গোটা ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ রেখেও খালি হাতেই মাঠ ছাড়ল পেরু
ডেনমার্কের কাছে ১-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল পেরু।
দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেও মাথা নীচু করে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচের পর মাঠ ছাড়তে হল পেরুকে। হার দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল পেরু। ডেনমার্কের কাছে তারা হেরে গেল ১-০ গোলে।
হারতে হলেও ম্যাচের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল একটু অন্যভাবেই। ফিফা ক্রমতালিকায় এক ধাপ নীচে থাকা ডেনমার্কে প্রথম থেকে চাপে রাখার চেষ্টা করে পেরু। তবে সেটা প্রথম দশ মিনিট পর্যন্তই। তার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ার জন্য মরিয়া লড়াই চালায় ডেনমার্ক।
একক ভাবে কোনও দলই এদিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে পারেনি। দুই দলই বিক্ষিপ্ত ভাবে ম্যাচে নিয়ন্ত্রন বজায় রাখে। তবে, ম্যাচের রাশ অধিকাংশ সময়ে নিজেদের রাখে পেরুই।
একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকে তারা। এরই সুবাদে প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় পেরু। ভিএআর পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে পেরুকে পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চেল দাঁড়িয়ে সেই পেনাল্টি প্রায় বারের পাঁচ হাত উপরে মারেন কুয়েভা।
এরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পেনাল্টি মিস করার খেসারত শেষ পর্যন্ত চোকাতে হয় পেরুকে। প্রথমার্ধ শেষে খেলার ফল ছিল গোলশূন্য।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হতেই একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে ডেনমার্ক। প্রতিআক্রমণ থেকে বিপজ্জ্বনক হয়ে ওঠার চেষ্টা ছিল পেরুর ফুটবলারদের মধ্যেও। তবে, ম্যাচের ৫৯ মিনিটে এরিকসনের পাস থেকে দুরন্ত গোল করে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন ইউসুফ পলসেন।
উল্লেখযোগ্য ভাবে প্রথম গোল হজম করার পরের মিনিট থেকেই গোল শোধ করতে মিয়া হয়ে ওঠে পেরু। তুরুপের তাস পাওলো গেরেরোকেও মাঠে নামান পেরুর কোচ। তবে, শেষ রক্ষা হয়নি। পাওলো ম্যাচে পেরুকে ফিরিয়ে আনার জন্য এমনিতেই সময়ে পেয়েছিলেন খুব কম। সেই সময়েও একটি দুরন্ত ব্যাক হিলে প্রায় গোলের দরজা খুলেও ফেলে ছিলেন পেরুর জন্য। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এদিন গোটা ম্যাচে ৫৩ শতাংশ বলের দখল ছিল পেরুর। মোট ন'টি শট নেয় তারা। যার মধ্যে ছ'টি ছিল টার্গেটে। গোটা ম্যাচে মোট ৪১৬টি পাস খেলে পেরু।
অন্য দিকে, ৪৭ শতাংশ বলের দখল রাখা ডেনমার্ক এদিন গোল রক্ষ করে শট নেয় পাঁচটি। যার মধ্যে তিনটি ছিল টার্গেটে। গোটা ম্যাচে মোট ৩৬৩টি পাস খেলে তারা।
এই পরিসংখ্যান থেকেই পরিস্কার ম্যাচে শুধু নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখলেই জেতা সম্ভব নয়, জেতার জন্য প্রয়োজন ভেদশক্তি।