ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত একরোখা সঞ্জয় সেনের, দেখুন ভিডিও
যা হওয়ার ছিল তাই হল , কয়েক মরশুম বাদে ফের মোহনবাগানে নতুন কোচ।
বাগানে নাকি কোচ টেকে না, এটাই ময়দানের জনশ্রুতি। আর এটাকেই ভুল প্রমাণ করে এই নিয়ে চতুর্থ মরশুমে ইনিংস শুরু করেছিলেন সঞ্জয় সেন। অবশেষে শেষ হয়ে গেল সেই পার্টনারশিপ। ২০১৮ সালের ২ তারিখ নিজের লম্বা ইনিংসে দাঁড়ি টেনে দিলেন সঞ্জয় নিজেই।
দাঁড়িটা হয়ত সঞ্জয় সেন নিজেই টানলেন। কিন্তু পরিস্থিতি তাঁকে এই দিকে নিয়ে গেল। প্রথম মরশুমে এসেই মোহনবাগানকে অধরা আই লিগ দিয়েছিলেন। তার পরের মরশুমে এসেছিল ফেডকাপ। গত মরশুমে অবশ্য কোনও কিছুই ঘরে আসেনি। আই লিগে একটু-র জন্য রানার্স হয়ে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এ মরশুমে কলকাতা লিগ চলাকালীন তাঁর বাইপাস সার্জারি হয়। তারপরেও মানিয়ে নিয়ে শারীরিক জড়তা কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন সঞ্জয় সেন। কিন্তু সব কিছু ঠিক ছিল না আগের মত। চিরকালই সঞ্জয় সেনের মুখ আলগা। যা নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলতেন সঞ্জয়। যাঁর জন্য কর্তাদের তাঁকে বিশেষ পছন্দ ছিল না। তবে তখন পারফরম্যান্স সঙ্গে থাকায় কেউ তখন কিছু বলতে পারেননি। কিন্তু এবার যে পারফরম্যান্সও সঙ্গে রইল না।
ডার্বি জয়ে এ মরশুমে আই লিগে সমর্থকদের মন জিতে নিয়েছিলেন সঞ্জয়। কিন্তু হঠাৎই গাড়ির টিউনিং বিগড়ে গেল। সনি নর্ডি চোটের কারণে অনিশ্চিত হয়ে যেতেই দলের বাকি ফুটবলাররাও কেমন বেঁকে বসলেন। হঠাৎই বাগানের উঠতে থাকা পারফরম্যান্সগ্রাফ নিম্নমুখী হয়ে গেল। একের পর এক ম্যাচ ড্র। ফুটবলাররাও বেঁকা বাজছিলেন। কোচ সঞ্জয় সকলের সামনে ড্রেসিংরুমের মধ্যে থাকা উচিত যে আলোচনা তা নিয়ে এলেন বাইরে। ফল আরও খারাপ হল। তারকা প্লেয়াররা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন কোচ যে ছকে খেলাচ্ছেন তাতে যা ফল হওয়ার তাই হচ্ছে।
খেলার দুনিয়ার প্রচলিত বাক্য 'এ টিম ইজ অ্যাজ গুড অ্যাজ ইটস ক্যাপ্টেন' অর্থাৎ একটা দলের অধিনায়ক কত ভালো তা নির্ভর করে তাঁর দলের ওপর। ফুটবলে সেটা কার্যত একটা দলের কোচ কত ভালো তা নির্ভর করে তাঁর দলের ওপর। সেই দলই সঙ্গ ছেড়ে দিল। এবার আর কী করবেন চেতলার বাঙালি কোচ। তাই চেন্নাই ম্যাচের শেষে জানিয়ে দিলেন আর করাবেন না কোচিং। ঘরের মাঠে হারের যাবতীয় দায় মাথায় নিয়ে সরে গেলেন সঞ্জয় সেন।
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FMohunBaganAthleticClub1889%2Fvideos%2F1648485425219377%2F&show_text=0&width=267" width="267" height="476" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>
ময়দানের হেভিওয়েট ক্লাবে কোচ হয়েও যে এতদিন টিকে থাকা যায় তা প্রমাণ করেছিলেন সঞ্জয়। আর এদিন তাঁর চলে যাওয়া প্রমাণ করল বাগান আছে বাগানেই। তবে বিদায় বেলায় কোচের গায়ে গ্যালারি থেকে এল থুতু। এটা বোধহয় ময়দানি রাজনীতির জঘন্যতম নিদর্শন আরও একবার দেখল কলকাতা ফুটবল। কোচকে তাই আটকানোর কোনও চেষ্টাও এল না কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে।
<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2FMohunBaganAthleticClub1889%2Fvideos%2F1648528291881757%2F&show_text=0&width=267" width="267" height="476" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>