বার্সেলোনা সাম্রাজ্যের পতন , ব্রাজিলের ১-৭ পরাজয়কে হার মানাল মেসিদের ২-৮!
বার্সেলোনা সাম্রাজ্যের পতন , ব্রাজিলের ১-৭ পরাজয়কে হার মানাল মেসিদের ২-৮!
বেলো হরিজন্তের স্মৃতি ফিরল লিসবনে। ছয় বছর আগে ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির আক্রমণাত্মক ফুটবলে উড়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। কান্নায় ভেঙে পড়েছিল সেলেকাওরা। ব্রাজিলের ঘরে ব্রাজিলকে তছনছ করে ৭-১ গোলে ম্যাচ জিতেছিল টমাস মুলাররা। এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে মুলারদের বায়ার্ন মিউনিখ গুণে গুণে ৮ গোল দিল মেসির বার্সিলোনাকে। খেলার ফল ৮-২। মেসি, সুয়ারেজ, গ্রিজম্যান, ভিদাল, পিকে সমৃদ্ধ বার্সাকে নিয়ে ছেলেখেলা করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল বায়ার্ন মিউনিখ।
ব্রাজিলের তাও নেইমার ছিল না! বার্সায় ছিলেন মেসি!
বার্সেলোনার লজ্জাজনক এই হারের পর ব্রাজিল বনাম জার্মানির ম্যাচের তুলনা এসে পড়ছে। তবে সেই ম্যাচে ব্রাজিলিয়ানরা বলতে পারেন চোটের কারণে সেই ম্যাচে নেইমার ছিলেন না। কিন্তু শুক্রবার বার্সায় ছিলেন মেসি। ঈশ্বর মেসি আগের ম্যাচেই নাপোলির বিরুদ্ধে বাঁ- পায়ের জাদুতে গড়াগড়ি খেয়ে গোল করেন। কোয়ার্টারে অবশ্য এদিন মেসি ম্যাজিক কাজ করেনি। তিনিও যে রক্তমাংসের মানুষ বায়ার্নে বিদ্ধ হওয়ার পর সেটাই যেন আরও বেশি করে মনে হচ্ছে।
দুই ম্যাচেই মুলারের গোল
ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সেদিন জার্মানির ৭-১ জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন টমাস মুলার। ১১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি তার পা থেকেই এসেছিল। বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ৮-২ ম্যাচেও তাঁর পায়েই প্রথম গোলটি হয়। ৩১ মিনিটে আরও একটি গোল করেন মুলার।
মুলার কী বলেছেন
ম্যাচের সেরা মুলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ৭-১ গোলের জয়ের চেয়ে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে ৮-২ গোলের জয়কে এগিয়ে রাখলেন। ম্যাচ খেলে জার্মান তারকা বলেন, 'ব্রাজিলের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ আজকের মতো একতা বল কন্ট্রোল ছিল না। সেই ম্যাচের থেকে বার্সার বিরুদ্ধে ৮-২ জয়কে এগিয়ে রাখছি। এটা দলের কাছে স্পেশাল ম্যাচ হয়ে থাকবে। '
একনজরে বার্সেলোনা সভ্যতা ধ্বংসে বায়ার্নের ৮ গোল
ম্যাচে সব মিলিয়ে বায়ার্ন ৯ বার তেকাঠিতে বল রাখে। নিজেদের জালে একটি আত্মঘাতী গোল বাদে বার্সেলোনাকে ৮ গোল দিয়েছে জার্মানি ক্লাব। দলের হয়ে দুটি করে গোল টমাস মুলার ও ফিলিপে কুটিনহোর। ব্রাজিলের এই ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়েছিল বার্সা। ম্যাচের শেষ দিকে নেমে কুটিনহো বার্য়ানের হয়ে ৭ ও ৮ নম্বর গোলটি করেন। একটি গোল করিয়েছেন। কুটিনহোর দুগোল আসে ৮৫ ও ৮৯ মিনিটে। মুলারের গোল আসে ৪ ও ৩১ মিনিটে। বায়ার্নের হয়ে ইভান পেরিসিচ, সেরজে নাব্রি, জোসুয়া কিমিচ ও রর্বাট লেয়নডস্কি একটি করে গোল করেছেন। ৭ মিনিটে বার্য়ানের আত্মঘাতী গোল ও ৫৭ মিনিটে সুয়ারেজ ১টি গোল করলে বার্সেলোনা স্কোরলাইনে অন্তত ২ গোল জুড়তে পেরেছে।