কাঠ ফাটা রোদে ইস্ট-মোহনের খেলা নিয়ে মুখ খুললেন আইএফএ সচিব
বারাসত স্টেডিয়ামে শিল্ড ফাইনালের আয়োজনের কারণ জানালেন আইএফএ সচিব।
বৃহস্পতিবার আইএফএ শিল্ডের ফাইনালের আগে থেকেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল দুপুরে এত চড়া রোদে অনূর্ধ্ব-১৯ দলগুলিকে ফাইনাল খেলানো নিয়ে। ডার্বি হলেও সেই ম্যাচ করা হয়নি নৈশালকে। ময়দানে তিন প্রধানের মাঠেই রয়েছে বাতিস্তম্ভ। যে মাঠে ফাইনাল আয়োজন করেছিল আইএফএ, সেই বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনেও রয়েছে বাতিস্তম্ভ। তবে, কেন ম্যাচ আয়োজন করা হল না সন্ধ্যার সময়ে? সাধারণ সমর্থকদের পাশাপাশি এই প্রশ্ন দুই প্রধানেরও।
শুধু রোদই নয়, বারাসাত স্টেডিয়ামে পাতা রয়েছে সিন্থেটিক টার্ফ। যার ফলে ঘাসের মাঠের থেকেও অনেক বেশি তাপ নীচ থেকে ওঠে সিন্থেটিক টার্ফে। এই পরিস্থিতিতে চল্লিশ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হিট স্ট্রোকও হতে পারত যে কোনও ফুটবলারের।
আইএফএ-এর ফাইনাল আয়োজন দেখে ইতিমধ্যে আইএফএ সচিবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ফুটবলপ্রেমী এবং ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। ক্রমগত বেড়ে চলা বিতর্ক থামাতে অবশেষে মুখ খুললেন আইএফএ সচিব।
দুপুরে ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, 'ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগান, এই দু'টি মাঠের যে কোনও একটাতেই ফাইনাল আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। কিন্তু এই দুই দলই ফাইনালে পৌঁছনোয় সেটা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়েই ম্যাচ নিয়ে যাওয়া হয় বারাসতে। তাছাড়া একমাত্ত পরীক্ষিত ছিল মোহনবাগানের বাতি স্তম্ভ, এছাড়া একটি বাতি স্তম্ভও পরীক্ষিত ছিল না, ফলে সন্ধ্যার সময়ে আয়োজন করা যায়নি ম্যাচ।'
কিন্তু এই রোদে যদি ফুটবলারা অসুস্থ হয়ে পড়তেন বা যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত হিট স্ট্রোকে, তার দায় কে নিত? এই প্রশ্নের জবাবে উৎপল বলেন, 'আগেও এই গরমে খেলেছে ফুটবলাররা। তাছাড়া দুই অর্থ মিলিয়ে মোট চারবার কুলিং ব্রেকও দেওয়া হয়েছে, ফুটবলারদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণেই।'