ফুটবল বিশ্বকাপের বল সাপ্লাই হয় সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এক দেশ থেকে, সেই গল্প জানেন কি
ক্রীড়া সরঞ্জামের বেশিরভাগ সামগ্রী চিন তথা পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হয়। আর ফুটবল আসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় পাকিস্তান থেকে।
রাশিয়ায় ফিফা বিশ্বকাপের আসর বসেছে। ৩২টি দেশের তারকা ফুটবলাররা নিজেদের উজাড় করে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছেন। ফুটবল সাপ্লাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম সংস্থা অ্যাডিডাস। ফুটবলটির পোশাকি নাম টেলস্টার ১৮।
ঘটনা হল, ক্রীড়া সরঞ্জামের বেশিরভাগ সামগ্রী চিন তথা পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হয়। আর ফুটবল আসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় পাকিস্তান থেকে।
কেউ যদি ভেবে থাকেন, এবারই প্রথম পাকিস্তান থেকে বিশ্বকাপে ফুটবল সাপ্লাই হচ্ছে, তাহলে তা ভুল হবে। আগের ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের বল 'ব্রাজুকা'- সেটাও পাকিস্তান থেকেই সরবরাহ হয়েছিল। সিয়ালকোট থেকে তা ব্রাজিলে পৌঁছে গিয়েছিল। পাকিস্তানের এই অঞ্চলটি ক্রীড়া সরঞ্জাম তৈরিতে বিখ্য়াত।
বিশ্বকাপের জন্য মোট কতগুলি ফুটবল সরবরাহ করা হয়েছে তা জানা না গেলেও অ্যাডিডাস মাসে ৭ লক্ষ ফুটবল তৈরি করে। আর পাকিস্তানে সারা বিশ্বে সরবরাহ করার জন্য বছরে ১ কোটি ফুটবল তৈরি হয় বলে সেদেশের ক্রীড়া প্রস্তুতকারক সংস্থার প্রেসিডেন্ট হুসনেইন চিমা জানিয়েছেন।
ঘটনা হল, ব্রিটিশ শাসনকাল থেকে সিয়ালকোটে ক্রীড়া সরঞ্জাম তৈরির চল চলে আসছে। ইংল্যান্ড থেকে তা আনতে অনেক সময় লাগত। ফলে সিয়ালকোটে ব্রিটিশরা হাব তৈরি করে। ১৯৮০ সালে সিয়ালকোট প্রথমবার ফিফা মানচিত্রে আসে। ১৯৮২ সালে ট্যাঙ্গো বল ফিফা বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়। তারপর থেকে প্রতি বিশ্বকাপে বল সরবরাহ করে চলেছে পাকিস্তান।