ম্যাচ জিতলেও মন জিততে ব্যর্থ সুইডেনের ফুটবল
সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাব কোয়ার্টার ফাইনালের আগে চিন্তায় রাখবে সুইডেনের সমর্থকদের।
সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করার দিনই এক রাশ প্রশ্ন তুলে দিল সুইডেনের পারফরম্যান্স। দীর্ঘ ষাট বছর পর বিশ্বকাপে লাগাতার দুই ম্যাচ জিতল সুইডেন। কিন্তু অতি বড় সুইডেনের সমর্থকও হয়তো আগামী রাউন্ডে খুব বেশি আশা করবেন না এই দলটিকে নিয়ে।
কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে যে সুইডেন কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে, সেই দলকে নিয়ে এই ধরণের মন্তব্য করারকারণ কী?
যদি গোটা ম্যাচকে ভাল করে বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে দেখা যাবে, সুইৎজারল্যান্ডকে হারালেও এই দলটার মধ্যে একাধিক ফাঁক রয়েছে। পাশাপাশি একটা চ্যাম্পিয়ন দলে মানসিকতা সব সময় থাকে প্রতিপক্ষকে লড়ার মতো জায়গা না দিয়ে ম্যাচে কোনঠাসা করে জয় ছিনিয়ে নেওয়া। কিন্তু আজ যে খেলাটা সুইডেন খেলল, তাতে বিজয়ী দল সুইডেনের সম্পর্কে এই কথা বলার কোনও জায়গাই নেই।
এদিন যে গোলটা সুইডেন পেয়েছে তাও ভাগ্যের সহায়। কারণ ফর্সবার্গের গোলমুখী শট যদি সুইৎজারল্যান্ডের ডিফেন্ডারের পায়ে না লাগত, তাহলে কোনও মতেই সেই শটে গোল হত না। যদিও এই ম্যাচে সুইডেনের হয়ে নজরকাড়া ফুটবল খেলেন ফর্সবার্গই।
গোলটা পেয়ে যাওয়ার পর সুইডেন যে স্ট্র্যাটেজি নিল সেটাও খুব একটা ভাল বলা যায় না যে দল চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইট করে তাদের জন্য। কারণ গোলটা পেয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের অধিকাংশটাই পুরো ডিফেন্স করে কাটালো সুইডেন দল। এক গোলের লিড এমনিতেই কখনও সুবিধার নয় যে কোনও দলের জন্যই। এই পরিস্থিতিতে শুধু ডিফেন্স করে গেলে সাময়িক গোল আটকানো গেলেও বারবার সফল হওয়া যায় না। এই স্ট্র্য়াটেজি যদি পরবর্তী সময় ইংল্যান্ড বা কলম্বিয়া ম্যাচের বিজয়ী দলের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে কাজে লাগায় সুইডেন, তাহলে তা বিপদ বাড়াতে পারে হলুদ ব্রিগেডের জন্য।
দলের এই ফাঁকগুলি এবং স্ট্র্যাটেজির বিষয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের আগে যদি সুইডেনের কোচ আর একটু সচেতন না হন, তাহলে কাজটা কঠিন হয়ে যেতে পারে সুইডেনের জন্য।