ছয় বছর পর সর্বভারতীয় ট্রফি জিততে তৈরি লাল-হলুদ
শুক্রবার সুপার কাপ ফাইনালে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং বেঙ্গালুরু এফসি। দেখার শেষ পর্যন্ত কোন দলের হাতে ওঠে সুপার কাপের ট্রফি।
আর কয়েক ঘন্টার অপেক্ষ, তার পরই সুপার কাপের মেগা ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা দুই ক্লাব ইস্টবেঙ্গল এবং বেঙ্গালুর এফসি।
অন্যভাবেও
বলা
যায়
ম্যাচটিকে।
বলা
ভাল
শ্রেষ্ঠত্বের
লড়াইয়ে
মুখোমুখি
হবে
আই
লিগ
এবং
আইএসএল।
ইতিমধ্যেই
এই
ফাইনালকে
ঘিরে
দেশের
বিভিন্ন
প্রান্ত
থেকে
ভুবনেশ্বরে
ভীড়
জমাতে
শুরু
করেছেন
দুই
দলের
সমর্থকেরাই।
অধিকাংশ
লাল-হলুদ
সমর্থকেরই
এখন
অস্থায়ী
ঠিকানা
ভুবনেশ্বর।
পিছিয়ে নেই বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরাও। সুনীল ছেত্রী অ্যান্ড কোম্পানিকে সমর্থনের জন্য বেঙ্গালুরু থেকে হাজার হাজার সমর্থক জড় হয়েছেন ভুবনেশ্বরে। কিন্তু যে দুই দলকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার সমর্থকের ভুবনেশ্বর পারি দেওয়া তাদের কী খবর।
এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সব থেকে ধারাবাহিক দল ইস্টবেঙ্গল। আই লিগ হাত ছাড়া হওয়ার পর সুপার কাপই ছিল কোচ খালিদের কাছে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার শেষ সুযোগ। এই মঞ্চে নিজেকে এবং নিজের দলকে চ্যাম্পিয়ন করার জন্য টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ থেকেই ফোকাসড ছিলেন খালিদ। সঙ্গে টিডি হিসেবে আশিয়ান জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় শক্তি বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু কোচ-টিডি দূরত্বও ছিল সুপার কাপে লক্ষ্য করার মতো বিষয়। যদিও তার প্রভাব পড়েনি ইস্টবেঙ্গলের খেলায়। সব দূরত্ব ভুলে ফাইনালের আগে ইস্টবেঙ্গল এখন সুখী সংসার। তবে, লাল-হলুদকে চিন্তায় রেখেছে ডুডু ওমাগবেমির চোট।
এখনও চোট থেকে পুরোপুরি মুক্ত নন ডুডু। তাঁকে খেলানোর মরিয়া চেষ্টা করা হলেও, তাঁর সার্ভিস ইস্টবেঙ্গল কতটা ফাইনাল ম্যাচে পাবে, সেই নিয়ে একটা সংশয় রয়েই যাচ্ছে। ডুডু যদি একান্তই না পারেন সেক্ষেত্রে প্রথম একাদশে সুযোগ পেতে পারেন ক্রোমা বা গ্যাব্রিয়াল।
অন্যদিকে বেঙ্গালুরু শিবিরকে চিন্তায় রাখছে নিশু কুমারের রেড কার্ড। চোটের কারণে প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল প্লেয়ার রাহুল ভেকের খেলাতেও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
এক কথায় ফাইনালিস্ট দুই দলের কেউই সুবিধা জনক জায়গায় নেই। এখন দেখার চোট সমস্যায় জর্জরিত দুই দলের মধ্যে কে শেষ হাসি হাসে শুক্রবার কলিঙ্গর ময়দানে।