২০১০ বিশ্বকাপের স্মৃতি কি ফিরিয়ে আনতে পারবে স্পেন, জেনে নিন
আসন্ন বিশ্বকাপে খেতাবি লড়াইয়ের অন্যতম দাবিদার স্পেন। জেনে নিন স্পেনের অন্দরের খবর।
২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে পর্তুগালের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে স্পেন। এই বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার মনে করা হচ্ছে গ্রুপ 'বি'-এর এই দলকে। লেপেতগুইয়ের দল এই বিশ্বকাপে সাফল্য পাবে বলেই বিশ্বাস অধিকাংশ ফুটবল বিশেষজ্ঞেরই। কিন্তু যেই স্পেনকে নিয়ে এতো প্রত্যাশা সমর্থকদের তারা কতটা তৈরি বিশ্বকাপের জন্য, আসুন জেনেনি।
এই নিয়ে ১৫ বার বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ নিতে চলেছে স্পেন। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট ৫৯টি ম্যাচ খেলে স্পেন জিতেছে ২৯টি, হার ১৮টি ম্যাচে। মোট ৯২টি গোল করেছে তারা। এই রকম একটি দল যে বিশ্বকাপের মঞ্চে সব সময়ই ভয়ানক তা আর বলে দিতে লাগে না। গত বারের বিশ্বকাপে বিশেষ নজর না কাড়তে পারলেও ২০১০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন এই দল।
পাশাপাশি ২০০৮ এবং ২০১২ সালে ইউরোপের সেরার খেতাবও জেতে স্পেন। ২০০৮ থেকে স্পেনের যে জয় যাত্রা শুরু হয়েছে তা এখনও অটুট ইনিয়েস্তা-জাভিদের তত্বাবধানে। মাঝে কিছুটা সময় খারাপ গেলেও আবার স্বমহিমায় ফিরে এসেছে স্পেন।
২০১০ বিশ্বকাপে স্পেনের যে 'তিকিতাকা' ফুটবল বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল, সেই 'তিকিতাকা' ফুটবল এই বারেও দেখা যাবে বলে মনে করেন অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞই।
রাশিয়া বিশ্বকাপে যতগুলি দল খেলছে তাদের সকলের থেকেই বিভিন্ন দিক দিয়ে একটু হলেও এগিয়ে রয়েছে স্পেন। কারণ এই দলে একাধিক এমন ফুটবলার রয়েছেন যাঁরা যে কোনও সময় ম্যাচে রং বদলে দিতে পারেন। অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে এক বা দুই জন ফুটবলাকরকে তুলে ধরা গেলেও স্পেনেও ক্ষেত্রে তা বেশ কঠিন। কারণ একক দক্ষতায় ফুটবল না খেলে সঙ্ঘবদ্ধ ফুটবল খেলে স্পেন। আর এইটাই তাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ।
আসন্ন বিশ্বকাপে স্পেনের ডিফেন্স মূলত নির্ভর করবে রামোস এবং পিকের উপর। ডিফেন্সের পাশপাশি স্পেনের মাঝমাঠকে এই বিশ্বকাপে নিয়ন্ত্রণ করবেন ইস্কো, ইনিয়েস্তা, দাভিদ সিলভার মতো তারকা ফুটবলাররা। পাশাপাশি দুরন্ত ছন্দে থাকা জর্ডি আলবার সার্ভিসও পাবে স্পেন। পাশাপাশি গোলদূর্গের তলায় দাভিদ দ্য হিয়ার উপস্থিতি অনেকটাই নিশ্চিন্ত করছে স্প্যানিস কোচ জুলেন লুপেতেগুইকে।
এই দলে স্পেনের প্রাধন ফ্যক্টার হয়ে উঠতে পারেন মূলত দুই জন ফুটবলার।
আন্দ্রে ইনিয়েস্তা: এই ফুটবলারটির সম্পর্কে কোনও কিছু বলাই যথেষ্ট নয়, একা কী ভাবে একটা মাঝমাঠ সচল রাখতে হয়, তা একাধিকবার করে দেখিয়েছেন ইনিয়েস্তা। ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনার যা সাফল্য তাঁর নেপথ্যে যতটা অবদান মেসির ঠিক ততটাই অবদান এই মিডফিল্ডারের। ফলে বিশ্বকাপে স্পেনকে ভাল করতে হলে ইনিয়েস্তার উপর বিশেষ ভাবে নির্ভর করতে হবে তাদের। ভুললে চলবে না ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে স্পেনের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন এই ইনিয়েস্তাই।
দাভিদ দ্য হিয়া: এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক দাভিদ। তাঁর অপ্রতিরোধ্য প্রাচীর বহু ম্যাচে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে সাহায্য করেছে স্পেনকে। এই বিশ্বকাপেও স্পেনের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে তিন কাঠির তলায় হিয়া কেমন পারফর্ম করেন তার উপর। তবে, দাভিদের প্রধাণ সমস্যা হল মাঝে মাঝে তিনি এমন কিছু ভুল করে ফেলেন যা অপ্রত্যাশিত তাঁর কাছে এবং দেখা গিয়েছে বহু ক্ষেত্রে সেই ভুলগুলি বড় হয়ে দেখা দেয়। ফলে বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও সচেতনতার সঙ্গে গোলরক্ষা করতে হবে বার্সেলোনার এই গোলরক্ষককে।
বিশ্বকাপে
স্পেনের
খেলা:
স্পেন
বনাম
পর্তুগাল,
১৫
জুন
২০১৮
স্পেন
বনাম
ইরান,
২০
জুন
২০১৮
স্পেন
বনাম
মরক্কো,
২৫
জুন
২০১৮
বিশ্বকাপের
জন্য
বাছা
২৩
জনের
স্পেন
দল:
গোলরক্ষক:
দাভিদ
দ্য
হিয়া,
পেপে
রিনে,
কেপা
আরিজাবালাঙ্গা
ডিফেন্ডার:
জর্ডি
আলবা,
ন্যাচো
মনরিয়াল,
সিজার,
আলভারো
অড্রিওজোলা,
ন্যাচো
ফার্নান্ডেজ,
ড্যানি
কার্ভাহাল,
জেরাড
পিকে,
সার্জিও
রামোস
মিডফিল্ডার:
ইস্কো,
থিয়াগো
আলকানতারা,
সার্জিও
বাস্কুইটস,
দাভিদ
সিলভা,
আন্দ্রে
ইনিয়েস্তা,
সাউল
নিগুইজ,
কোকে
ফরওয়ার্ড:
মার্কো
অ্যাসেন্সিও,
দিয়েগো
কোস্তা,
রডরিগো
মোরিনো,
আসপাস,
লুকাস
ভ্যাজকুইজ