নেইমার বনাম রোনাল্ডো বাড়াবে রাতের উত্তাপ, আপনি তৈরি তো
ইউরোপীয় ফুটবলে জোরদার লড়াই, ধামাকা নাইটের আগে তৈরি রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ম্যাচ যেন ফাইনালের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।
ইউরোপীয় ফুটবলে জোরদার লড়াই, ধামাকা নাইটের আগে তৈরি রিয়াল মাদ্রিদ ও পিএসজি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলর ম্যাচ যেন ফাইনালের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়।
[আরও পড়ুন:সোনার ডিম পাড়া হাঁস আইপিএল, এবারের টুর্নামেন্টে আরও ধণী হতে চলেছে বিসিসিআই ]
লা ব্ল্যাঙ্কোস গ্রুপ এইচে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল গ্রুপ শীর্ষে ছিল টটেনহ্যাম হস্পার। অন্যদিকে গ্রুপ বি-তে শীর্ষে থেকে প্রাথমিক রাউন্ড শেষ করেছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেইন। বায়ার্ন মিউনিখকে টপকে গিয়েছিল তারা।
এই মুহূর্তে উনাই এমিরি-র পিএসজি ফরাসি লিগ টেবলের এক নম্বর স্থানে রয়েছে। ২ নম্বরে থাকা মোনাকোর সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান ১২। সপ্তাহান্তের ম্যাচেও জিতেছে নেইমার ব্রিগেড। তুলুসে-র বিরুদ্ধে ১-০ গোলে জেতে তারা। যদিও গোলটি আত্মঘাতী ছিল। তাও জয়ের বিষয়টাই আলাদা। এদিনের জয়ের ফলে তারা সবরকম প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ছটি ম্যাচ জিতে রয়েছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে প্রতিটা ম্যাচেই ৪ টি করে গোল করেছে পিএসজি। ৬টি ম্যাচে তাদের গোল সংখ্যা ২৫। আর গোল খেয়েছে ৪টি।
এদিকে এবার লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে খারাপ মরশুম গিয়েছে। পরপর দুবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী রিয়াল মাদ্রিদ সাম্প্রতিক অতীতের সবচেয়ে খারাপ সময় কাটিয়েছে এবারের ঘরোয়া লিগে। এবারের চ্য়াম্পিয়ন্স লিগ জিতলে টানা তিন বার জয়ের বিরল নজির গড়বে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এন্ড কোং।
ঘরোয়া লিগে এবার সিআর সেভেন বেরঙ লাগলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রাথমিক পর্বের প্রতিটা খেলাতেই গোল করেছেন পর্তুগিজ তারকা। তারওপর সপ্তাহান্তের লা লিগার খেলায় ৫-২ গোলে জিতেছে রিয়াল। তাতে আবার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো হ্যাটট্রিক করেছেন। তবে শেষ নটি ম্যাচের মাত্র ৪ টি তে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যা রিয়েলের পরিসংখ্যানের ধারে কাছেও নয়।
ঘরের মাঠে ২০১৪- এপ্রিল থেকে এপর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ ১৮ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলেছে। তার মধ্যে ১৫ টি জিতেছে ও ৩টি ড্র করেছে। একটি ম্যাচেও হারেনি তারা। এদিকে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে রিয়াল নিজেদের ঘরের মাঠে আর ফিরতি ম্যাচ হবে ৬ মার্চ পিএসজি-র প্র্যাক ডি প্রিন্সেসে।
গত মরশুমেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও পিএসজি-র সামনে ছিল স্প্যানিশ জায়ন্ট বার্সেলোনা। তাদের কাছে হতশ্রীভাবে হেরে শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা। তবে সেসময় বিপক্ষ দলে ছিলেন নেইমার। আর একবছর পেরিয়ে এখন তাদের দলে সাম্বা ফুটবলের জাদুকর নেইমার। রেকর্ড অর্থের বিনিময়ে বার্সা ছেড়ে এখন পিএসজি-র জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন তিনি। ফলে এই ম্যাচে পারফর্ম করার একটা আলাদা চাপ থাকবে নিঃসন্দেহে।
এই মেগা ম্যাচে মাঠে স্কিল, স্ট্র্যাটেজির লড়াই যেরকম হবে , ঠিক তেমনিই হবে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রেখে পারফর্ম করার লড়াই। এদিকে মেগা ম্যাচের আগে দু দলেই কিছু সমস্যা রয়েছে। রিয়ালে ড্যানি কারভাজাল প্রথম লেগে কার্ডের জন্য নেই। ফলে নাচো রাইট ব্যাক হিসেবে শুরু করার সম্ভবনা বেশি। ড্যানি ক্যাবেলস গোড়ালি ও জেসাস ভ্যালেজো উরুতে চোটের অনিশ্চিত।
এদিকেপিএসজিতে একাধিক চোটের কারণে নিজেদের পুরোন ক্লাবের বিরুদ্ধে শুরু থেকে খেলতে পারেন লাসানা ডায়ারা ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ট্রেনিং করলেও থিয়াগো মোতা ম্যাচে অনিশ্চিত। হিপের চোটের কারণে এডিন কাভানি মাঠে নামতে নাও পারেন। এছাড়াও লাভিন কুরজাওয়া ও হাতেম বেন আরফাও না খেলতে পারেন।
পিএসজি -র প্রথম একাদশ হতে পারে স্ট্রাইকিং লাইনের একদম সামনে মাবাপে, দুই উইং দিয়ে আক্রমণ শানাবেন নেইমার ওডি মারিয়া। মাঝমাঠে রাবিয়ট. ভারেত্তি, ডায়ারা। ডিফেন্স লাইনের দায়িত্ব সামলাবেন মেউনিয়ের, সিলভা, মারকুইনহোস, অ্যালভেস, অ্যারিওলা।
এদিকে ঘরের মাঠে রিয়ালের ছক অনেকটা একই ধরণের হতে চলেছে। ফরোয়ার্ড লাইনের একদম সামনে থাকবেন বেঞ্জিমা। এছাড়া ও দুই উইং দিয়ে আক্রমণের ঝড় তুলবেন রোনাল্ডো ও ভাসকুয়েজ। মাঝমাঠে ক্রুস, মর্ডিচ, ক্যাসেমিরো। ডিফেন্সে থাকছেন মার্সেলো, র্যামোস, ভারানে, নাচো। গোল দুর্গের দায়িত্ব সামলাবেন নাভাস।