উয়েফা, ফিফা ব্রাত্য করেছে, এই ৪ কারণে ব্যালঁ দ্য'ওর জেতা উচিত লিওনেল মেসির
এই ৪ টি কারণে ২০১৮ সালের ব্যালঁ দ্য'ওর পুরস্কার জেতা উচিত লিওনেল মেসির।
এই বছর পুরষ্কারের নিরিখে একেবারে সময়টা ভাল কাটছে না ফুটবল মহাতারকা লিওনেল মেসির। প্রথমে উয়েফা তারপর ফিফা - দুই সংস্থার দেওয়া বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরষ্কার তো দূর স্থান হয়নি চুড়ান্ত দাবিদারদের তালিকাতেও। তাতে বিতর্কও কম হয়নি। মেসি সমর্থকরা রীতিমতো পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন মেসিকে কেন বর্ষসেরার তালিকায় রাখা উচিত ছিল।
তাঁকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে দুই সংস্থাই বিভিন্ন কথা বললেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ও দলে অবদান রাখার নিরিখে তাঁকে বাদ দেওয়ার কোনও যথাযথ কারণ তারা দেখাতে পারেনি। কোনও সন্দেহ নেই এই বছর তিনি ব্যক্তিগত ফর্মের নিরিখে অত্যন্ত ভাল খেলেছেন। বার্সেলোনা দলকে তিনি দুটি ট্রফি জিততেও সাহায্য করেছেন।
কিন্তু মেসির সামনে আরও একবার বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তা হল ফরাসী ফুটবলের দেওয়া ব্যালঁ দ্য'ওর পুরষ্কার। নিচে চারটি কারণ দেওয়া হল যার জন্য এই বছর ব্যালঁ দ্য'ওর জেতা উচিত মেসিরই।
চিনের প্রাচীর
বর্তমান চিনের প্রাচীরটি মিং রাজবংশের আমলে শত্রুদের হাত থেকে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করতে তৈরি হয়েছিল।
অসাধারণ পারফরম্যান্স
গত মরসুমে ফের একবার বিধ্বংসী ফর্মে পাওয়া গিয়েছিল লিওনেল মেসিকে। গোটা মরসুম জুডড়ে বিপক্ষের গোলকিপারদের মাথাব্যথার কারণ হয়েছেন তিনি।
ডিফেন্স চেড়া পাস বাড়ানো হোক, কী একক দক্ষতায় রক্ষণ ভেঙে এগিয়ে যাওয়া, কিম্বা গোল করে দলকে জেতানো - একেবারে নৈমিত্যিক কাজে পরিণত করেছিলেন মেসি।
মনে রাখতে হবে তিনি কিন্তু স্ট্রাইকার নন, অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। সেই পজিশনে খেলেই তিনি লা লিগায় ৩৬ ম্য়াচে ৩৪ গোল করেন। লা লিগা তো বটেই ইউরোপের সব লিগের স্ট্রাইকারদের থেকে তাঁর গোল সংখ্যা বেশি।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে তিনি মোট ৪৪টি গোল করেন, ১৮ টি গোলের পাস বাড়ান। এই নিয়ে তিনি বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে পর পর ১০ বছরের প্রতি মরসুমে ৪০-এর বেশি গোল করেন।
চিনের প্রাচীর
প্রাচীরের উপরে বছরভর পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকায় ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এটি।
ঘরোয়া লিগে সাফল্য
গোটা ইউরোপ জুড়ে ঘরোয়া লিগগুলিতে সবচেয়ে প্রভাবসালী খেলোয়াড় ছিলেন মেসিই। এটা বোঝার জন্য় বেশি কাঠখড় পোড়ানোরও দরকার নেই।
লা লিগায় তিনি ৩৬ ম্যাচে করেন ৩৪ গোল, অ্যাসিস্ট ছিল ১২টি। কোপা দেল রে-তে তাঁর নামের পাশে আছে ৪টি গোল, ৪টি অ্যাসিস্ট।
মূলত তাঁর এই অসাধারণ ফর্মের জন্যই বার্সেলোনা লা লিগা জেতার পাশাপাশই কোপা দেল রে ট্রফিও জিতে নেয়।
চিনের প্রাচীর
চিনের উত্তরাংশের হেবেই প্রদেশের বাসিন্দারা প্রাচীরের গা থেকে ইট-পাথর খুলে নিয়ে গিয়ে তা দিয়ে বাড়িঘর তৈরি করেছেন।
ধারাবাহিকতা
ধারাবাহিকতার প্রশ্নে মেসির তুলনা একমাত্র মেসিই। মরসুমের প্রথম থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তিনি তাঁ বিধ্বংসী ফর্ম ধরে রেখেছিলেন। বার্সেলোনা দলেরও সেই রকম ধারাবাহিকতা ছিল না। লা লিগার শুরুতে হোঁচট খেতে হয়েছিল। কিন্তু সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে গোল করে তিনি দলকে লিগ জয়ের সরণীতে নিয়ে আসেন। লিগের পাশাপাশি কোপা দেল রে ট্রফিও ঢোকে নু ক্যাম্পে।
মেসির ধারাবাহিকতার পরিচয়? হার্সেলোনার হয়ে গত মরসুমে পর পর এমন তিনটি ম্যাচ তাঁর যায়নি যার একটিতেও তাঁর গোল নেই। শুধু তাই নয় বড় দলের বিরুদ্ধে মেসির গোল খিদে যেন আরও বেড়ে যায়। রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া, ভ্যালেন্সিয়া, অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ, চেলসি, জুভেন্টাসের মতো গৃদলের বিপক্ষে গত মরসুমে গোল রয়েছে তাঁর।
চিনের প্রাচীর
চিনের প্রাচীর যে ইট দিয়ে তৈরি তার গায়ে চিনা ভাষায় নানা কিছু লেখা রয়েছে। সেইসময়ের ইতিহাসকে দেওয়ালের গায়ে ধরে রাখার প্রচেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে করা হয়।
নতুন মরসুমের উজ্জ্বল সূচনা
গত মরসুমের ফর্ম নতুন মরসুমেও ধরে রেখেছেন মেসি। এখনও অবধি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুটি ম্যাচ খেলেছে বার্সেলোনা। প্রথম ম্যাচেই পিএসভি আইন্দোভেনের বিপক্ষে তিনি হ্যাটট্রিক করেন। পরের ম্যাচে টটেহামে বিরুদ্ধে করেন দোড়া গোল।
সব মিলিয়ে ২ ম্যাচে ৫ গোল করে আপাতত তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। লা লিগাতেও তিনি এখন পর্যন্ত ৬টি গোল করেছেন। করিয়েছেন আরও ৪টি। ব্যালঁ দ্য'ওর জেতার দৌড়ে তাঁর এই সাফল্য নিশ্চই নজর এড়িয়ে যাবে না।
চিনের প্রাচীর
সেই ইঁট বা পাথরের চাঁই চোরাকারবারিরা চিনা মুদ্রা ৩০ ইউয়ানে বিক্রি করেছে স্থানীয়দের কাছে।
চিনের প্রাচীর
চিনের আইন অনুযায়ী মহাপ্রাচীরের গা থেকে ইট-পাথর নিতে গিয়ে ধরা পড়লে ৫ হাজার ইউয়ান জরিমানা হবে।
চিনের প্রাচীর
তবে আইন করলেও চিনা প্রশাসন অপরাধীদের শাস্তি দিতে ঢিলেমি করায় দিনের পর দিন এভাবেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে প্রাচীরটি।
চিনের প্রাচীর
যত দিন যাচ্ছে, ততই দর্শনার্থীদের চাপ বাড়ছে চিনের প্রাচীরের নানা অংশে। ফলে যে অংশগুলি ভালো অবস্থায় রয়েছে, ক্রমে সেগুলিও ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে।
চিনের প্রাচীর
এর মধ্যে গানসু প্রদেশের উপর তৈরি ৬০ কিলোমিচার প্রাচীরের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। আগামী কিছু বছরের মধ্য়ে এখানকার গোটা প্রাচীরটিই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ধ্বংস্তুপে পরিণত হবে।
চিনের প্রাচীর
২০১২ সালে হেবেই প্রদেশে চিনের প্রাচীরের প্রায় ১০০ মিটার অংশ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।