা ময়দানের টুটু দা। আর এদিন একই সঙ্গে পদত্যাগ করলেন মোহনবাগানের সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসু ও কোষাধক্ষ্য দেবাশিস দত্তও। কোম্পানির ডিরেক্টরশিপ পদও থেকেও সরে দাঁড়ালেন তাঁরা।
বেশ কয়েক মরশুম ধরেই ক্লাব প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত এই দুই কর্মকর্তা। দল গঠন থেকে কোচ নির্বাচন সব সিদ্ধান্তই নিতেন এঁরাই। ক্লাবের পারফরম্যান্স মোহনবাগানেও বিশেষ ভালো নয়। এ মরশুমে একটি সিকিম গভর্নর্স গোল্ডকাপ ছাড়া বিশেষ কিছুই আসেনি। তাই ক্লাবে তাদের বিপরীত গোষ্ঠী তলতলে তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হচ্ছিল। এমনকি মাঝমরশুমে সঞ্জয় সেনকে সরিয়ে দেওয়ার দায়ও এঁদের কাঁধেই দিয়েছে সবুজ-মেরুণ শিবিরের একটি অংশ। অসুস্থ অঞ্জন মিত্র জানিয়েছিলেন তিনি থাকলে সঞ্জয় দাকে এভাবে সরে যেতে হত না।
এর আগেও ক্লাব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন এই দুই কর্তা। কিন্তু পরে ক্লাবের জন্যেই তাদের ইস্তফা ফিরিয়ে নেন তাঁরা। এবারও কী সেরকমই পদক্ষেপ তা অবশ্য এখনও জানা যাচ্ছে না পরিষ্কারভাবে। তবে একটা লবি বনাম লবির লড়াই যে আছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
এদিকে নিজের পদত্যাগের কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসু। বাগানের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন , পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে, যেখান থেকে ক্লাবকে ফিরিয়ে আনা দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। স্পনসর ও চুক্তি নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ক্লাবের ব্যালেন্স সিট সই করে সচিব অঞ্জন মিত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আরও জানিয়েছেন, সামনের মরশুমে যাতে ভালো করে দল গঠন করা যায় তার জন্য আগাম সরে গেলেন তাঁরা।
এদিকে সহ সচিব সৃঞ্জয় বসু পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে সঞ্জয় সেনের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। কারণ তাদের মধ্যে এখনও নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তাঁর ছেলের বোর্ডের পরীক্ষায় শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।
আসলে মোহন অন্দরে খবর দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকলেও অঞ্জন মিত্র সচিব পদেই রয়েছেন। তাই বাকি কর্মকর্তরা সকলেই নাকি চাইছেন অঞ্জন মিত্র যাতে পদ ছাড়েন, আর তাই উল্টোদিক থেকে চাপের খেলা চলছে। এরকমভাবেই স্বপনসাধন বসু পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে অঞ্জন মিত্র-র ওপর চাপ বাড়িয়েছিলেন। এবার দেবাশিস দত্ত ও সৃঞ্জয় বসুও তাই করলেন। সোজকথা মোহনবাগান নির্বাচনের প্রাথমিক দামামা এদিন বেজে গেল।