গোটা ম্যাচে দাপট দেখালেও কয়েকটা ভুল সিদ্ধান্তই ছিটকে দিল স্পেনকে
গোটা ম্যাচে ভাল খেললেও কিছু ভুল সিদ্ধান্তই খেলার ভাগ্য বদলে দেয়।
জার্মানি, আর্জেন্তিনা, পর্তুগালের পথ ধরেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে স্পেন। প্রথম তিনটি দলের মতো এই বারের অন্যতম ফেভারিট দল হিসেবে ধরা হয়েছিল স্পেনকেও। কিন্তু প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ছিটকে যেতে হল স্পেনকে। এদিন গোটা ম্যাচের উপর যদি লক্ষ করা যায় তাহলে স্পেনের হারের কারণ হিসেবে উঠে আসবে খুব কম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ।
প্রথমত এই রাশিয়ারকে হালকা ভাবে নিয়ে প্রথম দলে এই ম্যাচে স্পেনের কোচ রাখেননি আন্দ্রে ইনিয়েস্তাকে। এই দলের অন্যতম বড় সম্পদ ইনিয়েস্তা। প্রথম মিনিট থেকে তিনি দলে না থাকার কারণে মাঝমাঠের দখল নিয়েও মাঝে মধ্যেই সেই দখল হারিয়ে ফেলছিল স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি সময়ে ইনিয়েস্তা মাঠে নামার পর থেকে অনেকটাই বদল আসে স্পেনের আক্রমণে। ইনিয়েস্তার আগমনই পরিস্কার করে দেয় তিনি যদি প্রথম থেকেই থাকতেন তাহলে আরও বেশি করে আক্রমণ তুলে আনতে পারত স্পেন।
দ্বিতীয়ত, আধুনিক ফুটবলে উইং দিয়ে আক্রমণ সব সময়ই চাপে ফেলে প্রতিপক্ষকে। ইস্কোর সৌজন্যে স্পেনের বাঁ দিক সচল থাকলেও, এই ম্যাচে স্পেনের ডান দিক দিয়ে সেই ভাবে আক্রমণ উঠে আসেনি। ডান দিকে দিয়ে আক্রমণ তুলে এনে দুই উইংকে সচল রাখার জন্য প্রথমার্ধের পরেই পরিবর্তন নেওয়া উচিত ছিল স্পেনের কোচের।
এছাড়া সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে কারণ তা হল স্ট্রাইকিং ফোর্সের ব্যর্থতা। এই ম্যাচে যে কটি আক্রমণ স্পেন গড়েছে তার অধিকাংশই তৈরি করেছেন দলের মিডফিল্ডাররা। বিশেষ করে ইস্কো এবং পরবর্তী সময়ে ইনিয়েস্তা। কিন্তু গ্রুপ পর্বের খেলায় ভাল পারফর্ম করা দিয়েগো কোস্তা এই ম্যাচে ভাল খেলতে ব্যর্থ হয়। খেলতে পারেননি দাভিদ সিলভাও।
এই কটা বিষয় ছাড়া এই ম্যাচে প্রতিটি মুহূর্তেই ভাল খেলেছে স্পেন। গোল করার জায়গায় চলে এসেছিল একাধিক ক্ষেত্রে। কিন্তু প্রয়োজনীয় গোলটিই তুলে নিতে ব্যর্থ তারা।