ভুল স্ট্র্যাটেজি, ফুটবলারদের ব্যর্থতাই ছিটকে দিল সুইডেনকে
বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হারতে হল ইংল্যান্ডকে।
ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়েছে সুইডেনের। বিশ্বকাপের শুরু থেকেই যে সুইডেনকে ভাল ছন্দে পাওয়া গিয়েছিল, সেই সুইডেনকেই বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হল মাথা নীচু করে।
কিন্তু কী কারণে গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চে এই ভাবে ব্যর্থ হল সুইডেন? কেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল তাদের ডিফেন্স?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে উঠে আসবে একাধিক কারণ। এমনিতেই চলতি বিশ্বকাপে অন্যতম দুর্বল ফরোয়ার্ড লাইন সুইডেনের। ফলে ডিফেন্সকে শক্ত করে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবলের উপর জোড় দেওয়া প্রয়োজন ছিল সুইডেনের। কিন্তু ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী আক্রমণ লাইনের বিরুদ্ধে ডিফেন্সিভ অর্গানাইজেশনেই ভুল ছিল সুইডেনের। যে ডিফেন্সিভ স্কিন প্রতি ম্যাচে দেখা গিয়েছে সুইডেনের খেলায়, সেই ডিফেন্সিভ স্ক্রিন এই ম্যাচে দেখা যায়নি।
এদিন ৩-৫-২ ফর্মেশনে দল সাজিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। ফলে আক্রমণাত্মক ফুটবল যে ইংল্যান্ড খেলবে তা তাদের ছক থেকেই পরিস্কার। এই পরিস্থিতিতে ৪-৪-২ ফর্মেশন কখনই উপযুক্ত নয়। সুইডেনের জন্য ডিফেন্সে লোক বাড়িয়ে সামনে ডিফেন্সিভ স্ক্রিন রাখা দরকার ছিল। কারণ সুইডেনের গোল করার মতো লোক নেই দলে। ফলে প্রতিপক্ষকে জমাটি ডিফেন্সে আটকে রাখাই ভাল স্ট্র্যাটেজি হতে পারত সুইডেনের জন্য।
এছাড়া এই ম্যাচে চরম ব্যর্থ সুইডেনের আক্রমণভাগ। কয়েকটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করলেও সেই ধারাবাহিকতা তারা বজায় রাখতে পারেনি। চাপ তৈরি করতে পারেনি ইংল্যান্ডের রক্ষণে। এছাড়া ব্রিটিশ দলটির ডিফেন্স ভাঙার জন্য যে কৌশল প্রয়োজন ছিল, তা দেখা যায়নি সুইডেনের খেলায়।