অপ্রতিরোধ্য মুসা! সুপার ঈগল্সের সুপার পারফরম্যান্স জমিয়ে দিল গ্রুপ ‘ডি’-র লড়াই
দুরন্ত পারফরম্যান্সের ফলে বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নিজেদের বাঁচিয়া রাখল নাইজেরিয়া।
দুরন্ত সুপার ঈগল্স! দুরন্ত নাইজেরিয়া! শুক্রবার ভলগেগ্রোদ এরিনায় আফ্রিকার দলটির দুরন্ত লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল হাজার হাজার মানুষ।
গত ম্যাচে আর্জেন্তিনাকে আটকে দেওয়া আইসল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিল নাইজেরিয়া। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে সবুজ-সাদা জার্সিধারীরা। গোটা ম্যাচেই বজায় থাকে তাদের নিয়ন্ত্রণ। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিট পর্যন্ত কিছুটা গুটিয়ে ছিল নাইজেরিয়া। হয়তো বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছিল আইসল্যান্ডের খেলার ধরন। আর তার পরই ধীরে ধীরে খোলস ছাড়তে শুরু করে তারা। প্রথমার্ধের ১০ মিনিটের পর থেকেই ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় নাইরেজিয়া। চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।
একটা সময়ে নাইজেরিয়ার আক্রমণের ঝাঁঝের সামনে অসহায় লাগছিল আইসল্যান্ডের ডিফেন্সকে। যদিও কোনও ক্রমে প্রথমার্ধে নাইজেরিয়াকে রুখে দেয় তারা।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই প্রথমার্ধের প্রায় দ্বিগুণ গতিতে আক্রমণ তুলে আনে নাইজেরিয়া। প্রথমার্ধে যে উইং প্লে বিশেষ নজরে পড়ছিল না, সেই উইং প্লেয়ের দেখা মেলে দ্বিতীয়ার্ধে। আর দু'টো উইং খুলে যাওয়ায় একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে সুপার ঈগল্স। আর এরই সুবাদে প্রথমার্ধের ৪৯ মিনিটে দুরন্ত গোল করে নাইজেরিয়াকে এগিয়ে দেন আহমেদ মুসা। ভিক্টর মোসেজের পাস থেকে গোল করে যান তিনি।
প্রথম গোল পাওয়ার পর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ায় নাইজেরিয়া। এরই মাঝে নাইজেরিয়ার একটি শট ফিরে আসে বারে লেগে। ম্যাচের ৭৫মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি পায় নাইজেরিয়া। একক দক্ষতায় গোলরক্ষককে এক ভাজে ডচ করে গোল করে যান তিনি।
মুসার এই দু'টি গোলই দীর্ঘ দিন মনে রাখবেন ফুটবল ভক্তরা। এর পরও ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল আইসল্যান্ড। ফিনবোগাসনকে বক্সের মধ্যে ইবুহি ফাউল করলে পেনাল্ট পায় আইসল্যান্ড। কিন্ত পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন সিগার্ডসন।
এর পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আইসল্যান্ড। দু'গোলে ম্যাচ জিতে নেয় নাইজেরিয়া। এই ম্যাচ জয়ের ফলে শুধু নাইজেরিয়ারই সুবিধা হল না, আফ্রিকার দলটি সুবিধা করে দিল লিওনেল মেসির আর্জেন্তিনাকে। পরের ম্যাচে যদি নাইজেরিয়াকে আর্জেন্তিনা হারিয়ে দিতে পারে এবং ক্রোয়েশিয়ার কাছে আইসল্যান্ড হেরে যায় বা ম্যাচ ড্র হয়, তা হলে পরের রাউন্ডে পৌছে যাবে মেসির দেশ।