ফের কোচ মারাদোনা - চললেন কুখ্যাত মাদক মাফিয়ার ঘাঁটিতে, উদ্বেগে ভক্তকূল
মেক্সিকোতে তিনি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। এই দেশেরই একটি দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবে কোচ হয়ে এলেন মারাদোনা।
ফের কোচের ভূমিকায় দেখা যাবে দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনাকে। যেই মেক্সিকোতে আর্জেন্টিনাকে তিনি দিয়েছিলেন স্বপ্নের বিশ্বকাপ সেখানেই একটি দ্বিতীয় ডিভিশনের ক্লাবের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। সমস্যা হল ক্লাবটি যে শহরে সেই শহর হল মাদক মাফিয়াদের স্বর্গরাজ্য। তাই মারাদোনার শুভানুধ্যায়ীরা চিন্তায় পড়েছেন।
ফুটবলার হিসেবে মারাদোনার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গাই নেই। কিন্তু কোচের ভূমিকায় কখনই সেরকম সফল হননি তিনি। আর্জেন্টিরা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্বে ছিলেন জার্মানী বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনালের বেশি এগোতে পারেনি দল। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ক্লাব কোচিং করিয়েছএন। কিন্তু কোথাও থিতু হতে পারেননি।
গত জুলাইতেই তিনি বেলারুশের ক্লাব ডায়ানামো ব্রেস্টের দায়িত্ব নিয়েছেন। এই ক্লাবে অবশ্য মারাদোনার কোচ নয়, আছেন ক্লাব প্রেসিডেন্টের ভূমিকায়। এর পাশাপাশিই মেক্সিকোর দ্বিতীয় ডিভিশনের দল দোরাদোস-এর কোচিং করানোর দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
এই মুহুর্তে মেক্সিকান লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে ক্লাবটি মোটেই ভাল অবস্থায় নেই। ১৭ দলের মধ্যে ১৫তম স্থআনে রয়েছে। ক্লাবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফুটবলার জীবনে, সাহস ও লড়াকু মনোভাবের মাধ্যমে একের পর এক দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন মারাদোনা। ক্লাবকে দুঃসময় কাটিয়ে উপরে তোলার জন্য তাই তারা মারাদোনার কথাই ভেবেছে।
ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আপাতত ২০১৮-র বাকি সময় ও ২০১৯ সালের জন্য মারাদোনাকে ম্যানেজার হিসেবে আনা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, মারাদোনাকে রাজি করাতে বিশেষ কাঠখড় পোড়াতে হয়নি। তিনি নাকি নতুন দায়িত্ব নিয়ে খুবই উত্তেজিত।
আসলে মেক্সিকোর সঙ্গে মারাদোনার এক অদ্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর ফুটবল জীবনের সেরা স্মৃতি, বিশ্বকাপ জয় ঘটেছিল এই দেশেই। তাঁর বিখ্যাত 'হ্যান্ড অব গড গোল' ও ৬ জনকে কাটিয়ে করা 'গোল অব দ্য় সেঞ্চুরি' দুই দেখেছিল মেক্সিকো। আবার গত জুনে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন বিষয়ে মেক্সিকোর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তাতে মেক্সিকো বাসীর বিরাগভাজনও হনও। সেই দেশেই নতুন ভেঞ্চারে আসছেন ফুটবলের রাজপুত্র।
দোরাদোস ক্লাবটি সিনালোয়া শহরে অবস্থিত। এই সিনালোয়াতেই রয়েছে কুখ্যাত মাদক মাফিয়া এল চ্যাপো বা জোয়াকিন গুজম্যানের প্রধান ঘাঁটি। মারাদোনা ফুটবলার জীবনে ও পরবর্তীকালেও মাদকের কালো অতীত রয়েছে। এই শহরে তাঁর কোচিং করাতে যাওয়াটা ক্ষতিকর হবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা মারাদোনার ভক্তকূলে।